এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > পদ হারাতেই প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা প্রান ভয়ে কাঁপছেন? নতুন আবেদন ঘিরে সরগরম ঘাসফুলের অন্দর!

পদ হারাতেই প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা প্রান ভয়ে কাঁপছেন? নতুন আবেদন ঘিরে সরগরম ঘাসফুলের অন্দর!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –প্রায় সকলেরই জানা, পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত। কমবেশি প্রতিটা জেলাতেই এক তৃণমূল নেতাকে পদ থেকে সরাতে অন্য নেতা ও তার গোষ্ঠীরা উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন। এক্ষেত্রে কোনো নেতাকে পদ থেকে সরালেই বিরোধী গোষ্ঠী দ্বারা তিনি আক্রান্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ প্রকাশ্যে আসে। যাকে হাতিয়ার করে বিরোধীরা। আর এবার পদ থেকে সরার কয়েক মাস পরেই নিজের নিরাপত্তার জন্য বন্দুকের লাইসেন্সের আবেদন করলেন একজন নেতা। যার ফলে শাসকদলের অন্দরে ব্যাপক গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, কেশপুরের প্রাক্তন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সঞ্জয় পান। প্রায় বেশ কয়েক মাস হল, তিনি এই পদে নেই। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে সঞ্জয়বাবুর জন্য এবার প্রশাসনের কাছে বন্দুকের লাইসেন্সের আবেদন করতে দেখা গেল তার ঘনিষ্ঠ কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী শুভ্রা দে সেনগুপ্তকে। কিন্তু হঠাৎ কেন এই আবেদন করলেন তিনি? কেন তার হঠাৎ করে বন্দুকের প্রয়োজন হয়ে পড়ল?

এদিন এই প্রসঙ্গে সঞ্জয় পান বলেন, “আমাকে জঙ্গলমহলে যেতে হয়। কাছে একটা বন্দুক থাকলে অনেকটা নিশ্চিন্ত। আমার তো এখনও একজন নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে। আমি আসলে চাষী। পিস্তলের জন্য নয়, বন্দুকের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছি। পিস্তল বড় ব্যবসায়ী বা বড় লোকেদের কাছে থাকে। আমি অত বড় নই।” তবে সঞ্জয়বাবু একথা বললেও, তার এই পদক্ষেপ ঘিরে এখন বেশ কিছু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, তাহলে কি নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন এই তৃনমূল নেতা? কিন্তু যেখানে সরকার তাদের, প্রশাসন তাদের, সেখানে তিনি কেন এত নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন? অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, হয়ত বা নিজের দলের গোষ্ঠী কোন্দলের কারণেই তার ওপর হামলা হতে পারে। আর এই আশঙ্কায় এবার বন্দুকের আবেদন করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। কিন্তু এমনটা যদি হয়, তাহলে তৃণমূলের ভেতরকার শৃঙ্খলা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠবে, ঠিক তেমনই প্রশ্ন উঠতে শুরু করবে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও‌।

অনেকেই বলবেন, যেখানে তৃণমূল নেতারা সুরক্ষিত নয়, সেখানে মানুষ কি করে সুরক্ষিত থাকবে! তবে নিজের সুরক্ষার জন্য তৃণমূল নেতার প্রশাসনের কাছে বন্দুকের লাইসেন্স পাওয়ার আবেদনকে খুব একটা ভালো চোখে দেখছে না বিরোধীরা। এদিন এই প্রসঙ্গে ঘাটাল জেলা বিজেপির সভাপতি অন্তরা ভট্টাচার্য বলেন, “তৃণমূল নেতাকে বন্দুকের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হচ্ছে। বোঝাই যাচ্ছে কি পরিস্থিতি!”

সত্যিই তো তাই! কেন তৃণমূল নেতা এই ধরনের আবেদন করলেন? এদিন এই প্রসঙ্গে কেশপুরের তৃণমূল বিধায়ক শিউলি শাহা বলেন, “এখন কেশপুরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি একদম ঠিকঠাক রয়েছে। সঞ্জয় ব্যক্তিগত কোনো ভয়-ভীতি থেকে থাকতে পারে।” তবে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি যে কথাই বলুন না কেন, পরিস্থিতি যে খুব একটা ভালো নয়, তা তৃণমূল নেতার আশঙ্কা এবং বন্দুকের লাইসেন্স পাওয়ার আবেদনেই কার্যত পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!