এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > তৃণমূল নেতাকে ছুরি দিয়ে কোপানোর পর তুমুল বোমাবাজি! রাজনৈতিক উত্তাপে কাঁপছে বাংলা

তৃণমূল নেতাকে ছুরি দিয়ে কোপানোর পর তুমুল বোমাবাজি! রাজনৈতিক উত্তাপে কাঁপছে বাংলা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –এতদিন বিজেপির পক্ষ থেকে তাদের নেতাকর্মীদের ওপর সন্ত্রাস, খুন করা হচ্ছে, এই সমস্ত অভিযোগ তোলা হচ্ছিল। আর প্রতি ক্ষেত্রেই কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। কিন্তু এবার রাজ্যে খুন হলেন একজন নেতা। যে ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যজুড়ে। জানা যায়, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বেলিয়াড়া গ্রামের উলিয়ারা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান শেখ বাবর আলিকে ছুরি দিয়ে কোপানোর পর তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। কিন্তু ঠিক কী কারণে তৃণমূলের এই নেতাকে খুন করা হল?

জানা গেছে, গত শনিবার রাতে তৃণমূলের কার্যালয়ের সামনে কিছু দুষ্কৃতী এসে জড়ো হয়। সেই সময় তৃণমূলের শেখ বাবর আলী বাড়িতেই ছিলেন। দলীয় কার্যালয়ের কিছুদূরে তার বাড়ি হওয়ায় তিনি তার প্রতিবেশী হাজী সাহেবের বাড়িতে আশ্রয় নেন। এরপর দুষ্কৃতীরা দরজা ভেঙে সেই শেখ বাবর আলীর বাড়িতে ঢুকে তাকে ছুরি দিয়ে ক্রমাগত বাড়তে থাকে। পরবর্তীতে রক্তাক্ত অবস্থায় তৃণমূল নেতা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা বাজি করা হয় বলে অভিযোগ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে বিজেপির পক্ষ থেকে তাদের নেতাকর্মীদের আক্রান্ত এবং খুন করা হচ্ছে বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে। কিন্তু এবার যেভাবে এক তৃণমূল নেতাকে খুন করা হল, তাতে রীতিমত রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকা জুড়ে। তাহলে কি বিরোধীদের পক্ষ থেকে তৃণমূল নেতার প্রতি আক্রমণের ঘটনার কারণেই এমনটা হল? নাকি এর পেছনে রয়েছে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল?

একাংশের দাবি, উলিয়ারা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান শেখ বাবর আলীর সঙ্গে বর্তমান প্রধানের এলাকা দখল নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই সংঘাত সৃষ্টি হয়েছিল। আর তার ফলেই এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে গোটা ঘটনায় জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব যে অনেকটাই চাপে পড়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিন এই প্রসঙ্গে বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি শ্যামল সাঁতরা বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। কয়েকজনকে ইতিমধ্যেই পুলিশ আটক করেছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীরা অবশ্যই শাস্তি পাবে।” এখন তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় পুলিশি তদন্তে অভিযুক্তদের তালিকায় কার কার নাম উঠে আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!