এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃণমূল নেত্রীর হাত ধরে বিজেপি থেকে ফিরলেন হেভিওয়েট নেত্রী, জল্পনা তুঙ্গে

তৃণমূল নেত্রীর হাত ধরে বিজেপি থেকে ফিরলেন হেভিওয়েট নেত্রী, জল্পনা তুঙ্গে

লোকসভা ভোটের পর থেকে যে বিপুল পরিমাণে সদস্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, কাল ক্রমে দেখা যাচ্ছে একে একে তাঁরা বিজেপির ঘর ছাড়ছেন। 2019 এর লোকসভা ভোটে বিজেপির যে ফলাফল হয়, তার নিরিখে বিজেপি দলে পরবর্তী কালে বিভিন্ন দল থেকে নেতা সদস্যরা এসে যোগদান করেন। পিছিয়ে ছিলেননা এ রাজ্যের শাসক দলও।

সেখানেও বিভিন্ন নেতা-কর্মীরা এসে শাসক দলে যোগদান করেন। কিন্তু এখন বিজেপি দলে ভাটার টান। একে একে সব দলবদল কারীরা আবার নিজেদের দলে ফেরার রাস্তা ধরেছেন। ঠিক একইভাবে দক্ষিণ দিনাজপুরের বিজেপিতে আবার ধরল ভাঙ্গন।

দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষের উপস্থিতিতে এ দিন তৃণমূলে যোগ দিলেন জেলা পরিষদের এক সদস্য শিপ্রা নিয়োগী‌। তার ফলে জেলা পরিষদের তৃণমূলের আসন সংখ্যা দাঁড়াল 18 টির মধ্যে 13 তে। এই ঘটনায় এদিন তৃণমূলের দলবদল নিয়ে উত্তর দিনাজপুরের জেলা বিজেপি সভাপতি শুভেন্দু সরকার অভিযোগ জানিয়েছেন, রীতিমতো ভয় দেখিয়ে তৃণমূলে দলবদল করানো হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত 24 শে জুন তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রর সঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূলের জেলা পরিষদের দ 10 জন সদস্য দিল্লীতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এমনকি উত্তর দিনাজপুর জেলার জেলা সভাধিপতিও এই তালিকায় ছিলেন। আর এর কিছুদিনের মধ্যেই উত্তর দিনাজপুরের জেলা পরিষদ দখল করেছিল বিজেপি। কারণ দলবদল এর ফলে সে সময় তৃণমূল সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছিল।

তবে কিছুদিনের মধ্যেই আবার তিনজন জেলা পরিষদ সদস্য ঘরওয়াপসি করেন। তারপর আরো একজন। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আবারও তৃণমূলের হাতে আসে। এবং শেষ অব্দি যোগ দিলেন আর এক সদস‍্য শিপ্রা নিয়োগী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দলবদল এর প্রাক্কালে তৃণমূলের অর্পিতা ঘোষ বলেছিলেন, যারা দলবদল করতে চান তারা স্বইচ্ছায় করতে পারেন। দল তাতে বাধা দেবে না। কিন্ত দলে থেকে বিশ্বাসঘাতকতা করতে দেবেন না বলে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। অন্যদিকে, তৃণমূলের টিকিটে জিতে অন্য দলে যাওয়া সম্ভব হবে না দক্ষিণ দিনাজপুরের ক্ষেত্রে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন।

দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূলের জেলা সভাপতি ছিলেন বিপ্লব মিত্র। লোকসভা নির্বাচনে বিপ্লব মিত্র বালুরঘাট আসনের টিকিট দাবি করেন। কিন্তু দলীয় নেতৃত্ব থেকে তাঁকে টিকিট না দিয়ে দেওয়া হয় অর্পিতা ঘোষকে। এবং নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পরেই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সভাপতির স্থান থেকে বিপ্লব মিত্রকে সরিয়ে অর্পিতা ঘোষকে করে দেন। এরপরই বিপ্লব মিত্র দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেই অনুযায়ী তিনি বিজেপির হাত ধরেন।

সমস্ত ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, এভাবে যদি বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান চলতে থাকে, তাহলে অচিরেই বিজেপি সংগঠন ভেঙ্গে পড়তে পারে। আর 2021 এর যে লোকসভা নির্বাচনকে বিজেপি পাখির চোখ করেছে, সেই নির্বাচনে তাদের পক্ষে কোনো অঘটন ঘটে যাওয়া অসম্ভব নয়।

সুতরাং অবিলম্বে বিজেপির সংগঠনের দিক খতিয়ে দেখা উচিত। অন্যদিকে, রাজনৈতিক মহলের দাবি, একে একে বিজেপি থেকে তৃণমূলে আবার সদস্যরা ফিরে যাওয়ায় তৃণমূলের শক্তি বেশ কিছুটা ফেরত এলো বলে মনে করছেন তাঁরা। অন্যদিকে, রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের তত্ত্বাবধানে এই ঘটনা নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে।

দলবদল করার পরেও কয়েকদিনের মধ্যেই এভাবে দল ত্যাগ করার কি কারণ, সেই নিয়ে বিজেপি শিবিরে চিন্তার ভাঁজ। আপাতত সমগ্র পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!