তৃণমূল নেত্রীর হুঁশিয়ারির পরেও বোমা-গোলাগুলি অব্যাহত, চিন্তা বাড়ছে উত্তরবঙ্গে উত্তরবঙ্গ রাজ্য July 17, 2018 নেত্রীর হুশিয়ারিই সার। কিছুতেই নিজেদের কানে দলীয় নির্দেশ তুলতেই চাইছেন না কোচবিহারের দিনহাটার শাসকদলের নেতারা। মূলত পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি বোর্ড গঠন নিয়ে গীতালদহ, পেটলা, গোসানিমারি সহ বিভিন্ন এলাকায় গন্ডগোলের জেরে গত 10 ই জুলাই কোচবিহারের চ্যাংরাবান্ধার প্রশাসনিক বৈঠকে দিনহাটার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। কিন্তু এরপরও সম্প্রতি সিতাইয়ে গোষ্টীদ্বন্দ্ব থামানোর ঘটনায় গুলিতে এক পুলিশ কর্মীর মৃত্যু এবং সর্বশেষ গত রবিবার রাতে চৌধুরীহাটে সেই গুলি ও বোমাবাজির ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এলাকাজুড়ে। জানা গেছে, রবিবার রাত 1 টার সময় তৃনমূলের চৌধুরীহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পূর্নচন্দ্র বর্মনের বাড়িতে কয়েকজন দুস্কৃতি ব্যাপক গুলি ও বোমাবাজি চালায়। আর সেই ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে রাতভর জেগে থেকে গ্রামবাসীরা এলাকায় টহলদারিও শুরু করেছেন। তবে এই ঘটনায় কারও দিকে অভিযোগের আঙুল না তুললেও প্রধান পূর্নচন্দ্র বর্মন বলেন, “রাজনৈতিক মদত না থাকলে এভাবে আমার বাড়িতে গুলি চালানোর সাহস কেউ পাবে না।” তবে এর পেছনে অন্য সমীকরনের গন্ধ পাচ্ছেন অনেকেই। জানা গেছে, 21 আসনের এই চৌধুরীহাট পঞ্চায়েত প্রধানের পদ এবার তফসিলি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকলেও সেখান থেকে চারজন মহিলা জয়লাভ করায় কে প্রধান হবেন এই নিয়ে দড়িটানাটানি চললে এই লড়াইয়ে প্রথম সারিতে থাকা বর্তমান প্রধান পূর্নচন্দ্র বর্মনের স্ত্রী ছবি বর্মন- উপপ্রধান রাধারানী বর্মন, যুব নেতা ভবেশ বর্মনের বৌদি গোলাপি বর্মনের থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছেন। আর তাই তাঁর স্ত্রীকে প্রধান পদ না দেওয়ার জন্যই এবং ভয় দেখাতেই এই হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ পূর্নচন্দ্র বর্মনের। তবে দীর্ঘদিন ধরে ক্রমাগত চলা এই গুলি, বোমাবাজির ঘটনায় এবার বসে নেই পুলিশ প্রশাসনও। ঘটনার পূর্নাঙ্গ তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার ভোলানাথ পান্ডে। কিন্তু প্রশাসনার কাজ তো প্রশাসন করবেই। তবে দলের সর্বময় কত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া নির্দেশের পরেও কেন এইরকম ঘটনা ঘটছে কোচবিহারের দিনহাটার তৃনমূল শিবিরে? এই করে কি দলের বিড়ম্বনা বাড়াচ্ছেন না তৃনমূল কর্মীরা? প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। আপনার মতামত জানান -