এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রীর পায়ের নীচে নেতাজী, জোর বিতর্ক!

তৃণমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রীর পায়ের নীচে নেতাজী, জোর বিতর্ক!


 

কিছুদিন আগেই স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম জয়ন্তী উদযাপন ঘিরে প্রবল বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম জয়ন্তী উদযাপনের নিচে তৃণমূলের একাধিক নেতার ছবি দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল। যা নিয়ে চূড়ান্ত বিতর্ক তৈরি হয় রাজ্যজুড়ে। তবে এই ঘটনার পর তৃণমূল নিজেদের শুধরে নেবে বলে বিরোধীদের তরফে মনে করা হলেও, তা তো হলই না, উল্টে ফের এক মনীষীর সাথে তৃনমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রী ছবি দেখা যাওয়ায় তৈরি হল বিতর্ক।

সূত্রের খবর, এদিন মেদিনীপুরে জাতীয় সড়ক জুড়ে একটি ফ্লেক্স লাগানো হয়। যেখানে 23 শে জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম জয়ন্তী উদযাপন করা হবে বলে লেখা রয়েছে। কিন্তু সেই ফ্লেক্সে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ছবি উপরে থাকা অপেক্ষা, তার মাথার উপরে ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিব্যেন্দু অধিকারী এবং শিশির অধিকারীর ছবি। আর স্বামী বিবেকানন্দের পর আরেক মনিষী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তী উদযাপনে কেন তৃণমূল নেতাদের ছবি বেশি ওপরে রয়েছে! তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে সর্বত্র। তাহলে কি ক্ষমতার কাছে মনীষীদের প্রভাব এখন ছোট হয়ে যাচ্ছে! তবে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ছবির উপরে তাদের ছবি দেওয়া নিয়ে বেজায় চটেছেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন কাঁথি থেকে কলকাতায় আসার পথে এহেন তোরণ দেখতে পান রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী। আর তখনই উদ্যোক্তাদের ফোন করে কড়া ভাষায় ধমক দেন তিনি। তিনি বলেন, “রাজনীতি করতে গিয়ে মনুষ্যত্ব হারিয়ে ফেলেছেন! নেতাজি ছবির সঙ্গে আমার ছবি যারা লাগিয়েছে, তারা আসলে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীকে অপমান করেছেন। এই অপমান কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। অবিলম্বে ওই পোস্টার-ব্যানার খুলে নেতাজির ছবি দিয়ে ব্যানার লাগাতে হবে।”

জানা গেছে, মন্ত্রীর ধমক খাওয়ার সাথে সাথেই রাত দশটার মধ্যেই সেই সমস্ত বিতর্কিত ব্যানার খুলে ফেলা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মন্ত্রীকে খুশি করতে গিয়ে উদ্যোক্তারা যেভাবে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে অপমানিত করলেন তা সত্যিই হতাশাজনক। কবে এই ক্ষমতায় মজে যাওয়া ব্যাক্তিদের হুশ ফিরবে! এখন এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সর্বত্র।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!