এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > তৃণমূল নেতাদের এনকাউন্টারের হুমকি দিয়ে বিতর্ক বাড়ালেন দিলীপ ঘোষ

তৃণমূল নেতাদের এনকাউন্টারের হুমকি দিয়ে বিতর্ক বাড়ালেন দিলীপ ঘোষ

তৃনমুল কংগ্রেসকে হুমকি দেওয়ার জন্য বারবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে রাজ্যের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের নাম। পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্বেও বারবার রাজ্যসরকারের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা গেছে তাঁকে । শ্মশানে পাঠানোর হুমকি,পুলিশকে থানা ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি এমন অনেক কিছু বলে বিতর্ক বাড়িয়েছেন। আর এদিন ঠিক এভাবেই শাসকদলের বিরুদ্ধে রণংদেহি মূর্তিতে আর্বিভূত হলেন তিনি।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

“পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলের নেতারা যেভাবে গুন্ডামি করছেন তাদের পরিষ্কার বলে দিচ্ছি, হয় জেল না হলে সোজা গুলি। এককথায় এনকাউন্টার হবে। কার গুলি কোথায় লাগবে কেউ জানে না। সেই দিন আসছে, গব্বর সিংয়ের মতো ইসমে কিতনা গুলি থে, গুনে গুনে গুলি যাবে। গুনে গুনে লাশ তোলা হবে। কেষ্ট-কৃষ্ণ কেউ বাঁচবে না।” এদিন জলপাইগুড়িতে জেলা শাসকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে এমনভাবেই শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে দেখা গেলো রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে। প্রকাশ্য জনসভায় বিজেপি নেতার এই মন্তব্যে ফের উত্তেজনার পারদ চড়ল রাজ্য রাজনীতি -তে । দিলীপ ঘোষের হুমকির পাল্টা কড়া জবাবও দিতে দেখা গেলো তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলার সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তীকে। তিনি জানালেন যে দিলীপবাবু মস্তানের মতো কথা বলছেন। এধরনের অহেতুক উসকানিমূলক মন্তব্য করে তিনি পরিবেশের শান্তিভঙ্গ করছেন একরকম।

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

জানা গেছে ,এদিনের বিজেপির বিক্ষোভ সমাবেশে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দলের জেলা সভাপতি দেবাশিস চক্রবর্তী,যুব মোর্চার সভাপতি শ্যাম প্রসাদ। আরো জানা গেছে যে, এদিনের বিক্ষোভ সমাবেশকে ঘিরে বেশ উত্তেজনা ছড়িয়েছিলো বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে। পুলিশের সঙ্গে গন্ডোগোলে ব্যারিকেডও ভেঙ্গে ফেলেন বিজেপি কর্মীরা। এর পাশাপাশি সমানে চলে পাথর বৃষ্টি।যার জেরে গুরুতর আহত হন পুলিশ কর্মীসহ অন্যান্য বিজেপি সমর্থকরাও। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। এতে আহত হন মহিলা বিজেপি সমর্থকরা । এরপরও উত্তেজনা না থেমে দায়িত্ব নেন পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি । এদিন সহযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে বিজেপি রাজ্যসভাপতি বার্তা দিয়েছিলেন যে, মার খেয়ে তাঁরা যেন বিজেপি না করেন। বিজেপি করতে হলে আগে মারতে শিখতে হবে। পুলিশও যদি তৃনমূলের ক্যাডারদের মতো আচরণ করে তবে পুলিশকেও ছাড়া যাবে না এমনটাই জানিয়ে দেন তিনি বিজেপি কর্মীদের। এদিন পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্বে শাসকদলের দাদাগিরির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে জলপাইগুড়ির পাশাপাশি বিভিন্ন জেলায়ও বিক্ষোভ কর্মসূচি করে রাজ্য বিজেপি । হাওড়ায় জেলাশাসকের অফিস ঘেরাও কর্মসূচিতে ছিলেন রাজ্যনেতা শমীক ভট্টাচার্য,মুকুল রায়,অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্বপ্রিশ রায়চৌধুরী,সঞ্জয় সিং ছাড়াও ছিলেন হাওড়া সদর সভাপতি সুরজিৎ সাহা এবং হাওড়া গ্রামীণের সভাপতি অনুপম মল্লিক।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!