এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের দুই মন্ত্রীর ওপর খাড়া নেমে আসতে পারে আজকের মমতার বৈঠকে, নাম নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে

উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের দুই মন্ত্রীর ওপর খাড়া নেমে আসতে পারে আজকের মমতার বৈঠকে, নাম নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে

 

লোকসভায় দলের খারাপ ফলাফল দেখে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 42 এ 42 এর স্লোগান তুলে কিভাবে তাকে 22 এই আটকে যাতে হল, তা নিয়ে নানা পর্যালোচনাও করেছিলেন তিনি। যার ফলশ্রুতি হিসেবে উঠে এসেছিল, দলীয় গোষ্ঠী কোন্দল, জনপ্রতিনিধিদের দুর্নীতি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সংযোগের অভাব। কিন্তু দলের ভরাডুবির পর দুর্নীতি দূর করতে এবং দলের নেতা থেকে বিধায়কদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে “দিদিকে বলোর” মত কর্মসূচি নেয় তৃণমূল কংগ্রেস।

বর্তমানে এই কর্মসূচির ওপর ভর দিয়ে তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কিন্তু সামনেই পৌরসভা নির্বাচন। আর তারপরই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। বিজেপি ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় তাদের জোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। আর এমতাবস্তায় দলের রননীতি ঠিক করতে আজ তৃণমূল ভবনে জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, এদিনের এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন তৃণমূলের সমস্ত বিধায়ক, সাংসদ এবং জেলা পরিষদের কর্মকর্তারা। তবে তৃণমূলের রণনীতিকার প্রশান্ত কিশোর এদিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কিনা, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে তৈরি হয়েছে জল্পনা। কিন্তু ঠিক কী কী হতে পারে এদিনকার এই বৈঠকে!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, “দিদিকে বলো” কর্মসূচি ঠিক কোন পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে, তার ব্যাপারে দলের বিধায়ক থেকে নেতাদের কাছে খোঁজখবর নিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরই তাদের জনসংযোগের নতুন কর্মসূচি বেঁধে দিতে পারেন তিনি। শুধু তাই নয়, সাংগঠনিক স্তরেও বেশকিছু রদবদল এদিনের বৈঠক থেকে করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে জানা গেছে। পাশাপাশি মন্ত্রিসভাতেও নতুন মুখ আসতে পারে বলে খবর।

বিশেষ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের দুই মন্ত্রীর ওপর খাড়া নেমে আসতে পারে। আর তাদের দুইজনকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দিয়ে তার জায়গায় নতুন মুখ আনতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই দুই ব্যক্তি কারা, এখন সেদিকেই নজর গোটা রাজনৈতিক মহলের।

একাংশ বলছেন, দলের সাংগঠনিক পরিবর্তন থেকে শুরু করে মন্ত্রিসভায় রদবদল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সমস্ত কিছুই আগামী নির্বাচনকে ইস্যু করে। যাতে কোনোরকম দুর্নীতি দলে ঠাই না পায় এবং সাধারন মানুষের কাছে দল সম্পর্কে যাতে কোনো ভুল বার্তা না যায়, তার জন্যই এদিনের বৈঠকে দলের নেতাকর্মীদের স্পষ্ট নির্দেশ দিতে পারেন তৃণমূল নেত্রী। জানা যাচ্ছে, আগামী 17 ই নভেম্বরের মধ্যে ঐতিহাসিক অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সমস্ত রাজনৈতিক দলের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

কিন্তু অযোধ্যা মামলার এই রায়ে তৃণমূলের অবস্থান কী হবে, তা এদিনের বৈঠক থেকেই বেঁধে দিতে পারেন তৃণমূল নেত্রী। এনআরসি ইস্যুতে বিজেপি বিরোধীতায় দলের নেতাকর্মীরা ঠিক কতটা সুর চওড়া করবে, তাও নির্ধারণ হতে পারে এদিনের তৃণমূল ভবনের বৈঠক থেকে বলে খবর। সব মিলিয়ে একগুচ্ছ সম্ভাবনা নিয়ে তৃণমূল ভবনে হওয়া আজকের বৈঠকে দলের বিধায়কদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক কি নির্দেশ দেন, সেদিকেই তাকিয়ে গোটা রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!