এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দলে থেকে দুর্নীতির প্রতিবাদ করে হেনস্থার শিকার তৃণমূল নেত্রী, নিলেন কড়া পদক্ষেপ!

দলে থেকে দুর্নীতির প্রতিবাদ করে হেনস্থার শিকার তৃণমূল নেত্রী, নিলেন কড়া পদক্ষেপ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –বর্তমানে দলের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করতে দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু তৃণমূলের বিড়ম্বনা কমছে না কিছুতেই। সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে বিরোধীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল দলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা নেত্রীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও, এবার দলের অন্দরেই দলীয় নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের এক জেলা পরিষদের সদস্যা অভিযোগ করেছেন যে, তিনি দলের এক নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করলেও, তাকে ক্রমাগত হেনস্থা করা হচ্ছে।আর এই ঘটনা নিয়ে রীতিমত টালমাটাল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তৃণমূলের অন্দরমহলে।

প্রসঙ্গত, হরিপাল এলাকা থেকে নির্বাচিত তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্যা শম্পা দাসের বাড়ির সামনে এক দিকের রাস্তায় বনসৃজন প্রকল্পের গাছ পুঁতে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে‌। যার ফলে তিনি যাতায়াত করতে পারছেন না এবং তার বাড়ির লোকেদের অনেকটাই অসুবিধা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শম্পাদেবী।এক্ষেত্রে তিনি মূল অভিযোগের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান সুমিত সরকারকে। আর দলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে গাছ কাটা সহ একাধিক অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্যা শম্পা দাস।যার ফলে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

তবে শম্পাদেবীর অভিযোগ, তিনি এই গোটা ঘটনায় দলের জেলা নেতৃত্ব থেকে শুরু করে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে অভিযোগ জানালেও, তাঁকে ক্রমাগত প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রেও তিনি মূল অভিযোগ করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান সুমিত সরকারের বিরুদ্ধে।একাংশের বক্তব্য, যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস দলের শুদ্ধিকরণের চেষ্টা করছে, সেখানে দলেরই জেলা পরিষদ সদস্যা পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে যেভাবে সরব হয়েছেন, তাতে তৃণমূলের বিড়ম্বনা অনেকটাই বাড়বে।

এদিন এই প্রসঙ্গে শম্পা দাস বলেন, “ওই গাছগুলোর সঙ্গে আমার দাদু, বাবার স্মৃতিজড়িত। হাসপাতালে জমির একাংশ বাবার দেওয়া। সেজন্যই প্রতিবাদ করি। সুবিরবাবু যে আমার কথা শুনবেন না, বুঝিনি। ওরা আমাকে নানাভাবে হেনস্থা করছেন। কিছুদিন আগে দলের ব্লক সভাপতি বৈঠক ডেকেছিল। সেখানে বিধায়ক বেচারাম মান্না ছিলেন। বৈঠকে আমাকে অভিযোগ প্রত্যাহার করতে বলা হয়। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার জন্য ক্ষমা চাইতেও বলা হয়। কোনোটাই করিনি, করবও না। দলের কাছ থেকে শুধুমাত্র বিচার চাই।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এখানেই একাংশের প্রশ্ন, যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস শুদ্ধিকরণের চেষ্টা করছে, সেখানে দলেরই জেলা পরিষদ সদস্য যদি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে, সেক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেস কেন সেই অভিযোগকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য দলের জেলা পরিষদ সদস্যাকে চাপ দেবেন? তাহলে কি মুখেই তৃণমূলের শুদ্ধিকরণের কথা! বাস্তবে তৃণমূল উল্টোটা করছে! এখন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা।

এদিকে শম্পা দাস যার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন, এদিন সেই পঞ্চায়েত প্রধান সুমিত সরকার বলেন, বিএমওএইচের নির্দেশ মেনেই গাছ বিক্রি করি। এই বাবদ 75 হাজার টাকা পঞ্চায়েতের তহবিলে রয়েছে। শম্পা দেবীর বাড়ির সামনে কারা গাছ পুতল বা ফোনে হুমকি দিচ্ছে, বলতে পারব না। আমি এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নই।” কিন্তু জেলা পরিষদের সদস্য যেভাবে অভিযোগ করছেন, তাতে কি তার অভিযোগ মেটাতে কোনো ব্যবস্থা নেবে না দল!

এদিন এই প্রসঙ্গে শম্পাদেবীকে কটাক্ষ করে, অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান সুমিত সরকারেরই পাশে দাঁড়াতে দেখা গেছে তৃণমূল বিধায়ক বেচারাম মান্নাকে। তিনি বলেন, “সুমিত নিয়ম মেনেই গাছ কেটেছে। শম্পার অভিযোগ আসলে আষাঢ়ে গল্প।” আর বিধায়ক দলেরই জেলা পরিষদের সদস্যার করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যেভাবে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধানের পাশে দাঁড়ালেন, তাতে তৃণমূল কতটা নিজেদের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে, তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছে। তবে গোটা বিষয় খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন হুগলি জেলা তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ যাদব।

তিনি বলেন, “আমার সঙ্গে শম্পার কথা হয়েছে। স্থানীয় ব্লক নেতৃত্বকে প্রধানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বলেছি। তারপর রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেব।” এখন এই ব্যাপারে শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্যার করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পঞ্চায়েত প্রধানের শাস্তি হয়, নাকি তিনি ক্লিনচিট পেয়ে যান! তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!