এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > স্থানীয় দুষ্কৃতিদের কাজে পুলিশের নীরব প্রশ্রয়ের গুরুতর অভিযোগ দাপুটে তৃণমূল নেতার

স্থানীয় দুষ্কৃতিদের কাজে পুলিশের নীরব প্রশ্রয়ের গুরুতর অভিযোগ দাপুটে তৃণমূল নেতার

ফের তৃণমূল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শান্তিভঙ্গ করল বিধাননগর এলাকার। বাইপাস লাগোয়া দত্তবাদে তৃণমূল আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতি নাকি বাড়িতে ঢুকে তান্ডব করেছে। এর সঙ্গে সমানে চালিয়েছে ভাঙচুর এবং লুটপাট কর্মসূচি। এলাকার তৃণমূল তরফেই মেয়র সব্যসাচর দত্ত এবং  ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার নির্মল দত্তের দলবলের মধ্যে গন্ডোগোলের জেরেই নাকি এসব হয়েছে বলেই অভিযোগ জানিয়েছেন দলের একাংশ।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এ প্রসঙ্গে সব্যসাচী বাবু জানান যে, দুষ্কৃতিরা ঘরে ঢুকে লুট করে নিয়েছে সব। কয়েকজন মহিলা বললেন যে, ঘরে জল খাওয়ার একটা গ্লাসও ছেড়ে যায়নি তাঁরা। এলাকার কাউন্সিলাররা এতোদিনে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিলে স্থানীয় বাসিন্দাদের তাঁর কাছে ছুটে আসতে হত বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মেয়র। কিন্তু কার মদতে এসব করার সাহস পাচ্ছ দুষ্কৃতিরা। এর জবাবে মেয়র জানালেন যে, তৃণমূলের দলীয় কর্মীরাই এলাকা দখলের নামে এভাবে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। এতে লোকসভা ভোটের আগে দলেরই ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।  তবে এর পেছনে পুলিশেরও হাত আছে নলে দাবী করেন তিনি। প্রসঙ্গত, পুলিশের বিরুদ্ধে এই অভি্যোগ তুলে এদিন তিনি বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশের কাছে একটি স্মারকলিপিও জমা দেন। এবং এদিন বেশ কিছু তৃণমূল কর্মীর পুলিশের মদতপুষ্টের অভিযোগ তুলে থানার সামনে বিক্ষোভও দেখান। মেয়র পুলিশ প্রশাসনকে একরকম তোপ দেগেই জানালেন যে, এরপরও যদি পুলিশ কড়া পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে এবার তাঁরা দত্তবাদবাসী থানায় ঢুকে বললেন য তাঁদেরকে গ্রেফতার করতে। এভাবেই প্রতিবাদ জানাবেন তাঁরা,এমনটাই জানিয়ে দিলেন মেয়র এদিন।অন্যদিকে,দুষ্কৃতিরোধে পুলিশের নীরব ভূমিকা একদমই অস্বীকার করলেন কাউন্সিলার নির্মল দত্ত। তিনি  জানালেন যে, এলাকায় শান্তি ফেরাতে ভালোই উদ্যোগ নিচ্ছে পুলিশ প্রশাসন।

উল্লেখ্য, দুষ্কৃতিরা মোট স্থানীয় বাসিন্দাদের বেধড়ক মারধোর করেছে। দুজনই আপাতত হাসপাতালে ভর্তি। এদিন এঁদের সুরক্ষার কথা ভেবেই থানায় স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়েছিলেন মেয়র। এমনটাই জানা যাচ্ছে রাজনৈতিক সূত্রের খবর থেকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!