এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সিন্ডিকেট সাম্রাজ্যের দখল নিতেই তৃণমূল নেতাকে গুলি, গ্রেপ্তার নাবালক সহ পাঁচ

সিন্ডিকেট সাম্রাজ্যের দখল নিতেই তৃণমূল নেতাকে গুলি, গ্রেপ্তার নাবালক সহ পাঁচ

লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময় থেকেই বঙ্গ রাজনীতিতে শাসক-বিরোধী সংঘর্ষ রণক্ষেত্রের আকার নিতে শুরু করে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছাতে শুরু করে যে, বোমা ও গুলির বর্ষণে বিভিন্ন সময়ে আহত হতেও দেখা যায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকদের। আর নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে সব থেকে বেশি রাজনৈতিক সংঘর্ষ দেখা গিয়েছিল উত্তর 24 পরগনা জেলার বিভিন্ন এলাকায়।

সম্প্রতি ফিল্মি কায়দায় মধ্যমগ্রামের তৃণমূল পার্টি অফিসে শুটআউটের ঘটনা ঘটায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। যে ঘটনায় আহত হন যুব তৃণমূল নেতা বিনোদ সিং নামে এক ব্যক্তি। আর এরপরই তৃণমূল পার্টি অফিসে শুট আউটের ঘটনায় একে অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপ করতে শুরু করে। কিন্তু বাস্তবটা কি! সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় এক নাবালক সহ 5 জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম ঈশ্বর ওরাও, প্রাণ সিং, সোমনাথ দত্ত ও অমিত হালদার।

মঙ্গলবার তাদের বারাসাত জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে ধৃত নাবালককে সল্টলেকের জুভেলাইন আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে হোমে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পুলিশের ধারণা, সিন্ডিকেটের দখলদারিকে কেন্দ্র করেই একসময়ের বন্ধু বিনোদ সিংকে সরিয়ে দিতেই রাখাল নন্দী ও তার গোষ্ঠী এই ধরনের হামলা চালিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্ত রাখাল নন্দীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, আহত তৃণমূল যুব নেতা বিনোদ সিংহের বাড়ি মধ্যমগ্রাম পৌরসভার 7 নম্বর ওয়ার্ডে। এমনকি সেই ওয়ার্ডেইই থাকেন রাখাল নন্দী। মধ্যমগ্রাম পৌরসভার ম্যাটাডোর স্ট্যান্ডে খালাসির কাজ করার সময়ই কুখ্যাত দুষ্কৃতী রতন মল্লিকের ছত্রছায়ায় চলে আসেন অভিযুক্ত রাখাল নন্দী। আর এরপরই ধীরে ধীরে এলাকার প্রোমোটারি ও জমি কেনাবেচা সিন্ডিকেটের মূল মাথা হয়ে উঠেন তিনি।

পরবর্তীতে বিনোদ সিং এবং রাখাল নন্দীর মধ্যে চরম বন্ধুত্ব তৈরি হয়। সেই সময় তাঁরা তৎকালীন শাসক দল বামফ্রন্টের আশ্রয়ে থেকে কাজ করলেও পরবর্তীকালে এক তৃণমূল নেতার হাত ধরে তারা যোগ দেয় ঘাসফুল শিবিরে। কিন্তু গত 9 বছর আগে মধ্যমগ্রামের দোহারিয়ায় জোড়া খুনের ঘটনায় এই বিনোদ সিং এবং রাখাল নন্দীর নাম জড়িয়ে পড়ে। আর এরপরই সিন্ডিকেটের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে তিন বছর আগে থেকে তাদের বন্ধুত্বে চিড় ধরতে শুরু করে। আর এরপরই তৃণমূলের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে পড়ে বিনোদ সিং। মধ্যমগ্রাম শহর যুব তৃনমূলের কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার সাথে সাথেই মধ্যমগ্রামের সিন্ডিকেট রাজের পুরোভাগে চলে আসেন তিনি।

এমনকি একসময় বন্ধু হিসেবে পরিচিত রাখাল নন্দীর দলের অনেক ছেলেকে নিজের দিকে টেনে রাখাল নন্দীর সাম্রাজ্যের দখল নিতে শুরু করেন বিনোদ সিং। আর বিনোদ সিংয়ের এই ঘটনায় তার ওপর আরও চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন রাখাল নন্দী।

জানা যায়, সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের আগেই জেলে বসেই বিনোদকে প্রাণে মেরে ফেলার চক্রান্ত করেন রাখাল। আর এরপরই প্রায় দেড় মাস আগে রাখাল নন্দী জামিনে জেল থেকে বেরিয়ে আসার পরই এলাকার দখলদারি নিয়ে বিনোদ সিংয়ের সঙ্গে তার তীব্র ঝামেলা শুরু হয়। আর তার জেরেই গত সোমবার রাতে বিনোদ সিংয়ের ওপর হামলা চালান রাখাল নন্দী বলে অভিযোগ।

কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই রাখাল নন্দীকে গ্রেপ্তার করা না গেলেও এক নাবালক সহ মোট পাঁচ ব্যক্তিকে এই শুটআউটের ঘটনায় পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। সব মিলিয়ে এবার মূল অভিযুক্ত রাখাল নন্দীকে ঠিক কবে গ্রেপ্তার করে প্রশাসন! সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!