এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > সরকারি সভা ভন্ডুল করে দিলেন তৃণমূল নেতা! ক্ষোভে ফুঁটছেন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা!

সরকারি সভা ভন্ডুল করে দিলেন তৃণমূল নেতা! ক্ষোভে ফুঁটছেন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা!

 

শাসক দলে আছে তৃণমূল। আর সেই তৃণমূল নেতারাই এবার কিনা সরকারি সভা বন্ধ করে দিলেন। সূত্রের খবর, এবার বিডিও অফিসে সরকারি সভা ভন্ডুল করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ময়নাগুড়ি 2 ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে এখন প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বুধবার ময়নাগুড়িতে প্রশাসনিক বৈঠক ডাকা হয়েছিল। যে বৈঠকের এই ব্লকের 16 টি গ্রাম পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিদের ডাকা হয়েছিল। সেইমত তারা উপস্থিতও হয়েছিলেন। আর এই প্রশাসনিক বৈঠকটি বিডিও অফিসের মহিলা মহাসংঘ ভবনে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শুরুতেই বিপর্যয় ঘটতে শুরু করে।

জানা যায়, এদিনের এই প্রশাসনিক বৈঠক শুরু হওয়ার আগেই ময়নাগুড়ি 2 নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি শিবশংকর দত্ত নিজের অনুগামীদের নিয়ে সেই বিডিও অফিসে বৈঠক করেন। কিন্তু সেখানে তাদের বৈঠক থাকায় দীর্ঘক্ষন ধরে সেই মহাসংঘ ভবনের সামনে অপেক্ষা করেও অধৈর্য হয়ে যান অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা। পরে তারা বিডিওর অফিসে গিয়ে সেই বৈঠকে দেরি হওয়ার কারণ জানতে চান।

আর সেইসময় তৃণমূলের শিবশঙ্কর দত্ত বলেন, “ধর্মপুর পঞ্চায়েতের প্রধান পদ নিয়ে অচলাবস্থা চলছে। এর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কোনো বৈঠক হবে না।” আর শিবশংকর বাবুর এই কথাতেই প্রবল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এলাকায়। ক্ষোভে ফেটে পড়েন অনেক জনপ্রতিনিধিরা।

ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে শিবশংকর দত্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ময়নাগুড়ি ব্লক তৃণমূলের আহবায়ক ডালিম রায়। এদিন তিনি বলেন, “আমি শিবশংকর বাবুর এই আচরণ নিয়ে জেলা সভাপতিকে জানাব। তিনি দলের একজন ব্লক সভাপতি। তার কাছ থেকে এমন আচরণ কাম্য নয়। এই সরকারি বৈঠক পঞ্চায়েতগুলোর উন্নয়ন নিয়ে ছিল। শুধুমাত্র একটি পঞ্চায়েতের জন্য একটি জরুরী বৈঠক তিনি ভণ্ডুল করে দিয়েছেন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে এই প্রসঙ্গে শিবশঙ্কর দত্ত বলেন, “প্রশাসন পঞ্চায়েতগুলির উন্নয়ন সভা ডেকেছিল। কিন্তু ধর্মপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল থেকে বিজেপিতে চলে গিয়েছেন। আমরা তাকে প্রধান হিসেবে মানি না। তাই সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তাই বৈঠক ভন্ডুলের যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা ঠিক নয়।”

কিন্তু শিবশংকর দত্তের এহেন আচরণ নিয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের তরফে যেভাবে সরব হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, তাতে তৃণমূল দল প্রবল বিপাকে পড়েছে বলেই দাবি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। এদিকে ধর্মপুর পঞ্চায়েতের অচলাবস্থা নিয়ে এবং প্রধানকে না মানা নিয়ে শিবশংকর দত্তের মন্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া এসেছে বিজেপির তরফে। এদিন এই প্রসঙ্গে ধর্মপুরের বিজেপির প্রধান বিপুল দাস বলেন, “আমি তো প্রধান আছি। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। অভিযোগ এখনো প্রমাণিত হয়নি। তৃণমূল নেতা শিবশংকর বাবু আমাকে কাজ করতে দিচ্ছেন না।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির সভাপতি দেবাশীষ চক্রবর্তী বলেন, “ব্লক তৃণমূল সভাপতি উল্টোপাল্টা কথা বলছেন। ধর্মপুরের প্রধান অভিযুক্ত কিনা, তা আদালতে প্রমাণ হবে। তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ পুরো ভিত্তিহীন।” এদিকে তৃণমূলের শিবশংকর দত্তের বিরুদ্ধে যেভাবে তৃণমূলের একাংশ এবং বিজেপির সকলে অভিযোগ তুলছে, তাতে কি তৃণমূল অস্বস্তিতে পড়েছে না! এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি কিষাণ কুমার কল্যানীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমি আসামে রয়েছি। বুধবারের ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানি না।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!