এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > নেত্রীর কাছে খেলেন ধমক তাঁর প্রিয় ভাই ‘কেষ্টা’, পেলেন শাস্তিও, সরগরম রাজ্য রাজনীতি

নেত্রীর কাছে খেলেন ধমক তাঁর প্রিয় ভাই ‘কেষ্টা’, পেলেন শাস্তিও, সরগরম রাজ্য রাজনীতি


বীরভূমের একছত্র সম্রাট ছিলেন অনুব্রত মন্ডল ২০১৯ লোকসভার আগে পর্যন্ত। কিন্তু ধীরে ধীরে গোটা রাজ্যে যেমন বিজেপি থাবা বসাতে শুরু করেছে তেমনি বীরভূমেও থাবা বসিয়েছে বিজেপি। বীরভূম ও বোলপুর আসন দুটিতে জিতলেও বিজেপির উত্থান স্পষ্ট দেখা গেছে।

এদিকে গোটা রাজ্যে তৃণমুল ৪২ টি আসনের মধ্যে পেয়েছে মাত্র ২২ টি আসন আর বিজেপি পেয়েছে ১৮ টি। যদিও মুখরক্ষা হয়েছে কিন্তু বার বার যেখানে তৃণমূলের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল যে,৪২ সে ৪২ টি আসন পাবে তৃণমূল আর নেত্রী হবেন জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সেই স্বপ্নে জল ঢেলে গোটা দেশে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজেপি সরকার গঠন করে।

আর এর পরেই তৃণমূল নেত্রী পর্যালোচায় কালীঘাটে বৈঠক ডাকেন। প্রথমদিন পারিবারিক কারণ দেখিয়ে অনুপস্থিত থাকলেও এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বীরভুমেরে জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল।

লোকসভার বীরভূমের দুটি আসন জিতলেও বেশ কয়েকটি বিধানসভা আসনে পিছিয়ে তৃণমূল আর এই নিয়েই নেত্রীর ধমক খেলেন প্রিয় ভাই ‘কেষ্টা’।কেন হারলেন অনুব্রত, কঠোর জিজ্ঞাসা খোদ মমতার। উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের আগে বীরভূমের পাশাপাশি নদিয়া জেলার অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। এই জেলায় রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে হেরে যায় তৃণমূল। অরে র পরেই কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান যে, তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল নদিয়ার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব থেকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, অনুব্রত মন্ডলের সাংগঠনিক ভূমিকা নিয়ে প্রসংসা করতে দেখা গেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আর সে জন্যই বাড়তি দায়িত্বও তাঁকে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বীরভূমের পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমানের একাংশ, মুর্শিদাবাদ, নয়িয়ার পর্যবেক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। এমনকি ভোটের আগে বিষ্ণুপুরেও বিশেষ পর্যবেক্ষক করে পাঠানো হয় তাঁকে। কিন্তু বর্ধমান-দুর্গাপুর, রানাঘাট, বিষ্ণুপুর এবং বহরমপুরে অনুব্রত মন্ডলের নকুলদানা সাধারণ মানুষ ফিরিয়ে দিয়েছেন। আর যার জেরেই নেত্রীর প্রশ্নের সামনে পড়লেন তিনি। যদিও এই নিয়ে কোনো কথা বলেননি তিনি। কার্যত চুপ করেই শুনেছেন নেত্রীর ধমক।

তবে শুধু অনুব্রত মন্ডলই নয়, তালিকায় অরূপ বিশ্বাস, গৌতম দেব, বিনয় বর্মন, অজিত মাইতি- কে নেই।হেরে যাওয়া কেন্দ্রের সকলেই তৃণমূল নেত্রীর ক্ষোভের মুখে পড়েছেন।তবে এহনো এককালের প্রিয় ভাইকে ধমক দেওয়ার ঘটনাকে খুব একটা স্বাভাবিক চোখে দেখছেন না রাজনৈতিকমহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!