এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ভাবমূর্তি ফের স্বচ্ছ করতে নেত্রীকে চার নেতা-মন্ত্রীকে “নিষ্ক্রিয়” করার পরামর্শ প্রশান্ত কিশোরের, জোর সোরগোল

ভাবমূর্তি ফের স্বচ্ছ করতে নেত্রীকে চার নেতা-মন্ত্রীকে “নিষ্ক্রিয়” করার পরামর্শ প্রশান্ত কিশোরের, জোর সোরগোল

এবারের লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 42 এ 42 এর স্লোগান দিলেও তার সেই স্লোগান পূর্ণ হয়নি। উল্টে বিজেপি এই রাজ্য থেকে 18 টির মতো আসন দখল করে তৃণমূলের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে। আর দলের এই খারাপ ফলাফলের পরই দলীয় স্তরে একাংশ নেতা, মন্ত্রীর দুর্নীতিই যে প্রধান ভাবে দায়ী তা বুঝতে দেরি হয়নি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

ইতিমধ্যেই বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে দলকে ঘুরে দাঁড় করাতে ভোটগুরু বলে পরিচিত প্রশান্ত কিশোরকে নিয়োগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিকবার এই ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করে কিভাবে ভবিষ্যতে পথ চলতে হবে তার রণনীতিও বাতলে দিয়েছেন সেই প্রশান্ত কিশোর।

এমনকি যুব সমাজকে রাজনীতিতে নিয়ে আসবার জন্য ফেসবুকে অনলাইনে অ্যাপের মাধ্যমে সেখানে আবেদন করারও কথা বলেছে তার সংস্থা। আর এবার দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করা এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুল পথে দলকে পরিচালিত করার দায়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চার নেতা মন্ত্রীকে কালো তালিকাভুক্ত করে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ার পরামর্শ দিলেন প্রশান্ত কিশোর।

সূত্রের খবর, গত শুক্রবারই তৃণমূল ভবনে বেশ কয়েকটি দফায় তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এই ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছেন ভোটগুরু। কিন্তু সেই চার জন ব্যক্তি ঠিক কারা কারা! যাদেরকে কার্যত অপ্রাসঙ্গিক করে রাখার জন্য তৃণমূল নেত্রীকে পরামর্শ দিলেন প্রশান্ত কিশোর!

জানা গেছে, মূলত বিরোধী শূন্য করে দেওয়া পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পেছনে থাকা দক্ষিণবঙ্গের এক তৃণমূল নেতা, যে কিনা ভোটের সময় নানা বিতর্কিত মন্তব্য করে দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছিলেন। এছাড়াও উত্তরবঙ্গের দুই নেতা-মন্ত্রী এবং দক্ষিণবঙ্গের আরও এক প্রভাবশালী নেতা তৃণমূলের এই নিষ্ক্রিয় হওয়ার তালিকায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, প্রশান্ত কিশোরের আই পাক টিম রীতিমতো সমীক্ষা করেই এই তথ্য তৃণমূল নেত্রীকে জানিয়েছে। তবে শুধু চার নেতা মন্ত্রীকে নিষ্ক্রিয় করাই নয়, ভোটের আগে যেভাবে তৃণমূল দল পুলিশ প্রশাসনের ওপর নির্ভর হয়ে গিয়েছিল, তাও কমানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরামর্শ দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। রাজনীতির মধ্যে দিয়ে বিরোধীদের দমন করার কথা বলেছেন তিনি। মিটিং-মিছিলের বাদে বাকি সমস্ত জায়গা থেকে পুলিশ প্রশাসনকে যাতে দূরে রাখা হয়, তার জন্যও ঘাসফুল শিবিরকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এমনকি বিগত বাম আমলে কেশপুর, সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম নেতাইয়ে যারা লড়াই করেছিলেন সেই সমস্ত রাজনৈতিক কর্মীরা আজ অনেকেই অবহেলিত হওয়ায় দলের প্রতি তাদের ক্ষোভ বেড়েছে। ফলে সেই সমস্ত কর্মীদের তুলে এনে পুলিশের অন্যায্য কাজের বিরুদ্ধে তৃণমূলকে লড়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে সামনের পুরসভা নির্বাচনে এক একটি ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হিসেবে 3 থেকে 4 জনকে বাছাই করার কথা বলেছেন প্রশান্ত কিশোরের এই টিম। আর এদের মধ্যে যে সব থেকে বেশি জনপ্রিয়, তাকেই প্রার্থী করার ব্যাপারে তৃণমূলের কাছে সুপারিশ করা হবে বলে জানা গেছে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, দুর্নীতি, দলের নিচুতলার কর্মীদেরকে ঠিকমতো পাত্তা না দেওয়া এবং পুরনো দিনের কর্মীদেরকে ভুলে যাওয়াই এবার তৃণমূলের খারাপ ফলাফলের অন্যতম কারণ। আর ভোটগুরু হিসেবে তৃণমূলের ভোট বৈতরণী পার করার দায়িত্ব নিয়েই এই সমস্ত সমস্যার সমাধান করে তৃণমূল নেত্রীকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দিলেন প্রশান্ত কিশোর বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!