এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূল নেত্রীর বৈঠকে গরহাজির হেভিওয়েট নেতা! পদ হারালেন একাধিক দাপুটে নেতা-নেত্রী!

তৃণমূল নেত্রীর বৈঠকে গরহাজির হেভিওয়েট নেতা! পদ হারালেন একাধিক দাপুটে নেতা-নেত্রী!

 

দক্ষিণপন্থীদের শক্ত ঘাঁটি মালদহের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ফলাফল অত্যন্ত খারাপ হয়েছে। লোকসভার আগে দলে নাম লিখিয়েছিলেন কংগ্রেসের মৌসম বেনজির নূর। আর তারপরই তাকে উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেখানে মৌসমদেবী জিততে পারেননি।

যার পরবর্তীতে সেই মৌসাম বেনজির নূরকে মালদহ জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে গনি পরিবারের সদস্য তৃণমূলের সভাপতি হওয়ার পর মালদহ জেলায় জটিলতা আরও বেড়েছে বলে দাবি করতে দেখা যায় তৃণমূলের একাংশকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মালদহে এসে সেই মৌসম বেনজির নূরের উপরেই ভরসা রাখলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শুধু তাই নয়, দলীয় বৈঠকে জেলার সংগঠন নিয়ে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিতেও দেখা গেল তৃণমূল সুপ্রিমোকে। তবে আশ্চর্যজনকভাবে এদিনের বৈঠকে তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র এবং কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর উপস্থিত না থাকায় তৈরি হয়েছিল জল্পনা। তবে বৈঠকের মাঝেই সাবিত্রী মিত্রকে তিনি ভুতনি সেতু উদ্বোধনের জন্য পাঠিয়েছেন বলে জানিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর অনুপস্থিতি জোর জল্পনা বাড়িয়ে দেয় জেলা রাজনীতিতে। কেন তিনি উপস্থিত হলেন না নেত্রীর এই বৈঠকে!

এদিন এই প্রসঙ্গে কৃষ্ণেন্দুবাবু বলেন, “জেলা সভানেত্রী আমাকে এই বৈঠকে থাকার কথা বলেননি।” যা নিয়ে সেই জল্পনা আরও বৃদ্ধি পায়। সূত্রের খবর, এদিন সন্ধ্যায় মালদহ জেলায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডাকা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা সভানেত্রী মৌসম নুর, মোয়াজ্জেম হোসেন, সময় মুখোপাধ্যায়, নীহার ঘোষ, গৌড়চন্দ্র মন্ডল, বাবলা সরকার, সাবিনা ইয়াসমিন, দিপালী বিশ্বাস, অম্লান ভাদুড়ি সহ প্রায় 35 জন নেতা নেত্রীরা। আর এই বৈঠকেই সংগঠনের ক্ষেত্রে একগুচ্ছ রদবদল করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

যেখানে ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির বাড়বাড়ন্ত রুখতে চুনিয়া মুর্মুকে সরিয়ে জেলা তৃণমূল আদিবাসী সেলের সভাপতি করা হয় মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ তথা জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি সরলা মুর্মুকে। একইভাবে জেলা তৃণমূল ক্ষেতমজুর সমিতির সভাপতির পদ থেকে রঞ্জন সিংহকে সরিয়ে তার জায়গায় নিয়ে আসা হয় হরিশ্চন্দ্রপুরের প্রাক্তন বিধায়ক তজমুল হোসেনকে। আর জেলার সংগঠনের এই রদবদল করার পাশাপাশি এদিনের বৈঠক থেকে জেলা সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূরের প্রশংসা করতেও শোনা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

পাশাপাশি মালদহ জেলার সংগঠনের কিছু ত্রুটি অনুধাবন করে সরাসরি তিনিই মালদা জেলা দেখবেন বলে জানিয়ে দেন তৃণমূল নেত্রী। এদিনের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেন, “মালদা শুভেন্দু দেখছে। তবে ওর অনেক ব্যস্ততা রয়েছে। এখন থেকে মালদহের সংগঠন সরাসরি আমিও দেখব।”

আর এরপরই মৌসম বেনজির নূর সম্পর্কে বলতে গিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, “মৌসম হয়ত অনেকের চেয়ে ছোট। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, ও দুইবারের সাংসদ। একবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছে। একটি রাজনৈতিক দলের জেলা সভাপতি হিসেবে সংগঠন পরিচালনার পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতাও রয়েছে। সুতরাং মৌসমের ওপর আস্থা রেখেই আপনারা মালদহে সংগঠন পরিচালনা করুন।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মালদহ জেলায় তৃণমূলের সভানেত্রী হিসেবে মৌসম বেনজির নূরকে দায়িত্ব দেওয়ার পর যতদিন গিয়েছে, ততই জটিলতা বেড়েছে। জেলা তৃণমূলের অনেক নেতারাই মৌসম নূরের নেতৃত্ব মানতে নারাজ ছিলেন। কিন্তু এবার মালদহ জেলায় এসে দলীয় নেতাদের নিয়ে বৈঠকে মৌসম নূরের নেতৃত্বে জেলা তৃণমূল চলবে, তা কার্যত পরিষ্কার করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি জেলায় সাংগঠনিক দুরবস্থা দেখে নিজের কাঁধেই দায়িত্ব নিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!