এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বেধড়ক মার খেয়ে হাসপাতালে তৃণমূল নেতা, ‘ব্যক্তিগত সমস্যা’ বলে দায় এড়ালেন মন্ত্রী

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বেধড়ক মার খেয়ে হাসপাতালে তৃণমূল নেতা, ‘ব্যক্তিগত সমস্যা’ বলে দায় এড়ালেন মন্ত্রী

দলের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বারবার দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব কমানোর জন্য কড়া বার্তা দেওয়া হলেও নিচু স্তরের কর্মীদের মধ্যে যে সেই বার্তা এখনও এসে পৌঁছায়নি তা শাসকদলের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা গোষ্ঠী কোন্দলের খবরেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। এবার সাঁকরাইল থানার বাসুদেবপুরে এক তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল শাসকদলেরই অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে।

যে ঘটনায় আহত তৃণমূল কর্মী খোকন দত্তকে পাঁচলা গ্রামীণ হাসপাতালে গুরুতর জখম অবস্থায় ভর্তি করানো হয়েছে। কেন হঠাৎ খোকন বাবুর ওপরে এহেন হামলা হল? একাংশের মতে, এই খোকন দত্তের স্ত্রী স্থানীয় একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। ফলে প্রথম থেকেই তাঁর স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধ ছিলেন কেউ কেউ। আর খোকন বাবুর হামলার পেছনেও সেই বিরুদ্ধ গোষ্ঠী হাত রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা।

এছাড়াও বিগত পঞ্চায়েত ভোট থেকেই স্থানীয় পঞ্চায়েতে দলের নির্দেশ অমান্য করে সিপিএম সদস্যদের দিয়ে বোর্ড গঠন করায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী দুভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। জানা যায়, গত সোমবার রাতে এখানে একটি অনুষ্ঠান হয়েছিল। আর সেখানেই স্থানীয় তৃণমূল কর্মী খোকন দত্তের ওপর হামলা চালায় কিছু দুষ্কৃতী। আর এই ঘটনার পরই গত মঙ্গলবার সাঁকরাইল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন সেই খোকন বাবুর স্ত্রী।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে স্থানীয়দের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বর অভিযোগ তোলা হলেও সেই ব্যাপারটিকে পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন দক্ষিণ হাওড়া জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। ব্যক্তিগত গোলমালের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।”

একই কথা বলেছেন হাওড়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি অরূপ রায়ও। এদিন তিনি বলেন, “ব্যক্তিগত গোলমাল থেকেই এই ঘটনা। এর সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই।” তবে শুধু সাঁকরাইলের বাসুদেবপুরেই নয়, উৎসবের এই মরসুমে গত মঙ্গলবার পুলিশি হামলার প্রতিবাদে জগাছা থানায় বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়দের একাংশ। কিন্তু হঠাৎ কেন থানায় গিয়ে এহেন বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন স্থানীয়রা?

জানা গেছে, এই এলাকায় সরকারি প্রকল্পের কাজে একটি মাচা তৈরি করেছিলেন স্থানীয়দের একাংশ। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে সেই মাচাটি ভেঙে দেওয়াতেই শুরু হয় উত্তেজনা। এদিকে মাচাটি ভেঙে দেওয়ার প্রতিবাদে জগাছা থানায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে অবশেষে স্থানীয়দের বিক্ষোভের জেরে পুলিশের পক্ষ থেকে গোটা ঘটনাটি বিবেচনা করার আশ্বাস দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে উৎসবের মরশুমেও অব্যাহত শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!