এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূল নেতাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকা নিয়ে বিতর্ক বাড়তেই বড়সড় ঘোষণা নিয়ে হাজির শুভেন্দু অধিকারী

তৃণমূল নেতাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকা নিয়ে বিতর্ক বাড়তেই বড়সড় ঘোষণা নিয়ে হাজির শুভেন্দু অধিকারী


সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী রাজ্যে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় আমফানের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া জেলা গুলিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য রাজ্যের শাসক দলের নেতাদের একাউন্টে টাকা দেওয়া হয়েছে। গত রবিবার ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্বাস দিয়ে নন্দীগ্রাম বিধানসভার বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন ,”হলদি এবং হুগলি নদীর সংযোগস্থল এলাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।”

প্রসঙ্গত জানা গেছে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের সোনাচূড়া, কালীচরণপুর, কেন্দেমারি, ভেকুটিয়া, মহম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কোনও গাছ, ইলেক্ট্রিক খুঁটি এবং কাঁচাবাড়ি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কারণে এলাকার মানুষজন বসতবাড়ি হারিয়েছেন এবং এলাকা সম্পূর্ণভাবেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। শুভেন্দু বাবু এদিন জানান, ইতিমধ্যেই তৎপরতার সাথে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করার কাজ চলছে। এদিন তিনি শাসকদলের তৎপরতার নজির দেখিয়ে জানিয়েছেন, নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে ৬০-৬৫ শতাংশ এবং নন্দীগ্রাম-২ ব্লকে ৯০শতাংশ এলাকাকে আপাতত বিদ্যুৎ বন্টনের মাধ্যমে এবং বন্টন করে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে নিয়ে আসার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

শুভেন্দু বাবু এলাকার মানুষজনদের আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, “১২০জন দক্ষ শ্রমিককে এলাকায় পাঠিয়েছে বণ্টন সংস্থা। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই নন্দীগ্রাম বিধানসভা এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা করছি।” আমফান পরবর্তী ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করার জন্য চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয় রাজ্য সরকারের তরফে। সেখানে নির্দেশিকা জারি করা হয় দু’তলা অথবা তিন তলা বাড়ির মালিকদের কোনরকম ত্রাণ মিলবে না। এদিকে রাজ্যের যে সমস্ত জেলা রীতিমত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে সেখানকার মানুষদের জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থাই করা হবে সরকারের তরফে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুভেন্দু বাবুর কথায়,”গত ২০মে সাইক্লোনের দিন আমি দীঘায় সেচদপ্তরের কন্ট্রোল রুমে ছিলাম। পরদিন দুপুরেই নন্দীগ্রাম-১ব্লক অফিসে এবং সেখান থেকে নন্দীগ্রাম-২বিডিও অফিসে যাই। তারপর থেকে লাগাতার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানুষের পাশে থাকার কর্মসূচি নিয়ে এবং এলাকার বিধায়ক হিসেবে দায়বদ্ধতার কথা মাথায় রেখে আমরা মানুষের পাশে রয়েছি।” নন্দীগ্রাম এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সহায়তা করার জন্য প্রথমেই ত্রাণ শিবের খোলার ব্যবস্থা নেওয়া হয় বলে স্থানীয় শাসকদল জানায়।

এরপর এলাকার বহু মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে। এমনকি স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের দাবি অনুযায়ী ওই এলাকায় এতটাই তৎপরতার সাথে ত্রাণের কাজ করা হয়েছে যে কোনভাবেই কোন মানুষ ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে প্রাণ হারাননি। এমনকি ঝড় বন্ধ হবার পর পরের দিন প্রায় ৬০০০ মানুষকে ত্রিপল এবং বেশ কিছু খাদ্য এবং অর্থ সাহায্য করে তাদের বাড়ি ফেরানো হয়।

বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন,”নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে ১৮হাজার এবং নন্দীগ্রাম-২ ব্লকে ৬২০০ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নন্দীগ্রাম-১ব্লকের জন্য ১০হাজার এবং নন্দীগ্রাম-২ব্লকের ৫২০০ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়ে গিয়েছে। বাকি টাকাও খুব শীঘ্রই চলে আসবে।” স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের দাবি অনুযায়ী সঠিক সময় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো তাদের কর্তব্য। এই সময় কোন বিরোধীদলের সহায়তা তারা আশা করেন না শুধুমাত্র তৃণমূলের বিরুদ্ধে কটুক্তি করার সময় বিরোধীদলের দেখা পাওয়া যায়।

এদিন শুভেন্দু বাবু আরোও জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য রাজ্যের শাসক দলের তরফে কৃষি ঋণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই বিপুল ক্ষয়ক্ষতির পর আর্থিকভাবে চাষীদের খুঁটি শক্ত করতে রাজ্যের এমন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা-কর্মী-সমর্থকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!