এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > তৃণমূল নেত্রীর ‘স্বপ্নের’ ব্রিগেড আসর জমিয়ে দিতে আসরে নামতে চলেছেন এই দুই সর্বভারতীয় হেভিওয়েট তরুণ-তুর্কি

তৃণমূল নেত্রীর ‘স্বপ্নের’ ব্রিগেড আসর জমিয়ে দিতে আসরে নামতে চলেছেন এই দুই সর্বভারতীয় হেভিওয়েট তরুণ-তুর্কি


বছর ঘুরতেই তৃণমূল সুপ্রিমোর কাঙ্খিত ১৯ ‘এর বিগ্রেড সমাবেশ। প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে মাস কয়েক আগেই। দুই বাম দল বাদে বিজেপি বিরোধী সব রাজনৈতিক দলগুলোই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা সমাবেশে হাজির থাকছেন,এমনটাই নিশ্চিত। গুজরাতের দলিত বিধায়ক জিগনেশ মেভানি এবং পাটীদার আন্দোলনের প্রধান মুখ হার্দিক প্যাটেলেরও এই বিজেপিবিরোধী সমাবেশে যোগদানের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

কট্টর বিজেপি বিরোধী এই দুই তরুণ তুর্কির ভাবমূর্তিকে সঙ্গে রেখেই মোদী বিরোধী জেহাদকে আরো জোরদার করতে চান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা ভোটের আগে অবিজেপি রাজনৈতিক দলগুলোকে সংহত করারই এটাই বৃহত্তর প্রয়াস নেত্রীর। তার আগেই পাঁচ রাজ্যে চলতি বিধানসভা ভোট মিটলেই আগামী ১০ ডিসেম্বর দিল্লিতে একটি জরুরি সভায় বসার পরিকল্পনা রয়েছে বিরোধীদের।

অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলুগু দেশম পার্টির চেয়ারম্যান চন্দ্রবাবু নাইডুর উদ্যোগে আয়োজিত এই বৈঠকে বঙ্গের নেত্রীর হাজির থাকার কথা রয়েছে। বিগ্রেড সমাবেশের আগে বিরোধীদের এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। উল্লেখ্য,ওই বৈঠকের পরের দিনই পাঁচ রাজ্যের ভোটগণনা এবং ফলাফল প্রকাশিত হবে।

মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানে কিছুতেই ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না বিজেপি,এমনটাই বক্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর এই দুটি বিজেপি শাসিত রাজ্য থেকে যদি বিজেপির লাগাম আলগা হয়ে যায় তাহলেই লোকসভা ভোটে মোদী অনেকটাই দূর্বল হয়ে যাবে বলেই ধারণা রাজনৈতিকমহলের। এই প্রেক্ষিতে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতো বেশি সংখ্যক বিরোধীদের একজোট করতে পারবে ততোই বিজেপিকে কোনঠাসা করা সহজ হবে। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই হার্দিক এবং জিগনেশকেও দলে টানতে উদ্যোগ নিয়েছেন নেত্রী।

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,বিগত গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে এই দুই তরুণ তুর্কি নেতা কোনো রাজনৈতিক দলে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত না হয়েও কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতায় মোদী-শাহকে চাপে ফেলে দিয়েছিলেন। হার্দিক পাটীদার সংরক্ষণের দাবীকে সামনে রেখে বিজেপির ভিত্তি নাড়িয়ে দিয়েছিলেন। একইভাবে দলিত নেতা জিগনেশ সরাসরি নির্বাচনে লড়াই করে গুজরাত বিধানসভায় জায়গা করে নিয়েছিলেন। হার্দিক-জিগনেশ জুটি মোদী-শাহের পথের কাঁটায় পরিনত হয়েছিল সেসময় আর এই প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা হিন্দিবলয়ে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

দেশের বিভিন্ন রাজ্যের ১৮-২০ টি বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা বিগ্রেড সমাবেশে উপস্থিত থাকার নেত্রীর আমন্ত্রণ স্বীকার করে নিয়েছেন। সেই বিজেপি বিরোধীতাকে আরো একটু তীব্র করে তুলতে ওই দুই যুব নেতার উপস্থিতি চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি দুজনেই আলাদা করে নেত্রীর সঙ্গে নবান্নে বৈঠক করে গিয়েছেন। এই প্রেক্ষিতে দাঁড়িয়ে কিছু চূড়ান্ত না হলেও এই দুই বিজেপি বিরোধী তরুণ তুর্কি নেতার ১৯’এর বিগ্রেড সমাবেশে উপস্থিত থাকার প্রবল সম্ভাবনা বলেই খবর দলীয় সূত্রের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!