এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > গভীর রাতে তৃণমূল নেতার নেতৃত্বে বাইক বাহিনী খুলছে বিরোধীর পতাকা, পোস্টার সাঁটিয়ে রাতে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা জারি

গভীর রাতে তৃণমূল নেতার নেতৃত্বে বাইক বাহিনী খুলছে বিরোধীর পতাকা, পোস্টার সাঁটিয়ে রাতে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা জারি

গভীর রাতে তৃণমূল নেতার নেতৃত্বে বাইক বাহিনী খুলছে বিরোধীর পতাকা, পোস্টার সাঁটিয়ে রাতে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা জারি করলো গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে সাঁইথিয়া ব্লকের ওমরপুর পঞ্চায়েতের হাজরা পাড়ায়। গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে গাছে হাতে লেখা পোস্টার টাঙিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তাদের দাবি যে রাজনৈতিক দলের লোক হোক, দিনে এলে স্বাগত। কিন্তু রাত্রে তাঁরা গ্রামে ঢুকতে দেবেন না।

কেন গ্রামবাসীরা এমন সিদ্ধান্ত নিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন করলে তারা জানান যে, দু’দিন আগে গভীর রাতের একটা ঝামেলা হয় যে কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। কি সেই ঝামেলা ? তা নিয়ে গ্রামবাসীদের অভিযোগ এই যে, এলাকার তৃণমূল বুথ পর্যবেক্ষক সদাশিব চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাইক বাহিনী দু’দিন আগে গভীর রাতে এলাকায় ঢোকেন আর এর পর তারা বিরোধী দলের সমস্ত পতাকা খুলে ফেলতে শুরু করে। একাজ করতে গ্রামবাসীরা বাধা দিলে শুরু হয় জোর চাপানউতোর। আর এর পর তা যদি আরো বড় আকার ধারণ করে তাই গ্রামবাসীরা সিদ্ধান্ত নেন যে সন্ধের পরে গ্রামে কোনো মতেই কোনো দলকে প্রচার করতে দেবেন না তাঁরা- আর সেই নিয়েই এই পোস্টার।
গ্রামবাসী বাসিদের স্পষ্ট বার্তা যে , ‘রাতের অন্ধকারে গ্রামে কোনও রাজনৈতিক দলকে ঢুকতে দেব না। দিনে তারা প্রচার করুক। রাতে এলেই শান্তি নষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া ছেলেমেয়েদের পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটছে।’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে গ্রামবাসীদের অভিযোগকে মান্যতা দিয়ে বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে তৃণমূলের নেতারা রাত্রে গ্রামে ঢুকে বিজেপির পতাকা খুলে দিচ্ছে। বিজেপির দাবি যে এইসব করেও শেষ রক্ষা হবে না। কেননা মানুষ বিজেপির দিকেই ঝুঁকেছে। এদিকে তৃণমূল তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি বিজেপি মিথ্যা অপপ্রচার করছে আর তাই দিয়ে জনসমর্থন আদায়ের বৃথা চেষ্টা করছে। এসব করে কোনো কাজ হবে না কেননা মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সঙ্গে আছে। ২৩ সে মে এর পর আর রাজ্যে বিজেপি বলে কিছু থাকবে না।

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই সন্ধে বা রাতে এলাকায় চোর ঢুকলে চোরকে ‘পেটানো’র নিদান দিয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেছিলেন যে, বহিরাগতদের রাতে দেখলেই ‘চোর’ চিহ্নিত করে মেরে হাত-পা ভেঙে দিন। আর তার পরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গ্রামবাসীরা। ফলে রাজনৈতিকমহলের দাবি যে এবারে অনুব্রতবাবুর নিদান কাজে লাগলো সাধারণ মানুষের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!