এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > স্বল্পবসনা নর্তকীর সঙ্গে প্রকাশ্যে উদ্দাম নেচে তীব্র বিতর্কে দাপুটে তৃণমূল নেতা!

স্বল্পবসনা নর্তকীর সঙ্গে প্রকাশ্যে উদ্দাম নেচে তীব্র বিতর্কে দাপুটে তৃণমূল নেতা!

 

অতীতেও দলের নিচুতলার নেতাকর্মীদের কার্যকলাপে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। আর লোকসভা নির্বাচনের পর যখন দলকে স্বচ্ছ হিসেবে সাধারণ মানুষের কাছে উপস্থাপিত করতে চাইছে তৃণমূল, ঠিক তখনই তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের পারিবারিক অনুষ্ঠানে নর্তকীর সঙ্গে নাচের আপত্তিকর ভিডিও প্রবল বিরম্বনায় ফেলল রাজ্যের শাসক দলকে।

জানা যায়, ধনেখালি 1 পঞ্চায়েতের প্রধান সফিকুল ইসলাম ওরফে বুলবুলের বাড়ি লোকাবাটি গ্রামে। তাই চার দিন আগে তিনি ভাগ্নের জন্মদিনে ধনেখালি সদরে এসেছিলেন। সেখানেই একটি নাচ-গানের দলকে ভাড়া করা হলে সেই জন্মদিনের অনুষ্ঠানে সেই প্রধান এক স্বল্পবসনা নর্তকীর সঙ্গে নাচতে শুরু করেন। যে ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছে ঘাসফুল শিবির।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একজন তৃণমূলের নেতা অবশ্যই আনন্দ করবেন! কিন্তু জনমানসে সেই আনন্দের কুপ্রভাব পড়বে, এমনটা তো কাম্য নয়। এতে তো দল তৃণমূল কংগ্রেস আরও বেশি বিপাকে পড়ল! ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তৃণমূল দাবি করতে শুরু করেছে যে, সেই প্রধানের সঙ্গে তাদের দলের আর কোনো যোগ নেই। তবে প্রধান অবশ্য তার নাচ নিয়ে উল্টে বেশি করেই গর্ববোধ করছেন। কেন তিনি এভাবে নাচলেন! এটাতে কি সমাজে কুপ্রভাব পড়ল না!

এদিন এই প্রসঙ্গে সেই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শফিকুল ইসলাম ওরফে বুলবুল শেখ বলেন, “জন্মদিনের অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে আনন্দ হবে, এটাই স্বাভাবিক। পরিবারের সবাই ছিল। তাদের সামনেই নেচেছি। অশ্লীল কিছু করিনি। ওটা শ্রাদ্ধ বাড়ি ছিল না যে, শোক করব। আমার শত্রুরাই এসব ভাইরাল করে মজা নিয়েছে। আর আমি ছুটিতে আছি। তাই প্রধান নই। শরীর খারাপ থাকায় দলের সঙ্গে অনেকদিন যোগ নেই।”

এদিকে প্রধানের এহেন অশ্লীল নৃত্যের ভিডিও ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় সাফাই দিতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে ধনেখালির তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী অসীমা পাত্র বলেন, “গত মে মাসে আমরা এই প্রধানকে ছুটিতে পাঠিয়েছিলাম। দলের ভাবমূর্তি খারাপ করার কারণেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল। আইনিভাবে উপপ্রধান এখন প্রধানের কাজ করছেন। দল থেকেও তাকে কোনো কাজ না করতে বলা হয়েছে। তাই উনি কি করছেন, তার জবাব তিনিই দিতে পারবেন। এর সঙ্গে দল নিজেকে জড়াচ্ছে না।”

তবে তৃণমূল এই ঘটনার সঙ্গে নিজেদের জড়াতে না চাইলেও এই ব্যাপারে অন্য প্রতিক্রিয়া দিয়েছে গেরুয়া শিবির। ইতিমধ্যেই এই ঘটনাকে ইস্যু করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছে তারা। এদিন এই প্রসঙ্গে হুগলি সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি সুবীর নাগ বলেন, “নর্তকী নিয়ে নাচাগানা হবে, সেই ভিডিও ভাইরাল হবে, এসবই তো তৃণমূলের সংস্কৃতি। এর আগেও একাধিক এমন ঘটনা ঘটেছে। অপসংস্কৃতি চর্চাই ওদের ঐতিহ্য। এখন দলের সঙ্গে যোগ নেই বলে দায় এড়ানোর চেষ্টা করলে কি করে হবে! তাতে সংস্কৃতিবান হওয়া যাবে না। ওই প্রধানকে তৃণমূল এখনও বহিস্কার করেনি।”

সব মিলিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দায় অস্বীকার করা হলেও প্রধানের অশ্লীল নৃত্য ভিডিও ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় এখন প্রবল অস্বস্তিতে পড়তে শুরু করেছে রাজ্যের শাসক দল বলে দাবি রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!