এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশ উড়িয়ে রমরমিয়ে চলছে নেতাদের ঘুষ নেওয়া! অভিযুক্তরা দেখছেন ষড়যন্ত্র!

তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশ উড়িয়ে রমরমিয়ে চলছে নেতাদের ঘুষ নেওয়া! অভিযুক্তরা দেখছেন ষড়যন্ত্র!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –দলের বিভিন্ন নেতার দুর্নীতির জন্য অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের। মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেষ্টা করছেন, চেয়ারে বসে তার যাতে তার দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তাকে কোনো কটু কথা শুনতে না হয়। যার কারণে প্রশাসনিক কাজের পাশাপাশি দলকে সময় দিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করে সমস্ত জেলা নেতাদের নির্দেশ দিচ্ছেন, যাতে কেউ কোনো দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত না হয়।

কিন্তু তা সত্ত্বেও জেলা থেকে জেলায় তৃণমূলের নিচুতলার নানা নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে, ভয়াবহ দুর্যোগের ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাৎ করার। পরিস্থিতি সামলাতে দলের তরফে শোকজ করা হচ্ছে। কিন্তু তাতেও লাভ হচ্ছে না কিছুই। এবার মুর্শিদাবাদের ডাঙ্গাপাড়ার তৃণমূলের এক বুথ সভাপতির বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, ডাঙ্গাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন হাসানপুরের তৃণমূল নেতা গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তিনি বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীর কাছ থেকে 10 হাজার টাকা করে কাটমানি নিয়েছেন। ইতিমধ্যেই জেলা পরিষদে এই অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রায় চারজন গ্রামবাসী। আর তৃণমূলের নেতার বিরুদ্ধে জেলাপরিষদে এই অভিযোগ দায়ের হওয়ায় এখন ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

এদিন এই প্রসঙ্গে বাড়ি প্রাপকের তালিকায় নাম না ওঠা বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী বলেন, “এতদিনেও কেন পরিদর্শন হল না, তা জানতে পঞ্চায়েতে গিয়েছিলাম। ওখানে একজন বললেন, তৃণমূল নেতা গোলাম কিবরিয়া সঙ্গে দেখা করতে। ওর কাছে গেলে উনি 10 হাজার টাকা করে চান। এটাও জানিয়ে দেন, টাকা দিলে তবেই নাম উঠবে। এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানলাম, আরও অনেকের কাছে উনি টাকা চেয়েছেন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে গ্রামবাসীরা এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এবার জেলা পরিষদে অভিযোগ দায়ের করার সাথে সাথেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা তৃণমূল নেতা মোশাররফ হোসেন বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে অভিযুক্ত নেতার বিরুদ্ধে।” যদিও বা গোটা ঘটনায় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা গোলাম কিবরিয়া। এদিন তিনি বলেন, “চক্রান্ত করে আমার বিরুদ্ধে এসব রটানো হচ্ছে। এলাকার উন্নয়ন করছি, সেটা অনেকের সহ্য হচ্ছে না।” তবে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা এই ব্যাপারে যে কথাই বলুন না কেন, এখন তদন্তের দিকে নজর রাখছেন সকলে।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে এভাবে সত্যিই দল পরিচালনা করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে যাচ্ছে। কেননা তিনি চেষ্টা করছেন দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গঠন করার। কিন্তু যেভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কড়া বার্তা দেওয়ার পরেও দলের অনেক নেতা সেই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ছেন, তাতে কিভাবে তিনি গোটা পরিস্থিতি সামলাবেন, তা সত্যিই চিন্তার বিষয় সকলের কাছে‌। শোকজ, সাসপেন্ড করে না হয় সেই সমস্ত নেতাদের বাদ দেওয়া গেল। কিন্তু তারপরেও যেভাবে অন্যান্য নেতারা সেই দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন, তাতে সব নেতাকে শোকজ করে আদৌ কিভাবে সমস্যার সমাধান হবে! তা নিয়ে একটা বিরাট প্রশ্ন তৈরি হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!