এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > প্রভাবশালী নেতা তৃণমূলে সাসপেন্ড হতেই জল্পনা বাড়িয়ে চটজলদি বৈঠকে হেভিওয়েট বিধায়ক!

প্রভাবশালী নেতা তৃণমূলে সাসপেন্ড হতেই জল্পনা বাড়িয়ে চটজলদি বৈঠকে হেভিওয়েট বিধায়ক!


সম্প্রতি এক শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে দল থেকে সাসপেন্ড হতে হয় কোচবিহার জেলা পরিষদের তৃণমূলের সদস্য তথা সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের আহ্বায়ক নূর আলম হোসেনকে। যে ঘটনার পরেই রীতিমতো জেলা তৃণমূলের অন্দরমহলে শোরগোল পড়ে যায়। প্রথমে ওই নেতার বিরুদ্ধে এক শিক্ষিকা ধর্ষণের অভিযোগ তোলার পরই অস্বস্তিতে পড়েছিল তৃনমূল কংগ্রেস। পরবর্তীতে ওই নেতার কাছ থেকে জবাবদিহি চেয়ে তাকে জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে শোকজ করা হয়।

পরবর্তীতে তিনি কোনো জবাবদিহি না করায় তাকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিনয় কৃষ্ণ বর্মন। এদিকে নুর আলম হোসেন থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই তিনি আর বর্তমানে তৃণমূলের কোনো পদে নেই। তাই এমত পরিস্থিতিতে এতদিন এই নুর আলম হোসেন সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের আহ্বায়ক পদে থাকলেও, সাসপেন্ড হয়ে যাওয়ায় নতুন দিশা ঠিক করতে বৈঠকে বসলেন সিতাই বিধানসভা তৃণমূলের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সিতাই বিধানসভার অন্তর্গত 17 টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার নেতৃত্বকে নিয়ে সিতাই বেসিক স্কুলের ঘরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে একটি বৈঠক করেন সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক। যেখানে আহ্বায়ক নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যায় তাকে। আর তৃণমূল বিধায়কের ডাকা এই বৈঠকে প্রথম থেকেই কে এই বিধানসভা কেন্দ্রের পরবর্তী আহ্বায়ক হবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল জল্পনা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে বৈঠকে এই ব্যাপারে একটু অন্যরকমের ঘোষণা করেন জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। যেখানে তিনি জানিয়ে দেন যে, আহ্বায়ক পদে আর নতুন কাউকে আনা হবে না। বিধায়ক নিজে থেকেই সাংগঠনিক কাজকর্ম পরিচালনা করবেন। তবে এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সহকারি আহ্বায়ক করা হয়েছে অশোক কুমার রায়চৌধুরী এবং প্রসন্নদেব শর্মাকে। আর তৃণমূল বিধায়কের এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে এখন রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা।

অনেকে বলছেন, নুর আলম হোসেন যে কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন এবং তাকে যে কারণে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, সেই কারণে অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই সামনে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিরোধীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া যায়, এমন কোনো কাজ করতে চাইছে না ঘাসফুল শিবির। ফলে বুঝেশুনে এখন নিজের হাতেই বিধানসভা কেন্দ্রের দায়িত্ব রেখে কাউকে আহ্বায়ক না করার সিদ্ধান্ত নিলেন এই তৃণমূল বিধায়ক।

এদিন এই প্রসঙ্গে সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন, “করোনা পরিস্থিতির কারণে আমরা জমায়েত করতে পারিনি। বিধানসভা ভিত্তিক কমিটির বৈঠক হয়েছে। সাধারণত আহ্বায়ককে চেয়ারম্যানের কাছে সহযোগিতা করার জন্য রাখা হয়। যেহেতু এখানে একজন আহ্বায়ক নেই, তাই আমি নিজেই ওই কাজটি পরিচালনা করব।” এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!