হেভিওয়েট তৃণমূল নেতাকে বড়সড় অস্বস্তিতে ফেলে এফআইআর দায়ের করে তদন্তে পুলিশ রাজ্য June 20, 2018 রাজ্যের শাসক দলের প্রভাবশালী নেতা এবার পুলিশি তদন্তের জেরে অস্বস্তিতে পড়লো। আসানসোলের মেয়র তথা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধে পুলিশ এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করে তদন্ত শুরু করলো। উল্লেখ্য রাজ্যে ত্রিস্তরীয় নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার দিন অর্থাৎ ৭ই এপ্রিল আসানসোল বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘড়ুই মনোনয়নপত্র পেশ করতে গেছিলেন। ঐ সময়ে এসডিপিও অফিসের সামনে ১২ থেকে ১৫ জন আততায়ী লক্ষ্মণবাবুকে আক্রমন করে জানিয়ে তিনি অভিযোগ দায়ের করেন। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে লক্ষ্মণবাবুর দাবি, আততায়ীরা সকলেই তৃণমূল কংগ্রেস দলের কর্মী ও সমর্থক এবং তাদের নেতৃত্বে ছিলেন আসানসোল পুরনিগমের মেয়র তথা বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। শুধু তাই নয় অভিযোগ ওঠে ঐদিন আততায়ীরা বিজেপি জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘড়ুই’র পেটে ভোজালি ঢুকিয়ে দেয় বলে । এই ঘটনায় লক্ষ্মণবাবুর শরীরে ১৮টি সেলাই পড়ে। ঘটনার পরদিন আক্রান্ত বিজেপির জেলা সভাপতি দুর্গাপুর থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ কোনো অভিযোগ নেয়নি বলে জানা যাচ্ছে। শান্তি শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা পুলিশ প্রশাসন যেখানে নিস্ক্রিয় সেখানে সুবিচারের দাবিতে আসানসোলের ওই বিজেপি নেতা আদালতের স্মরণাপন্ন হয়। লক্ষ্মণবাবু গত ৩০শে এপ্রিল হাইকোর্টে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার মামলা করেন । এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে আদালতে শুনানি শুরু হলে বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘডুইয়ের পক্ষের আইনজীবী পার্থ ঘোষ এবং আইনজীবী শুভজিত্ শীল আদালতে তাঁদের মক্কেল লক্ষ্মণ বাবু নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এই কথা জানিয়ে অবিলম্বে তাঁর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আবেদন জানান। বিচারপতি প্রতীকপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিষয়টি নিয়ে সরাসরি পুলিশের কাছে আবেদন না জানানোর কারনে আদালত আবেদনটি খারিজ করে দিচ্ছে। তবে মামলাকারী লক্ষ্মণ ঘডুইয়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ যদি সঠিক তদন্ত না করে তা হলে মামলাকারী অবশ্যই আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন। গত ১৩ই জুন আদালতের এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে আসানসোল পুরনিগমের মেয়র তথা বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধে অবিলম্বে এফআইআর দায়ের করে মঙ্গলবার সেই স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিলো রাজ্য সরকার। আপনার মতামত জানান -