এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দলনেত্রী দায়িত্ব দিতেই নেতৃত্বে ব্যাপক রদবদল শুরু করে দিলেন হেভিওয়েট তৃণমূল নেত্রী

দলনেত্রী দায়িত্ব দিতেই নেতৃত্বে ব্যাপক রদবদল শুরু করে দিলেন হেভিওয়েট তৃণমূল নেত্রী

বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে এবারে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী থাকলেও শেষ পর্যন্ত এই কেন্দ্রে নিজেদের জয় ধরে রাখতে পারেনি শাসক দল। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি বিপ্লব মিত্রর উপরে প্রার্থী অর্পিতা ঘোষকে জেতানোর দায়িত্ব বর্তালেও বিপ্লব বাবুর নিজের গড় গঙ্গারামপুরেই বেশ কিছু ভোটে তৃণমূল প্রার্থী পিছিয়ে যান।

আর এরপরই গত শনিবারই এই লোকসভা ভোটের ফলাফল পর্যালোচনার বৈঠক ডেকে কালীঘাটের বাসভবন থেকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি পদ থেকে বিপ্লব মিত্রকে সরিয়ে সেই জায়গায় অর্পিতা ঘোষকে বসিয়ে দেয় স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর বদল হওয়ার সাথে সাথেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তীব্র শোরগোল পড়ে যায়। অনেকেই দাবি করতে থাকেন, যে বিপ্লব মিত্র দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তৃণমূলের সংগঠনঠাকে সাজিয়েছিলেন, এবং তার অনুগামীরাই যেহেতু দলের শাখার সংগঠনের পদগুলোতে রয়েছে, সেহেতু বিপ্লব বাবু এবং তার অনুগামীদের এবার হয়তো ডানা ছাটতে পারেন দক্ষিণ দিনাজপুরের নব্য জেলা সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ।

যেমন ভাবা তেমন কাজ। রবিবার কলকাতা থেকে জেলায় ফিরেই সোমবার বৈঠক করে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার যুব সভাপতির পদ থেকে বিপ্লব মিত্রের অনুগামী উত্তম ঘোষকে সরিয়ে সেখানে অম্বরীশ সরকারকে বসিয়ে দিলেন অর্পিতা দেবী। পাশাপাশি একসময় তৃণমূল থেকে বহিস্কৃত হয়ে যাওয়া দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার দাপুটে নেতা শুভাশিষ পাল ওরফে সোনা পালকেও এদিন দলে ফিরিয়ে আনার কথা ঘোষণা করলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের নব্য জেলা সভানেত্রী।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের সুবর্ণতট সভাগৃহে একটি দলীয় বৈঠক করেন অর্পিতা ঘোষ। যেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের এসসি এসটি সেলের জেলা সভাপতি সত্যেন্দ্রনাথ রায়, তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী বাচ্চু হাসদা, বিধায়ক তোরাফ হোসেন মন্ডল সহ অন্যান্যরা।

আর সেখানেই অর্পিতা ঘোষ বলেন, “অনেকদিন ধরেই যুব সভাপতি পরিবর্তনের কথা নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা চলছিল। আমরা আমাদের যুব সংগঠনকে সক্রিয় করার লক্ষ্যে যুব সভাপতি হিসেবে অম্বরিশকে বেছে নিয়েছি। অন্যদিকে তৃণমূল নেত্রীর কাছে বেশ কিছুদিন আগে সোনা পাল দলে ফিরতে চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন। তাই তাকেও দলে ফিরিয়ে দেওয়া হল।” তবে এদিনের এই বৈঠকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি বিপ্লব মিত্র ও তার অনুগামীরা না থাকায় তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে অর্পিতা ঘোষ বলেন, “বিপ্লব মিত্র জেলায় নেই। তিনি জেলায় এলে নিশ্চয়ই যোগাযোগ করব।” অন্যদিকে গতকাল টিভির পর্দায় গঙ্গারামপুরের বিধায়ক গৌতম দাসের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে শোরগোল পড়ে গেলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি বলেন, “আমরা গৌতমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ও জানিয়েছে যে সে যাবে না।”

পাশাপাশি বিপ্লব মিত্র দলত্যাগ করছেন কি না সে ব্যাপারেও পুরোটাই বিপ্লব মিত্রের কোর্টেই বল ঠেলে দিয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, দায়িত্ব নিয়েই অর্পিতা ঘোষ জেলায় যেভাবে যুব সংগঠনের সভাপতির পদ পরিবর্তন করে দিলেন, তাতে জেলায় যদি বিপ্লব মিত্র এবং তার অনুগামী প্রাক্তন যুব সভাপতি উত্তম ঘোষ তৃনমূলেই থাকে তাহলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও বাড়তে পারে।

আর যদি বিপ্লববাবু তার হাতে সাজানো একসময়কার সংগঠন এবং তার অনুগামীরা বিজেপিতে চলে যান, তাহলে জেলায় সংগঠন চালিয়ে নিয়ে যেতে অর্পিতাদেবীকেও যে প্রবল বেগ পেতে হবে সেই ব্যাপারেও আশঙ্কা প্রকাশ করতে শুরু করেছেন জেলার রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!