এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > সান্ধ্যভ্রমনে গিয়ে পথ-দুর্ঘটনায় মৃত্যু হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার অধ্যাপক পুত্রের!

সান্ধ্যভ্রমনে গিয়ে পথ-দুর্ঘটনায় মৃত্যু হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার অধ্যাপক পুত্রের!

ভাইফোটার পর দিন উৎসবের রেশ তখনও কাটেনি। উত্তরবঙ্গের মধ্যে শক্তি আরাধনায় চমক দেয় যে এলাকা, সেই গঙ্গারামপুরে তখন আলোর উৎসব চলছে।কিন্তু ঠিক সেই সময়ই যেন অন্ধকার নেমে এল গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকারের পরিবারে।

37 বছরের তরতাজা ছেলের মৃত্যুতে মাথায় বাজ ভেঙে পড়ল অমলেন্দুবাবুর। আর পৌরসভার পৌরপিতার ছেলের মৃত্যুতে কিছু সময়ের জন্য থমথমে চেহারা নিল গোটা গঙ্গারামপুর শহর। জানা যায়, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবারও সান্ধ্যভ্রমনে বেরিয়েছিলেন গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকারের ছেলে কুনাল সরকার।

গঙ্গারামপুর চৌপথী থেকে শিববাড়ির দিকে ঘুরতে গিয়ে শিববাড়ি থেকে গঙ্গারামপুর ফেরার সময় পেশায় গঙ্গারামপুর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক এই কুনাল সরকারকে উল্টো দিক থেকে একটি বাইক এসে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলে গুরুতর জখম হন কুনাল সরকার।

বাইকের চালক সহ আরোহীরা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। আর এরপরই সেই চারজন আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে পরে কুণালবাবুর পরিচয়ে জানা যায় যে, তিনি গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারপার্সনের ছেলে। পরবর্তীতে শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক হওয়ায় গঙ্গারামপুর হাসপাতাল থেকে সেই কুনাল সরকারকে স্থানান্তরিত করা হয় মালদহের একটি নার্সিংহোমে।

কিন্তু রাস্তায় যেতে যেতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বছর 37 এর কুনাল সরকার। বুধবার কুণালবাবুর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। আর নিজের ছেলের মৃত্যুতে রীতিমতো ভেঙে পড়েন গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারপার্সন অমলেন্দু ভূষণ সরকার।জানা যায়, বুধবার সকালে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ফোন করা হয় অমলেন্দুবাবুকে। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে কথা বলেন গঙ্গারামপুর পৌরসভার পৌরপিতার সঙ্গে। গোটা ব্যাপারটি দেখার আশ্বাস দেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর পৌরপিতার ছেলের মৃত্যুতে এদিন শেষকৃত্যে শ্মশানে উপস্থিত ছিলেন যেমন শাসক দলের নেতারা, ঠিক তেমনই উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলের নেতৃত্বরা। দলমত নির্বিশেষে সকলেই তরতাজা যুবকের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেন। এদিন কুনাল সরকারের শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী বাচ্চু হাসদা, গঙ্গারামপুরের বিধায়ক গৌতম দাস, কুমারগঞ্জের বিধায়ক তোরাফ হোসেন মন্ডল, জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি তথা বর্তমান বিজেপি নেতা বিপ্লব মিত্র সহ বাম নেতৃত্বকেও।

এদিন এই প্রসঙ্গে বাচ্চু হাসদা বলেন, “আমাদের সহকর্মী ছেলের অকাল মৃত্যুর ঘটনার খবর পেয়ে আমি ছুটে হাসপাতালে আসি। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসা করার সুযোগ পাওয়া গেল না। অমলেন্দুবাবুর ছেলের মৃত্যুতে গভীর সমবেদনা জানাই।” এদিকে এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ বলেন, “আমাদের গঙ্গারামপুর শহরের প্রবীণ তৃণমূল নেতা তথা পৌরসভার চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকারের ছেলের অকাল মৃত্যুর খবর পেয়ে আমি মর্মাহত। জেলার বাইরে থাকায় আমি যেতে পারিনি। তবে কর্মীদের চেয়ারম্যানের পরিবারের পাশে থাকার কথা জানিয়েছি। জেলায় ফিরে প্রথমেই চেয়ারম্যানের বাড়িতে যাব। তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলব।”

অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তথা বর্তমান বিজেপি নেতা বিপ্লব মিত্র বলেন, “গঙ্গারামপুর শহরে অমলেন্দুর সঙ্গে রাজনীতি করেছি। মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় কুনালের মৃত্যু সংবাদ পাওয়ায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। অমলেন্দুর পরিবারের পাশে থেকে সমবেদনা জানিয়েছি। আমরা আলাদা রাজনৈতিক দল করলেও আমাদের মধ্যে পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে।” সব মিলিয়ে আলোর উৎসবে গঙ্গারামপুর পৌরসভার পৌরপিতার তরতাজা ছেলের মৃত্যুতে অন্ধকারের পরিবেশ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!