এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > হেভিওয়েট বিজেপি নেতাদের তৃণমূলে যোগ, ঘরছাড়ারাও ফিরে এলেন ঘরে, জোর স্বস্তি শাসকদলে!

হেভিওয়েট বিজেপি নেতাদের তৃণমূলে যোগ, ঘরছাড়ারাও ফিরে এলেন ঘরে, জোর স্বস্তি শাসকদলে!

গত লোকসভা নির্বাচনে সারা বাংলার পাশাপাশি জঙ্গলমহল এলাকায় অত্যন্ত ভালো ফল করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। 2011 সালে ক্ষমতায় আসার পর জঙ্গলমহলের বাঁকুড়া, পুরুলিয়া সহ বিভিন্ন জেলায় উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর এবারের লোকসভা নির্বাচনের সেখানকার মানুষ ভরসা রাখেনি। যার ফলে তারা সেই জঙ্গলমহলের অনেক এলাকাতেই ফুটিয়ে দিয়েছে পদ্মফুল।

আর বিজেপির জয়লাভের সাথে সাথেই সেই এলাকার অনেক তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরাও ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিতে শুরু করেন। যার ফলে কার্যত ব্যাকফুটে চলে যায় রাজ্যের শাসক শিবির। কিভাবে সেখান থেকে ঘুরিয়ে দলকে জঙ্গলমহলে ভালো দিকে নিয়ে আসা যায়, তার জন্য নানা পরিকল্পনা শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব। আর এবার পৌরসভা নির্বাচনের আগে একদিকে ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানো আর অন্যদিকে বিজেপি নেতাদের নিজেদের দলে প্রবেশ করিয়ে বিজেপিকে মাস্টারস্ট্রোক দিল ঘাসফুল শিবির।

সূত্রের খবর, শনিবার পুরুলিয়া রবীন্দ্রভবনে তৃণমূলের একটি যোগদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ভারতীয় জনতা পার্টি ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখান, বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিকাশ মাহাতো, জয়পুরের তিনবারের ফরোয়ার্ড ব্লক বিধায়ক বিন্দেশ্বর মাহাতো, গত বিধানসভা নির্বাচনে পুরুলিয়ার বিজেপি প্রার্থী নগেন্দ্র ওঝা, গত লোকসভায় শিবসেনার প্রার্থী রাজীব মাহাতো, বিজেপির যুব মোর্চার প্রাক্তন জেলা সভাপতি পরশ রজক, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জয়পুরের সম্পাদক টিঙ্কু সিংহ সহ একাধিক নেতা কর্মীরা।

এদিন তাদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন, জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রি মলয় ঘটক, জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো, জেলার সহ-সভাপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত নেতৃত্বরা। আর পৌরসভা ভোটের মুখে বিজেপি থেকে প্রচুর নেতাকর্মী তৃণমূলে যোগদান করায়, বিজেপি যে এখানে প্রবলভাবে ব্যাকফুটে পড়ল, সেই ব্যাপারে কার্যত নিশ্চিত তৃনমূল কংগ্রেস।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই যোগদান করিয়ে বিজেপির উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো। এদিন তিনি বলেন, “একসময় যারা বিভ্রান্ত হয়ে অন্য দলে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁরা মনে করছেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তৃণমূলের হাত শক্ত করা প্রয়োজন। তাই তারা যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। আমরাও সাদরে তাদের গ্রহণ করলাম।” একইভাবে এই ব্যাপারে সদ্য যোগদানকারী ব্যক্তিদের দলে স্বাগত জানিয়ে জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, “যারা এলেন তাঁরা যাতে সম্মানের সঙ্গে দলে কাজ করতে পারেন, সেটা আমরা অবশ্যই দেখব। যারা এলেন, তাদের বলব, নিজেদের এলাকার অন্য দলের কর্মীদেরও নিয়ে আসুন।” কিন্তু হঠাৎ কি এমন হল, যার কারণে তারা বিজেপি ত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন!

এদের এই প্রসঙ্গে তৃনমূলে যোগ দেওয়া বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিকাশ মাহাতো বলেন, “আমি আগে তৃণমূলেই ছিলাম। মতান্তর হওয়ার জন্য কিছুদিনের জন্য বিজেপিতে গিয়েছিলাম। নিজের দলে ফিরে স্বস্তি পেলাম।” কিন্তু এভাবে ব্যাপক কর্মী-সমর্থক পৌরসভা ভোটের আগে তৃণমূলে নাম লেখানোয় বিজেপি কি অস্বস্তিতে পড়ল না! এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেন, “যারা তৃণমূলে গিয়েছেন তাদের অনেককেই আগে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। তাদের সঙ্গে দলের কোনো যোগ নেই। আগেই আমরা জানিয়েছিলাম, তৃণমূল ওদের দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে প্রচার করাচ্ছে। এদিনের ঘটনায় আমাদের সেই অভিযোগ প্রমাণিত হল।”

তবে বিদ্যাসাগরবাবু গোটা ঘটনাকে অন্যদিকে মোড় নেওয়ার চেষ্টা করালেও , লোকসভা ভোটের পরবর্তী সময়ে বিজেপির যে অবস্থা ছিল, এখন আর যে সেই অবস্থা নেই, তা মানতে শুরু করেছেন অনেক বিজেপি নেতা কর্মীরাই। ফলে এবার ব্যাপক বিজেপি নেতা কর্মীর তৃণমূলে যোগদান পৌরসভা ভোটের আগে বিজেপিতে কতটা প্রভাব ফেলে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!