এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বাড়ি ফিরতেই খুন তৃণমূল নেতা, উঠছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ, জোর চাঞ্চল্য রাজ্যে

বাড়ি ফিরতেই খুন তৃণমূল নেতা, উঠছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ, জোর চাঞ্চল্য রাজ্যে


বাড়ি ফিরতেই খুন হলেন তৃণমূল নেতা সমীর কাঁড়ার। জানা যাচ্ছে তাঁর বৌদি সবিতা কাঁড়ার চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য।এই খুনের পিছনে উঠছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ।

জানা যাচ্ছে রাজনৈতিক গোলমালের জেরে গত পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকে গ্রামছাড়া ছিলেন পঞ্চায়েতের সাত জন সদস্য ও পঞ্চায়েত সমিতির দু’জন সহ আমতার চন্দ্রপুরের অন্তত তিনশো জন। করোনা আবহে চলছে লোকডাউন আর সেই কারণেই যারা বাইরে রয়েছেন তারা সকলে ঘরে ফিরে আসছেন। ব্যাড যাননি এনারাও। পুলিশ ও প্রশাসনের সাহায্যে তাঁরা গত শনিবার গ্রামে ফেরেন, তাদের মধ্যে ছিলেন সমীর কাঁড়ারও।

স্থানীয় সূত্রে খবর , পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে বোর্ড গঠন নিয়ে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের মন্ধেই সংঘর্ষ বাঁধে। সেখানে পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে এক গোষ্ঠীর লোকজনকে গ্রামছাড়া হতে হয়েছিলকিন্তু এই করোনা আবহে শনিবার ঘরে ফেরেন আর সোমবার সন্ধ্যায় দলের অন্যদের সঙ্গে দেখা করে যান সমীর।অভিযোগ, দলের কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে বাড়ি ফেরার সময় ১০ -১৫ জন তাঁর উপরে চড়াও হয়ে বাড়ির কাছ থেকে টানতে টানতে নিয়ে যায় জমির ধারে। রড দিয়ে এলোপাথাড়ি মেরে পেটে শাবল ঢুকিয়ে পুকুরে ফেলে দেয়। তাঁর সঙ্গে অন্য এক ব্যাক্তি ছিলেন তিনি কোনও রকমে পালিয়ে পুলিশের কাছে আশ্রয় নেয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাতেই দেহ উদ্ধার করা হয়েছে কিন্তু ফের সংঘর্ষ বাঁধতে পারে বলে আশঙ্কায় এলাকায় এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী টহল দিচ্ছে। এমনকি বড়সড় বিপদ এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে ব়্যাফ। যদিও তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি ফেরানোর পর থেকে এলাকায় চাপা উত্তেজনা ছিল। ফের সংঘর্ষ বাঁধতে পারে এই আশঙ্কায় আমতা থানা থেকে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছিল তার পরেও কি করে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ প্রশাসনও।

এই নিয়ে মুখ খুলেছেন নিহতের পরিবার। নিহতের দাদা শিশির কাঁড়ার বলেন, ‘আড়াই বছর গ্রামছাড়া থাকার পরে ভাই ফিরেছিল। পুলিশ-প্রশাসন ওদের আশ্বাস দিয়েছিল। তার পরেও ওরা মেরে দিল।’ তবে কারুর নাম নেননি তিনি। ঘটনার পর থেকেই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মিঠুন ওরফে শেখ ফারুক মোল্লা ও তাঁর অনুগামীদেররা ফেরার।

উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক নির্মল মাজি বলেন, ‘এটা সিপিএম ও বিজেপি পরিকল্পনা করে করেছে। আমরা প্রশাসনের উপরে দায়িত্ব দিয়েছি যাতে আসামিদের যত শীঘ্র সম্ভব গ্রেফতার করা যায়।’

বিজেপির দাবি , ‘ওই অঞ্চলে আমাদের কোনও সদস্যই নেই। সবই তৃণমূলের। তাই এর সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই। এটা ওদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। এখন বিজেপির উপরে চাপানো হচ্ছে।’ পুলিশের দাবি তদন্ত চলছে তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!