এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলে যোগ দেওয়া নেতার সাথে কৈলাস বিজয়বর্গীয়! অস্বস্তি বাড়ছে শাসক দলের!

তৃণমূলে যোগ দেওয়া নেতার সাথে কৈলাস বিজয়বর্গীয়! অস্বস্তি বাড়ছে শাসক দলের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি হাওয়াকে ফিকে করতে প্রশান্ত কিশোরের এখন প্রধান পরিকল্পনা বিরোধীদল ভাঙ্গানো। যার ফলস্বরুপ বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল নেতাদের হাত ধরে বিরোধী দলে ব্যাপক ভাঙ্গন ঘটছে। সাময়িকভাবে তৃণমূলের কাছে এটা উজ্জীবিত হওয়ার কারণ হলেও, এই দলবদল কি সুদূর প্রসারী ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে লাভবান করবে, এখন এটাই প্রধান প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশেষজ্ঞদের কাছে। কেননা বিরোধী দল ভাঙিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস বিভিন্ন নেতাকর্মীদের নিজেদের দলে আনলেও, এর পেছনে তৃণমূলের চোখ রাঙ্গানি রয়েছে বলে দাবি করছে বিরোধীরা।

সেদিক থেকে যদি ভয়ের বশবর্তী হয়ে এই সমস্ত নেতারা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন, তাহলে ভোটবাক্সে তাদের সমর্থন যে তৃণমূলের দিকে নাও দিতে পারে, এই আশঙ্কা রয়েছে একাংশের মনে। সেদিক থেকে ভোটবাক্সে তৃণমূল চাপে পড়তে পারে বলে দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। এমনই এই দোলাচলের মাঝেই এবার বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া নেতার সঙ্গে দেখা মিলল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র। যার ফলে আবার নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 17 আগস্ট কোচবিহার জেলা তৃণমূলের কার্যালয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সভাপতি শৈলেন্দ্র প্রসাদ সাউ।

স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির এহেন হেভিওয়েট নেতাকে নিজেদের দলে নিয়ে রীতিমতো উজ্জীবিত হতে দেখা যায় জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে। কিন্তু এর কিছুদিন যেতে না যেতেই 30 আগস্ট সেই শৈলেন্দ্র প্রসাদ সাউকে শিলিগুড়িতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং অরবিন্দ মেননের সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা গেল। যাকে নিয়ে এবার তীব্র জল্পনা তৈরি হয়েছে। যেখানে বিজেপি ছেড়ে তিনি সদ্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন, সেখানে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে তার কীসের সম্পর্ক? কেন তিনি শিলিগুড়িতে গিয়ে বিজেপি নেতার সঙ্গে বৈঠক করলেন?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে শৈলেন্দ্রপ্রসাদ সাউ বলেন, “দলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের অনুমতি নিয়েই আমি শিলিগুড়ি গিয়েছিলাম।” কিন্তু শৈলেন্দ্রবাবু জেলা তৃণমূল সভাপতিকে এটা বলে গেলেন যে, তিনি বিজেপি নেতার সঙ্গে বৈঠক করতে শিলিগুড়ি যাচ্ছেন! আর জেলা তৃণমূল সভাপতি তাতে রাজি হয়ে গেলেন! এদিন এই প্রসঙ্গে পার্থবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি তা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এবার নতুন করে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে কোচবিহার তথা রাজ্য রাজনীতিতে। তাহলে কি এভাবেই যোগদান প্রক্রিয়া চলছে?

প্রকাশ্যে বিজেপি সহ অন্যান্য দল থেকে নেতাকর্মীরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেও, তাদের সঙ্গে কি তাদের পুরনো দলের সমঝোতা থেকেই যাচ্ছে? আর তার বহিঃপ্রকাশ ঘটে গেল শৈলেন্দ্রবাবুর ক্ষেত্রে? কিন্তু এভাবে যদি যোগদান প্রক্রিয়া হয়, তাহলে তো আখেরে ক্ষতি হবে তৃণমূল কংগ্রেসের? হয়ত নেতাদের বহর বাড়ানোর জন্য তৃণমূল তাদের যোগদান করাবে। কিন্তু সেই সমস্ত নেতারা যদি তৃণমূলের ভেতরকার খবর তাদের প্রাক্তন দলের কাছে পৌঁছে দিতে শুরু করেন, তাহলে তো চরম সমস্যার মুখে পড়বে শাসক দল!

একাংশ বলছেন, প্রশান্ত কিশোর এখন বিরোধী দল ভাঙ্গানোর দিকে সবথেকে বেশি নজর দিয়েছেন। কিন্তু এই বিরোধীদল ভাঙ্গাতে গিয়ে যে সমস্ত নেতারা তৃণমূলে কংগ্রেসে এসে তাদের প্রাক্তন দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, তারা যে তৃণমূলের ক্ষেত্রে আরও বড়সড় বিপদ হয়ে যেতে পারে, তা হয়ত প্রশান্ত কিশোর অনুধাবন করতে পারছেন না। যার ফলে ভবিষ্যত তৃণমূলের কাছে অত্যন্ত সমস্যা হবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এখন কোচবিহারের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল দল ভাঙানোর ব্যাপারে কিছুটা সচেতন হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!