এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > জল্পনা বাড়িয়ে অবশেষে পদত্যাগপত্র জমা করলেন হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা

জল্পনা বাড়িয়ে অবশেষে পদত্যাগপত্র জমা করলেন হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা


 

তাঁকে নিয়ে অনেক দিন ধরেই রঘুনাথপুর পৌরসভায় জটিলতা চলছে। তিনি আর কেউ নন, তৃণমূল পরিচালিত পুরুলিয়া রঘুনাথপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান ভবেশ চট্টোপাধ্যায়। তবে এবার সমস্ত জটিলতাকে দূরীভূত করে অবশেষে নিজের চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ভবেশবাবু। যাকে নিয়ে বিভিন্ন মহলে ছড়িয়ে পড়ছে জল্পনা। প্রসঙ্গত, গত 25 অক্টোবর এই ভবেশ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তৃণমূলের 7 কাউন্সিলর তাদের অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন।

আর এরপরই অস্বস্তি বাড়তে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেসের। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিদ্রোহী কাউন্সিলরদের নিয়ে গত 26 অক্টোবর একটি বেসরকারি লজে বৈঠক করেন জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক মলয় ঘটক থেকে শুরু করে জেলা তৃণমূল সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো। পরবর্তীতে সেই বিদ্রোহীরা তাদের অনাস্থা প্রস্তাব ফিরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানালেও চেয়ারম্যানকে তার পদ থেকে সরিয়ে দিতে হবে বলে শর্ত দেন।

আর এরপরই দলের তরফ থেকে 31 অক্টোবর কলকাতায় এই ব্যাপারে বৈঠক ডাকা হবে বলে জানানো হলেও গত 1 অক্টোবর সেই রঘুনাথপুর পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর এবং চেয়ারম্যানকে নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আর সেখানেই নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা নেতৃত্বকে জানিয়ে দেন রঘুনাথপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান ভবেশ চট্টোপাধ্যায়। তবে সেই মুহূর্তেও তিনি তার পদ থেকে ইস্তফা দেননি। কিন্তু এবার অবশেষে নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ভবেশবাবু।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, বুধবার মহকুমা শাসকের দপ্তরে গিয়ে নিজের ইস্তফা পত্র জমা দেন এই পৌরসভার এতদিন চেয়ারম্যানের পদে দায়িত্ব থাকা ভবেশ চট্টোপাধ্যায়। এদিন তিনি তার ইস্তফাপত্র জমা দেওয়ার সময় তার সাথে ছিলেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো, তৃণমূল বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরি সহ অন্যান্যরা।তবে এদিন ভবেশবাবু যখন তার ইস্তফা পত্র জমা দিতে যাচ্ছেন, তখন তার অনুগামীরা তার নামে ব্যাপক স্লোগান দিতে থাকেন।

কিন্তু তাহলে কি অভিমানের জেরেই তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিলেন! এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো বলেন, “ভবেশবাবু দীর্ঘদিনের লড়াকু যুবনেতা। কিন্তু সম্প্রতি বিশেষ কারণে কলকাতার মিটিংয়ে উনি চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর প্রস্তাব দেন। দল তাঁর কথা শুনে প্রস্তাবে রাজি হয়। সেই মত তিনি পদত্যাগপত্র দাখিল করেন। তবে দল সাংগঠনিকভাবে তার কাজের দায়িত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। ভবেশবাবু রঘুনাথপুর শহরের যুব সভাপতি থাকার পাশাপাশি তাঁকে আগামী দিনে জেলার বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।”

কিন্তু ভবেশ চট্টোপাধ্যায়ের জায়গায় রঘুনাথপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান কে হবে, এই প্রশ্নের উত্তরে শান্তিরামবাবুর জবাব, নিয়ম মেনেই চেয়ারম্যান নির্বাচন করা হবে। কিন্তু নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার প্রসঙ্গে ঠিক কি বলছেন ভবেশ চট্টোপাধ্যায়! এদিন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি, দল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা মাথা পেতে গ্রহণ করেছি। 25 অক্টোবর চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে দলকে লিখিত চিঠি দিয়েছিলাম। আগামী দিন দল যেটা ভালো মনে করবে, তাতে সব রকম সমর্থন জানাব। দল যদি আমাকে জেলার পার্টির দায়িত্ব দেয়, তাও যথাযথ পালন করব।”

কিন্তু মুখে ভবেশবাবু যাই বলুন না কেন, এতদিন চেয়ারম্যানের পদে থাকা তিনি যেভাবে বিদ্রোহী কাউন্সিলরদের চাপে ইস্তফা দিলেন, তাতে তার মনের মধ্যে প্রবল অভিমান বাসা বাঁধতে শুরু করেছে বলে দাবি সমালোচক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!