এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > নেত্রীকে অমান্য করে নিজের পদে স্বমহিমায় তৃণমূল নেতা,শোরগোল রাজ্যে

নেত্রীকে অমান্য করে নিজের পদে স্বমহিমায় তৃণমূল নেতা,শোরগোল রাজ্যে

দীর্ঘদিন ধরেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি বিপ্লব মিত্রের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে জল্পনা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠেছিল। তবে শুধু বিপ্লব মিত্রই নয়, তার সাথে গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান তথা তাঁর ভাই প্রশান্ত মিত্রেরও গেরুয়া শিবিরে যোগদানের প্রবল সম্ভাবনা জাঁকিয়ে বসে। কিন্তু গত সোমবার দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে গিয়ে বিপ্লব মিত্র সহ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি সহ 10 জন সদস্য গেরুয়া শিবিরের পতাকা নিজেদের হাতে তুলে নিলেও গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রকে বিজেপিতে যোগ দিতে দেখা যায়নি।

তবে অনেকেই দাবি করেছিলেন, দাদার সাথে দিল্লি গিয়েছিলেন প্রশান্ত মিত্রও। তবে কোনো কারণে হয়ত বা তার বিজেপিতে যোগদান সম্ভব হয়নি। এদিকে এই ঘটনার পর বিপ্লব মিত্র বিজেপির গেলেও সম্প্রতি বালুরঘাটের সুবর্ণতটে সাংবাদিক বৈঠক করে দলবিরোধী কাজের অভিযোগে গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র, বিপ্লব মিত্রর আরেক ভাই চিরঞ্জীব মিত্র এবং বিপ্লব মিত্র ঘনিষ্ঠ রতন ঘোষকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ।

আর লিখিতভাবে এখনও পর্যন্ত প্রশান্ত মিত্র বিজেপিতে যোগ না দেওয়ার পরও কেন তাকে দল থেকে অর্পিতাদেবী বহিষ্কার করলেন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছিল গুঞ্জন। তবে এবার অবশেষে সেই ব্যাপারে মুখ খুললেন বিপ্লব মিত্রের ভাই তথা গঙ্গারামপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান, তৃণমূলের বহিস্কৃত নেতা প্রশান্ত মিত্র।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার জেলায় ফিরে তিনি পৌরসভায় নিজের দপ্তরের কাজকর্ম করেন। আর সেখানেই বসে অর্পিতা দেবীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে প্রশান্ত মিত্র বলেন, “উনি আমাকে বহিষ্কার করার কে! ওনার কি কোনো অধিকার রয়েছে! আমার বিরুদ্ধে যদি দুর্নীতির একটা প্রমাণ দিতে পারে, তাহলে বুঝব। আমি এখনও তৃণমূলেই আছি। ব্যক্তিগত কাজে বাইরে ছিলাম। আমার সঙ্গে গঙ্গারামপুরের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সমস্ত কাউন্সিলররা রয়েছেন।”

আর অর্পিতা ঘোষের বিরুদ্ধে প্রশান্ত মিত্রের এহেন বিষোদগার নিয়ে এবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কিন্তু গঙ্গারামপুর পৌরসভার অনেক কাউন্সিলার জেলা সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষের সুরে সুর মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার জন্য তৎপর হয়েছেন। তাহলে তাকে চেয়ারম্যান হিসেবে আদৌ কি কেউ চাইছেন!

এদিন এই প্রসঙ্গে প্রশান্ত মিত্র বলেন, “কাউন্সিলরদের একাংশকে ভয় দেখিয়ে, গ্রেফতারের হুমকি দিয়ে আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে সই করে নেওয়া হয়েছে। সময় আসলেই সেটা প্রমাণ হয়ে যাবে।” তবে প্রশান্ত মিত্রের এহেন অভিযোগকে মান্যতা দিতে নারাজ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ। এদিন এই প্রসঙ্গে মুকুল রায় শুভ্রাংশু রায়ের সম্পর্কের কথা তুলে ধরে অর্পিতাদেবী বলেন, “আমরা মুকুল, শুভ্রাংশুকে দেখে শিক্ষা পেয়েছি। তাই দাদা বিজেপিতে আর ভাই তৃণমূলে এমনটা চলবে না। আমার এক্তিয়ার আছে। তাই আমি বহিষ্কার করেছি।”

অনেকে বলছেন, দিল্লিতে দাদা বিপ্লব মিত্রর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য গিয়েছিলেন গঙ্গারামপুর পৌরসভার পৌর প্রধান প্রশান্ত মিত্রও। তবে প্রশান্ত মিত্রের সঙ্গে তৃণমূলের একাধিক কাউন্সিলার বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও সেইমতো বিপ্লব মিত্রর এই ভাই অন্যান্য কাউন্সিলরদের বিজেপিতে নিয়ে যেতে না পারার জন্যই তাকে বিজেপি আর নিজেদের দলে গ্রহণ করেনি। ফলে তিনি কিছুটা হলেও বেকায়দায় পড়েছেন। আর তার পরেই তিনি জেলায় ফিরে আসায় তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে শুনে রীতিমতো অর্পিতা ঘোষের বিরুদ্ধে বিষোদগার করলেন এই নেতা।

তবে এদিন পৌরসভার একাধিক কাউন্সিলার তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেও সকলেই তার পাশে রয়েছেন বলে জানিয়ে দেন তৃনমূলের এই বহিস্কৃত নেতা। সব মিলিয়ে তাকে বহিষ্কার করায় অর্পিতা ঘোষের এক্তিয়ার নিয়েই প্রশ্ন তুললেন গঙ্গারামপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান প্রশান্ত মিত্র।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!