এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > “সব মুকুল জানে, আমি জানি না” মন্তব্য তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতার, কেন এমন বললেন? জেনে নিন

“সব মুকুল জানে, আমি জানি না” মন্তব্য তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতার, কেন এমন বললেন? জেনে নিন


 

এককালে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড নামে পরিচিত ছিলেন মুকুল রায়। তৃণমূল ভবনে যখন তার ঘরের বাইরে দর্শন প্রার্থীদের লম্বা লাইন লেগে থাকত, তখন ক্বচিৎ কদাচিৎ 2-4 জন লোক দেখা করতে যেতেন বর্তমান তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক এবং রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর ঘরে। কিন্তু কথায় রয়েছে, রাজনীতি এবং ক্রিকেট ম্যাচে শেষ পর্যন্ত কিছু বলা যায় না। তাই অনেকেরই হজম করতে অসুবিধে হলেও বর্তমান সত্য এটাই সুব্রত বক্সি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং মুকুল রায় ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম নেতা।

কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়ে বেরিয়ে গেলেও তৃণমূলের সঙ্গে তার কার্যকাল এতই দীর্ঘ যে কোনোভাবেই তৃণমূল নেতৃত্বের মস্তিষ্ক থেকে বের হতে পারছেন না মুকুল রায়। তাই সম্প্রতি সারদা চিটফান্ড কাণ্ডের তদন্তে নিয়োজিত সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সি একবাক্যে জানিয়েছেন, দলের হিসাব-নিকাশ ইতিপূর্বে দেখাশোনা করতেন তদানীন্তন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। তাই এই বিষয়ে যা জানার, তা মুকুলবাবুই জানেন। তারা কিছু বলতে পারবেন না।

সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী, 2013 সালে যখন সারদা চিটফান্ড কাণ্ড সামনে আসে, সেই সময় দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন মুকুল রায়। জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যখন জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সীর মুখোমুখি হয়েছিলেন, সেই সময় পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মুকুলই দলের রক্ষণাবেক্ষণ করতেন এবং লেনদেনের বিষয়ে তিনিই সব জানতেন।

শুধু তাই নয়, পার্থবাবু এবং সুব্রতবাবু ছাড়াও তৃণমূলের আরও শীর্ষ পদের নেতাদের স্বীকারোক্তিতে উঠে এসেছে সেই মুকুল রায়েরই নাম। কাজেই সকলে মিলে যে সারদা মামলার বল সেই মুকুল রায়ের কোর্টেই ঠেলে দিতে চাইছেন, সেই বিষয়ে একমত প্রায় সকলেই। এছাড়া তৃণমূলের মুখপাত্র “জাগো বাংলা” ইস্যুতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাকিয়ে কোনোরূপ মন্তব্য করতে চাননি।

কিন্তু বিশেষ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, সিবিআইকে দেওয়া নিজের স্বীকারোক্তিতে তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, 2013 সালে তিনি জাগো বাংলা সম্পাদক ছিলেন না এবং দলের সাংগঠনিক প্রধান পদেও ছিলেন না। এমনকি দলীয় তহবিল থেকে শুরু করে লেনদেন, সাংগঠনিক টাকা-পয়সার জোগাড় ইত্যাদি বিষয়ে সেই সময় ঠিক কী ঘটেছিল, তার কিছুই বলতে পারেননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে গোটা ঘটনায় সম্পূর্ণ বিপরীত প্রতিক্রিয়া জানা গেছে মুকুল রায়ের কাছ থেকে।

পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সুব্রত বক্সি ছাড়াও তৃনমূলের বিভিন্ন শীর্ষ নেতাদের অভিযোগের বিরুদ্ধে বিজেপি নেতা মুকুল রায় বলেন, “আমি 2005 সালে ‘জাগো বাংলা’ ছেড়ে দিয়েছিলাম। সারদা মামলায় জড়িত বিভিন্ন তৃণমূল পদাধিকারীরা পরিকল্পনামাফিক আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে।” সব কিছু মিলিয়ে 2010-11 সালের তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি প্রদর্শনী, বিনিয়োগ জাগো বাংলায় সারদার বিনিয়োগ, এছাড়াও নানা কেলেঙ্কারিতে ঠিক সেই সময় কোন তৃণমূল নেতা জড়িত ছিলেন এবং কারাই বা স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বহন করেছেন, তা এখন সম্পূর্ণই তদন্ত সাপেক্ষ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!