এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > লাগামহীন দুর্নীতি! জনরোষ থেকে বাঁচতে বাঁশবাগানে আশ্রয় খুঁজছেন প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা!

লাগামহীন দুর্নীতি! জনরোষ থেকে বাঁচতে বাঁশবাগানে আশ্রয় খুঁজছেন প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –কথায় আছে, ঠেলার নাম বাবাজি। বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে এখন ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। সাধারণ মানুষের তরফেও তৃণমূল নেতাদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে। দলের তরফে কড়া বার্তা দেওয়া হচ্ছে, যাতে কেউ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে না পারেন। কিন্তু তারপরেও নেতারা কিছুতেই শোধরাচ্ছেন না। আর তাই দুর্নীতির অভিযোগ করতেই সাধারণের বিক্ষোভের মুখে পড়ে রীতিমত জনরোষ থেকে বাঁচতে বাঁশবাগানে আশ্রয় নিতে দেখা গেল এক তৃণমূল নেতাকে।

হ্যাঁ, অপ্রিয় হলেও এটাই সত্যি। বস্তুত, বনগাঁ ব্লকের 16 টি পঞ্চায়েত এলাকা থেকে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের টাকা বিলি নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। সম্প্রতি ঘাটবাওর পঞ্চায়েতে তৃণমূল সদস্যের বিরুদ্ধে সরব হন গ্রামবাসীরা। যেখানে অভিযোগ ওঠে যে, তৃণমূলের ওই গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য তার এক পরিচিতকে ক্ষতিপূরণের টাকা পাইয়ে দিয়েছেন।

দুর্যোগে তার বাড়ির কোনো ক্ষতি না হলেও, তিনি নিজের ক্ষমতাবলে তার পরিচিতকে সেই টাকা পাইয়ে দেওয়ার রীতিমত বিক্ষোভ শুরু করেন গ্রামবাসীরা। আর এর পরেই সাধারণ মানুষের জনরোষ থেকে বাঁচতে বাঁশবাগানে আত্মগোপন করতে দেখা যায় মানস ভট্টাচার্য নামে ওই তৃণমূল সদস্যকে। তবে পরবর্তীতে সেই তৃণমূল নেতাকে রাত এগারোটার সময় উদ্ধার করে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে পৌঁছে দেয় পুলিশ। বর্তমানে সেই তৃণমূল নেতা সেখানেই রয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ মানুষের বিক্ষোভের জেরে এখন তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারা যে কার্যত ভয়ে রয়েছেন, তা এই তৃণমূল নেতার বাঁশবাগানে লুকোনোতেই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করছে বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়ে সিপিএমের পঙ্কজ ঘোষ বলেন, “বনগাঁ ব্লকের ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে যারা টাকা পেয়েছেন, তাদের 80% ক্ষতিগ্রস্ত নয়।” তবে বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপালেও অনেক জায়গাতেই দেখা যাচ্ছে, বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতে দুর্নীতির ঘটনা ঘটছে। তাহলে কি বিজেপিও দুর্নীতিতে দায়ী?

এই প্রসঙ্গে বারাসাত সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি দেবদাস মন্ডল বলেন, “কালিমালিপ্ত করতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানরা আমাদের পঞ্চায়েত সদস্যদের একাউন্টে ক্ষতিপূরণের টাকা ঢুকিয়ে দিচ্ছেন। তৃণমূল সবথেকে বেশি দুর্নীতিতে যুক্ত।” কিন্তু যেভাবে সেই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে এবং জনরোষ থেকে বাঁচতে সেই তৃণমূল নেতা বাঁশবাগানে আশ্রয় নিলেন, তাতে তিনি যে দুর্নীতি করেছেন, তা তো এক প্রকার স্পষ্ট হয়ে গেল!

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা মানস ভট্টাচার্য বলেন, “অন্য এক পরিচিতের জন্য টাকার ব্যবস্থা করেছিলাম‌। ক্ষতিপূরণের টাকা পেতে জমির দলিল এবং পর্চা জমি দিতে হচ্ছে। অনেক ক্ষতিগ্রস্তদের জমির দলিল নেই। তেমনই একজনের জন্য নিজের বাড়ির নথি দিয়ে ক্ষতিপূরণ নিয়ে সেই টাকা তাকে দিয়েছি।”

এদিকে এই ব্যাপারে তৃণমূলের পক্ষ থেকে গোপাল শেঠ বলেন, “আমাদের দলের কেউ যদি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়ে টাকা নিয়ে থাকেন, তাহলে তা ফিরিয়ে দিতে হবে।” কিন্তু তৃণমূল দলের নিচুতলার কর্মীদের দূর্নীতি না করার জন্য প্রতিনিয়ত কড়া বার্তা দিলেও, যেভাবে প্রত্যেকদিন তৃণমূলের নানা নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির ঘটনা সামনে আসছে, তাতে কবে এই দুর্নীতি সমূলে উৎপাটিত হবে, তা নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!