দলীয় নেতাদের ‘দাদাগিরিই’ কি ক্রমশ শাসকদলকে ব্যাকফুটে নিয়ে যাচ্ছে? বাড়ছে জল্পনা মেদিনীপুর রাজ্য August 7, 2018 ফের নেতার কুকীর্তিতে অস্বস্তি কেশপুড়ের শাসকদলের অন্দরে। সূত্রের খবর, গত শনিবার কেশপুড়ের আনন্দপুরে একটি দেহ উদ্ধারের ঘটনায় নাম জড়ায় ব্লক সভাপতি সঞ্জয় পানের। পরিবারের তরফে এই ঘটনায় খুন করে গাছে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে এই সঞ্জয় পান সহ 14 জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে এই ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে দায় এড়িয়ে নিতে চেয়েছেন আনন্দপুরের ব্লক তৃনমূল সভাপতি তথা এই খুনে অভিযুক্ত সঞ্জয় পান। এদিকে এব্যাপারে তৃনমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “কেশপুরের আনন্দপুরে কি হয়েছে দেখছি। তবে এই ধরনের ঘটনার সাথে দলের কারও জড়িয়ে পড়া ঠিক নয়।” যদি এই নেতা দোষী প্রমানিত হয় তবে কি তাঁর ব্যাবস্থা নেবে দল! এ প্রহঙ্গে অজিত মাইতি বলেন, “ব্যাবস্থা যে নেওয়া হয় না তা নয়। এইসমস্ত ঘটনায় দলের সাথে যুক্ত থাকা ব্যাক্তিদের কখনও সতর্ক আবার কখনও দল থেকে বেরও করে দেওয়া হয়। তবে সমালোচকদের মতে, এরকম ঘটনা খুব কমই হয় তৃনমূলে। মাস কয়েক আগে মেদিনীপুরে এক মহিলাকে জুতোর মালা পরিয়ে কান ধরে ওঠবোস করানোর অভিযোগে স্থানীয় যুব তৃনমূল নেতা সঞ্জীব কুইল্যা কে গ্রেফতার করল পরে তিনি জামিন পাওয়ার সাথে সাথেই যোগ দেয় তৃনমূলে। অনেকে বলছেন, তৃনমূল দোষী নেতাদের বহিস্কার করে ঠিকই। তবে কদিন পর সেই দোষীরাই হয়ে যায় দলের সম্পদ। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। এদিকে শাসকদল তৃনমূলের নেতাদের এই বাড়বাড়ন্ত রাজ্য বিজেপির সাধারন সম্পাদক তুষার মুখোপাধ্যায় বলেন, “একের পর এক মহিলা আক্রান্ত হলেও পুলিশ প্রশাসন তাঁদের গ্রেপ্তার না করে অভিযুক্তদের উৎসাহিত করছে।” তবে এবার দলের দোষীদেল বিরুদ্ধে যে কড়া ব্যাবস্থা নেওয়ার সময় চলে এসেছেন তা স্বীকার করছেন ঘাসফুল শিবিরের অনেক নেতাই। আপনার মতামত জানান -