এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ভোটের জ্বালা বড় জ্বালা, ফের পদে ফিরলেন সরে যাওয়া তৃনমূল নেতারা

ভোটের জ্বালা বড় জ্বালা, ফের পদে ফিরলেন সরে যাওয়া তৃনমূল নেতারা

কিছুদিন আগেই কৃষ্ণগঞ্জে হয়েছিল। আর এবার শান্তিপুরেও সেই ক্ষমতার চাকা ঘুরতে শুরু করল। গত দুই বছর আগে শান্তিপুর শহর তৃণমূলের সভাপতি পদ থেকে আব্দুস সালাম কারিগরকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বুধবার তাকেই সেই আগের পদে ফিরিয়ে আনল তৃণমূল। যে ঘটনায় পুরপ্রধান অজয় দে কিছুটা হলেও অক্সিজেন পেলেও স্থানীয় বিধায়ক ঘনিষ্ঠ অরবিন্দ মৈত্রকে সরিয়ে দেওয়ায় সেই বিধায়ক শিবির হতাশ হয়ে গিয়েছে।

জানা যায়, বিগত দুই বছর আগে অগাস্ট মাসে জেলার বিভিন্ন নেতৃত্বের উপস্থিতিতে ডাকঘর মোড়ে এক দলীয় সভায় পুরপ্রধান অজয় দে কে জেলার এক নেতা “হরিদাস পাল” বলে কটাক্ষ করেন। সেই সময় পুরপ্রধান কিছুটা কোণঠাসা থাকলেও এরপরই শহর সভাপতির পদে বদলা আনা হয়। অজয় দের ঘনিষ্ট উপপুরপ্রধান আব্দুস সালাম কারিগরকে সেই শহর সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে সেখানে দায়িত্ব দেওয়া হয় স্থানীয় বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ অরবিন্দ মৈত্রকে।

আর শহর সভাপতির পদে বদল আনার সাথে সাথেই 24 টি ওয়ার্ড কমিটি বদলে ফেলা হয়। এমনকি পার্টি অফিস নিয়েও চলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। সেইভাবে পুরপ্রধানের গোষ্ঠীকে আর দলীয় অফিসমুখো হতে দেখা যায়নি। তবে রাজনীতিতে সব সময় এক পরিস্থিতি থাকে না। বর্তমান সময় বদলেছে, পরিস্থিতিও বদলেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বোর্ড গঠনের সময় থেকেই শংকর সিং এবং অরিন্দম ভট্টাচার্যের সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। এরপর লোকসভা নির্বাচনে কিছুটা খারাপ ফলাফল হওয়ার পর শংকর সিংহকে রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতির দায়িত্ব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরই নিজেদের হারানো জমি পুনরুদ্ধার করতে লড়াই শুরু করেন পুরপ্রধান অজয় দের শিবির।এদিন সেই পুরপ্রধান গোষ্ঠীর আব্দুস সালাম কারিগরকে শহর সভাপতির দায়িত্ব দেওয়ার পরই চাবি নিয়ে তারা তাদের পার্টি অফিসের দরজা খোলেন। তাহলে কি অবশেষে পট বদল হল!

এদিন এই প্রসঙ্গে অরবিন্দ মৈত্র বলেন, “ওটা শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের দপ্তর। মূল দরজার চাবি বিধায়কের স্থির করে দেওয়া লোকেদের কাছে আছে। আমার কাছে ভেতরের ঘরের চাবি ছিল, সেটা দিয়েছি।” অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে আব্দুস সালাম বলেন, “দল যেভাবে দায়িত্ব দিয়েছে, সেভাবেই কাজ করে যাব।”

অন্যদিকে গোটা বিষয়টি তার জানা নেই বলে জানান অরিন্দম ভট্টাচার্য। তবে তারা সবাই দলের সিদ্ধান্ত মেনেই কাজ করবেন বলে জানিয়ে দেন অজয় দে। তবে যে যাই বলুন না কেন, সামনে পুরভোট। তাই সংগঠনকে শক্তিশালী করতে এখন দলকে জয়ী করার লক্ষ্যে সবাইকে একযোগে ঝাঁপাতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি শংকর সিংহ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!