এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দলের মধ্যে পরিবারতন্ত্রকে আরও প্রবল করলেন তৃণমূল নেত্রী? উঠছে প্রশ্ন

দলের মধ্যে পরিবারতন্ত্রকে আরও প্রবল করলেন তৃণমূল নেত্রী? উঠছে প্রশ্ন


লোকসভা ভোটের নিম্নমুখী ফলের পর গত শনিবার দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় -এর ক্ষমতা কমিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকেই প্রশ্ন উঠেছিলো – নেপোটিজমের তাহলে কি এই শেষ ? কিন্তু সেই প্রশ্নে একদম জল ঢেলে দিয়ে এবার দলে ভাইদের গুরুত্ব বাড়ালেন তৃণমূল সুপ্রিমো। শুক্রবার দলের কোর কমিটির বৈঠকে দুই ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় ও গণেশ বন্দ্যোপাধ্যায়কে জয়হিন্দ বাহিনীর শীর্ষপদ দিলেন নেত্রী।

গত বৃহস্পতিবার নৈহাটির এক মঞ্চ থেকে দুটি নতুন বাহিনী গড়ে তোলার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান বিজেপি এবং আরএসএস এর মোকাবিলায় ‘বঙ্গ জননী বাহিনী’ ও ‘জয় হিন্দ বাহিনী’ গড়ে তোলা হবে। এই দুটি দল প্রত্যেক ব্লকে কাজ করবে এবং বিজেপির হিংসাত্মক কার্যকলাপের রেশ টানবে। শুক্রবার কোর কমিটির বৈঠকে এই জয়হিন্দ বাহিনীর চেয়ারম্যান করেন ব্রাত্য বসুকে।ভাইস চেয়ারম্যান করেন ইন্দ্রনীল সেনকে।বঙ্গ জননী বাহিনীর মাথায় রাখা হয়েছে বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে। বাহিনীর সভাপতি ও কনভেনর হিসেবে নিযুক্ত করেছেন কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় ও গনেশ বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মুখ্যমন্ত্রীর ছোট ভাই বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দাদা অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় অনেকদিন ধরেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বাবুন তৃণমূলের স্পোর্টস সেলেরও দায়িত্বে রয়েছেন। দাদা অজিত হকি অ্যাসোসিয়েশন, অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত। কার্তিক এবং গণেশ বাবু অনেক দিন থেকেই ব্লক স্তরে কাজ করতেন।তবে এবার তাদের একেবারে সামনের সারিতে আনলেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিকে এই নিয়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের কথা যে ভাইয়েদের এনেও শেষ রক্ষা হবে না। তৃণমূল সরকার আর বেশিদিন টিকবে না। অন্যদিকে এর পাল্টা দিয়ে মাঠে নেমে পড়েছে ঘাসফুল শিবির। তাদের দাবি, বিজেপির বাংলায় কোনো জায়গা নেই, ২০২১ সে আর থাকবে না বিজেপি। দিদিকে দেখে লোকে ভোট দেয়। দিদিই ফের ক্ষমতায় আসবে ২০২১ এ।

প্রসঙ্গত, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো।যিনি দলে আসা মাত্রই দলে শীর্ষপদ পেয়েছিলেন। নেত্রীর পরেই স্থান ছিল তাঁর। যা নিয়ে দলে ক্ষোভ ছিল অনেক নেতা নেত্রীদেরই কিন্তু সেই নিয়ে মুখ না খুললেও সদ্য মিটে যাওয়া লোকসভা নির্বাচনে হাতছাড়া হয়েছে বহু আসন। আর তা ছাড়াও ঘাড়ের উপর নিঃস্বাস ফেলা বিজেপির বাড়বাড়ন্তর পর নিজেদের ক্ষোভ উগরে অভিষেকের পর একের পর এক পোস্ট পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর এর পর অভিষেকের ক্ষমতা অনেকখানি ছেঁটেছেন। কিন্তু এদিকে আবার দুই ভাইকে দলে বড়সড় পদ দিয়ে বিতর্ক কি বাড়লো সেই নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিকমহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!