এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দলীয় হেভিওয়েট নেতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূলের হেভিওয়েট নেত্রীর, অস্বস্তিতে তৃণমূল !

দলীয় হেভিওয়েট নেতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূলের হেভিওয়েট নেত্রীর, অস্বস্তিতে তৃণমূল !


করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের শাসকদল যখন রাজনীতি ভুলে সাধারণ মানুষের দাঁড়িয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে, তখনই এক বিপরীতধর্মী চিত্র প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে বাংলায়। করোনা ভাইরাসকে মোকাবিলা করতে গিয়ে বারেবারেই তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসছে। সূত্রের খবর, এবার পরিযায়ী শ্রমিকদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা নিয়ে তমলুক পৌরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরব হলেন এক প্রভাবশালী তৃণমূল কাউন্সিলর।

যাকে কেন্দ্র করে এখন তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা শহর জুড়ে। বস্তুত, বেশ কিছুদিন ধরে লকডাউন প্রক্রিয়া কিছুটা শিথিল হওয়ায় ভিন রাজ্যের শ্রমিকরা তাদের নিজের জেলায় ফিরতে শুরু করেছেন‌। স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে সেই সমস্ত শ্রমিকদের বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে কোনো কোনো শ্রমিকের বাড়িতে সঠিকমাত্রায় জায়গা না থাকায় তারা থাকছেন সরকারি কোয়ারেন্টাইনে।

আর এই বিষয়টি তুলে ধরেই তমলুক পৌরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ সেনকে কটাক্ষ করে তুলে দিলেন এক নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর চামেলি দাস সামন্ত‌। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ফেসবুকে একটি বিষয় তুলে ধরে চেয়ারম্যানকে আক্রমণ করেছেন এই তৃণমূল কাউন্সিলর। যেখানে তিনি লেখেন, “14 নম্বর ওয়ার্ডের হেলথ সেন্টার বর্তমান খালি। 14 নম্বর ওয়ার্ডে পাঁচজন পরিযায়ী শ্রমিককে রাখা যেত। তা না করে চেয়ারম্যান 1 নম্বর ওয়ার্ডের লোক্যালিটিতে অবস্থিত কমিউনিটি হলে রেখে ওয়ার্ডবাসীকে ক্ষেপিয়ে তুলছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি আরও লিখেছেন, “নিজের ওয়ার্ড শান্ত রেখে আমাদের ওয়ার্ডের মানুষকে টিএমসি বিরোধী করার চেষ্টা নেমেছেন। এই ওয়ার্ডে অতিথি নিবাস ছিল। সেখানেও রাখতে পারতেন। তাও করলেন না। মুখ্যমন্ত্রীর টাকায় 1 নম্বর ওয়ার্ডের কমিউনিটি হল নির্মিত। এলাকাবাসীর সেন্টিমেন্ট না বুঝে চেয়ারম্যান নিজের সম্পত্তি মনে করেন। আমি চেয়ারম্যানকে মিষ্টি খাওয়াচ্ছি। তাই উনি আমাকে পটাশিয়াম সাইনাইড খাওয়াচ্ছেন। দলের শত্রু দলের ভেতরেই আছে। চোখ রাখুন। আরও খবর নিয়ে ফিরব।”

আর লকডাউনের এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কাউন্সিলরের ফেসবুক পোস্টে তৃণমূলের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরব হওয়া রীতিমত তাক লাগিয়ে দিয়েছে রাজনৈতিক মহলকে। কেন হঠাৎ তিনি এই ধরনের পোস্ট করলেন? তৃণমূল কাউন্সিলরের এই পোস্টে কি অস্বস্তিতে পড়লেন না তৃণমূলের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ সেন? এদিন তিনি বলেন, “সংবাদ মাধ্যমে ওই পোস্ট আমি এখনও দেখিনি, তবে শুনেছি।”

তিনি জানিয়েছেন, “পরিযায়ী শ্রমিকদের রাখার জন্য এক নম্বর ওয়ার্ডের হল এবং তিন নম্বর ওয়ার্ডের রত্নালি এলাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থা করা হয়েছে। এক নম্বর ওয়ার্ডের হল পৌরসভার সম্পত্তি। কোনো ওয়ার্ডের নিজস্ব নয়। যারা বাইরে থেকে এসেছেন, তারা কোথায় আছেন, সেটা খোঁজ নিয়ে দেখুন।” তবে তিনি কেন এই ধরনের পোস্ট করলেন, তা নিয়ে সেই তৃণমূল কাউন্সিলর চামেলিদেবী সংবাদমাধ্যমের সামনে আর কোনও প্রতিক্রিয়া দেন নি।

তবে এই গোটা ঘটনায় রাজ্যের শাসকদল যে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে, সেই ব্যাপারে কার্যত নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই তৃণমূল কাউন্সিলরের ফেসবুকে করা এই পোস্টে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সহ-সভাপতি বিশ্বনাথ মহাপাত্র। তিনি বলেন, “সমাজমাধ্যমে কেন এমন মন্তব্য করলেন, সেই নিয়ে ওই কাউন্সিলরের সঙ্গে কথা বলব।” সব মিলিয়ে লকডাউনের এই মুহূর্তে পরিযায়ী শ্রমিকদের রাখা নিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলরের বিতর্কিত ফেসবুক পোস্ট এখন তৃণমূলকে কতটা বিড়ম্বনায় ফেলে, তার দিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!