এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > তৃণমূলে হেভিওয়েট নেতার ‘পদ’ যেতেই দলেরই সোশ্যাল মিডিয়া গ্ৰুপে কার্যত ‘গণ-বিস্ফোরণ’!

তৃণমূলে হেভিওয়েট নেতার ‘পদ’ যেতেই দলেরই সোশ্যাল মিডিয়া গ্ৰুপে কার্যত ‘গণ-বিস্ফোরণ’!

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –ইতিমধ্যে ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে শাসক থেকে বিরোধী সব পক্ষই সংগঠনকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করছে।ইতিমধ্যে তৃনমূল কংগ্রেসের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে বিজেপি। কারন গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এক লাফে ১৮ টি সিট দখল করেছে এবং শতাংশের নিরিখে ৪% কম ভোট পেয়েছে বিজেপি। তাই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২১ জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে সভা থেকে কার্যত ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিয়েছেন। তৃণমূল নেত্রী সাংগঠনিক রদবদল করেছেন।

সাংগঠনিক রদবদলকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ঝড় ওঠে।ইতিমধ্যে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিভাগের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতোকে সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ঝড় ওঠে।শান্তিরাম মাহাতর পরিবর্তে গুরুপদ টুডুকে পুরুলিয়ার জেলা সভাপতি করা হয়।

যা নিয়ে কুড়মি সম্প্রদায়ের একাংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যঙ্গের সুরে বলছেন, ‘আদিবাসী নেতা গুরুপদ টুডু ব্লক সভাপতিই সামলাতে পারেন না, তিনি আবার জেলা সভাপতি।রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, পুরুলিয়াতে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ফল হিসাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ক্ষোভ প্রকাশ পায়।

এই নিয়ে পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের নতুন সভাপতি তথা পুরুলিয়া জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ গুরুপদ টু়ডু এী সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়গুলি নিয়ে আমি কোন কথা বলব না। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন সাধারণ মানুষজনকে নিয়ে তা আমি সঠিকভাবে পালন করে যাব।’

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে পুরুলিয়া জেলাতে যেভাবে তৃণমূলের মধ্যে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ছায়া দেখা দিল তা নিয়ে ভবিষ্যতে তৃণমূল কংগ্রেসকে কতটা বেগ পেতে হয় তা দেখার বিষয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, গত লোকসভার নির্বাচনে পুরুলিয়া লোকসভা বিজেপির দখলে যায়। কুরমিরাই লিখছেন, ‘পুরুলিয়ায় তৃণমূল ধ্বংসের মুখ্য কারিগর শান্তিরাম মাহাতোকে জেলা সভাপতি থেকে হটানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অশেষ ধন্যবাদ।’

আর একটি পোস্ট দেখা যায় যে ‘যারা ভাবছে পুরুলিয়ায় কুড়মি রাজনীতি শেষ তারা ২০২১ শে চরঘা সুতায় বাঝায় যাবেক। তার পর জানবেক কুড়মি রাজনীতি কী জিনিস। কুরমিরা বাজাও তালি।’ এই ভাবে পুরুলিয়া জেলা সভাপতি রদবদলকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ঝড় ওঠতে দেখা যায়।

এরই মাঝে একটি পোস্টে বলা হয়েছে ‘প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সি ভেবেছিল সুতার রাজনীতির দ্বারা পুরুলিয়ার কুড়মিদের রাজনীতি শেষ করবে। কিন্তু পরবর্তীকালে সুতার রাজনীতি শেষ করে দিয়েছিল কুড়মিরা। মনে রাখিস বন্ধু।’

এই পুরুলিয়া সাংগঠনিক রদবদলকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় উপ্তত প্রসঙ্গে
মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘সোশাল সাইটে কি লেখা হচ্ছে আমার জানা নেই। কেউ কোন ব্যক্তিগত মতামত তুলে ধরতেই পারেন।’

তবে মুখে তিনি যাই বলুন না কেন এর মধ্যে দিয়ে গোষ্ঠী যে প্রকট হয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি। তবে শেষ পর্যন্ত তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি পারবেন পুরুলিয়ার রাজনৈতিক জমি পুনরুদ্ধার করতে সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!