এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > ক্ষতিপূরণ দুর্নীতি নিয়ে চূড়ান্ত ক্ষোভ সাধারণের! খোদ নন্দীগ্রামেই পুড়ল মমতার কুশপুতুল!

ক্ষতিপূরণ দুর্নীতি নিয়ে চূড়ান্ত ক্ষোভ সাধারণের! খোদ নন্দীগ্রামেই পুড়ল মমতার কুশপুতুল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ঠিক যেখান থেকে তৃণমূল তাদের সুদিন শুরু করেছিল, এবার সেই জায়গাতেই কি তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়তে চলেছে? বিগত বাম সরকারের আমলে নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনকে হাতিয়ার করে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষের জনাদেশ নিয়ে 2011 সালে বামেদের সরিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। তারপর কেটে গেছে বেশ কটা বছর। আর এবার ভয়াবহ দুর্যোগে নন্দীগ্রামের মানুষের পাশে না দাঁড়ানোর অভিযোগে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশপুতুল পুড়তে দেখা গেল।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রাম 2 ব্লকের বিজেপির পক্ষ থেকে আমপান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য দেওয়া নিয়ে দুর্নীতি সহ নানা অভিযোগ তুলে একটি বিক্ষোভ দেখানো হয়। আর এর পরেই আমদাবাদ-বিরুলিয়া সংযোগকারী বিরুলিয়া ব্রিজে গাছের গুড়ি ফেলে বিজেপির তরফ থেকে সেই বিক্ষোভ চরম আকার ধারণ করে। তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রীতিমত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশপুতুল পোড়াতেও দেখা যায় বিজেপি নেতাকর্মীদের।

আর এতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। একাংশ বলছেন, যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একসময় এই নন্দীগ্রামে তার ভিত শক্ত করেছিলেন, এখন সেখানে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশপুতুল পোড়ানোর সাহস পেয়ে গেল ভারতীয় জনতা পার্টি। যা নিঃসন্দেহে আগামী দিনে ভোট রাজনীতির ক্ষেত্রে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের অস্বস্তি অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভয়াবহ দুর্যোগের আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের সাহায্য করার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হলেও, সঠিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িতে টাকা পৌঁছচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল। আর নন্দীগ্রামে যখন সেই অভিযোগ উঠল, তা নিঃসন্দেহে তৃণমূলের অস্বস্তিকে দ্বিগুণ ভাবেই প্রকট করল বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির তমলুক জেলা সহ-সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, “তৃণমূল সরকারকে সবাই কাটমানির সরকার বলে। তাই মানুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভের রাস্তা বেছে নিচ্ছে।”

তবে বিজেপির তরফ থেকে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে নন্দীগ্রাম বিধানসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান মেঘনাথ পাল বলেন, “ক্ষতিপূরণে তালিকা নিয়ে কিছু মানুষ আছে জানি। কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি আমরা ওই সমস্যা মিটিয়ে দেব।”

কিন্তু কেন থাকবে সমস্যা! যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন, সেখানে যদি এখনও পর্যন্ত দুর্নীতি চলতে থাকে, তাহলে বিরোধীরা যেমন হাতে নতুন অস্ত্র পেয়ে যাবে, ঠিক তেমনই রাজ্যের শাসকদলের বিড়ম্বনা বাড়বে। এক্ষেত্রে দুর্নীতির সাথে যুক্ত নেতারা কি নিজেদের দলের বিড়ম্বনায় আরও বাড়িয়ে দিচ্ছেন না? বিজেপির বিক্ষোভের পর তৃণমূলের অস্বস্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি এখন এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!