সংখ্যালঘু নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠতেই হেভিওয়েটদের নিয়ে মহামিছিল তৃণমূলের! উঠছে একাধিক প্রশ্ন নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য August 17, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –যত দিন যাচ্ছে, ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ভাঙ্গড়। আব্বাস সিদ্দিকীর ওপর হামলার অভিযোগে কিছুদিন আগে যুব তৃনমূলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠতে শুরু করে। গত 10 আগস্ট এই ঘটনার পরে ভাঙ্গড় সহ বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূলের দলীয় ফ্লেক্স ছিড়ে দেওয়ার পাশাপাশি আব্বাস সিদ্দিকীর অনুগামীরা বিভিন্ন রাস্তা অবরোধ করেন। পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সংখ্যালঘু সমাজের পক্ষ থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার পাশাপাশি নানা অবরোধ নিঃসন্দেহে অস্বস্তিতে ফেলে শাসক দলকে। তবে সংখ্যালঘু সমাজের পক্ষ থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নানা অবরোধ এবং নানা কর্মসূচি করা হলেও, এবার পাল্টা এই ব্যাপারে পথে নামল তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, রবিবার বিকেলে ভাঙড়ের বড়ালীঘাট থেকে ঘটকপুকুর চৌমাতা পর্যন্ত তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি মিছিল করা হয় যেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী, জেলা যুব তৃনমূলের সভাপতি শওকত মোল্লা, সোনারপুর উত্তরের বিধায়ক ফেরদৌসী বেগম, জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক পরেশরাম দাস, তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম সহ অন্যান্যরা। তবে করোনা আবহের মধ্যে এত জনসমাগম করে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই মহামিছিল করা নিয়ে এবার সোচ্চার হয়েছে বিরোধীরা। যদিও বা তৃণমূল তাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি নেতা অভিজিৎ দাস বলেন, “আব্বাস সিদ্দিকী একজন অসুস্থ মানুষকে দেখতে গিয়েছিলেন। তার সেই নৈতিক অধিকার আছে। তার উপরে যে হামলা হল, তা নিয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না। করোনা পরিস্থিতিতে যেখানে রাজ্য সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে মিটিং মিছিল করার অনুমতি দিচ্ছে না, সেখানে শাসকদল কিভাবে এত মানুষকে নিয়ে মিটিং মিছিল করে! এদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী মামলা করা উচিত।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - একইভাবে তৃণমূলের মিছিল নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “শাসক দল নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শন করতে গিয়ে করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের বিপদ বাড়িয়ে দিল।” সত্যিই তো তাই! কেন এইভাবে করোনা আবহের মধ্যে এত জনসমাগম করে মিছিল করা হল? এদিন এই প্রসঙ্গে যুব তৃনমূলের সভাপতি শওকত মোল্লা বলেন, “এই মুহূর্তে আমরা দুটি ভাইরাসের মোকাবিলা করছি। করোনা ভাইরাসের কারনে আমাদের ঘরে থাকতে হচ্ছে। আর একটা ভাইরাস হচ্ছে সাম্প্রদায়িক শক্তি। করোনার থেকেও ভয়ঙ্কর এই ভাইরাস। তাই এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে পথে নেমে মোকাবিলা করতে হচ্ছে।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনীতিতে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ অবশ্যই হবে। কিন্তু বর্তমান সময়টা সত্যিই সংকটের মধ্য দিয়ে চলছে। তাই এখন কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষেই জনসমাগম করে কোনো মিটিং মিছিল করা উচিত নয়। যেখানে বিরোধীরা কোনো মিটিং মিছিল করলে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হচ্ছে, সেখানে আব্বাস সিদ্দিকীকে নিয়ে ঘটনার পরে যেভাবে তৃণমূল পথে নেমে জনসমাগম করল, তাতে বিরোধীদের তরফে প্রশ্ন তোলাটাই স্বাভাবিক। তবে তৃণমূলের তরফে এই ব্যাপারে অন্য যুক্তি দেওয়া হলেও, তা কতটা ধোপে টেকে, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। সব মিলিয়ে ভাঙ্গড়কে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে বঙ্গ রাজনীতিতে। গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -