এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলে পদ পাবেন কোন নেতারা? এবার সমীক্ষার মাধ্যমে সেটাও ঠিক করবে টিম পিকে? বাড়ছে জল্পনা

তৃণমূলে পদ পাবেন কোন নেতারা? এবার সমীক্ষার মাধ্যমে সেটাও ঠিক করবে টিম পিকে? বাড়ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস 42 এর মধ্যে 22 টি আসন পাওয়ার পর নিজেদের খোলনলচে বদলাতে শুরু করে। সংগঠনে আমূল পরিবর্তন আনা যে বাধ্যতামূলক, তা প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে বুঝতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বিভিন্ন জেলার সংগঠনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। তবে ব্লক স্তর বা জেলা কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে রাজ্যকে পাঠানোর পরেই যে তার অনুমতি মিলবে, তাও স্পষ্ট ভাষায় বলে দেওয়া হয়েছে।

কেননা বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, জেলার নেতারা নিজেদের মত করে কমিটি তৈরি করে দেন। ফলে অনেক কাজের লোক গুরুত্ব না পাওয়ায় তৈরি হয় সমস্যা। বাড়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব‌। তাই এবার যাতে সেরকম কোনো কিছু না হয়, তার জন্য জেলা নেতৃত্ব কমিটি তৈরি করে রাজ্যে পাঠানোর পরেই রাজ্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানানো হয়েছে। তবে এই কমিটি তৈরি করার ক্ষেত্রে রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে একটি পৃথক সমীক্ষা করা হচ্ছে বলে খবর। যেখানে ব্লক কমিটিগুলোতে কাদের দায়িত্ব দিলে ভালো হয়, সেই ব্যাপারে সমীক্ষা করে যে নাম উঠে আসবে, তাদেরকেই দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, এর পেছনে প্রশান্ত কিশোরের টিমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তারাই এবার দ্বন্দ্ব আটকাতে সমীক্ষার মাধ্যমে কোথায় কাকে মুখ করলে ভালো হয়, সেই ব্যাপারে রাজ্য নেতৃত্বকে তথ্য প্রদান করবে। আর সেই তথ্যের ভিত্তিতেই বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন ব্লকে সংগঠন তৈরি করতে উদ্যোগী হবে শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে অনেকে বলছেন, এই সমীক্ষা নিয়েও নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে পারে। কেননা যারা সমীক্ষক সংস্থার হয়ে এই সমীক্ষা করতে আসবেন এবং যাদের কাছে তারা সমস্ত ব্যাপারটি শুনবেন, তারা কোনো একটা নির্দিষ্ট নেতার অনুগামী হতে পারেন। ফলে সেই নেতার নামই তারা সেখানে সুপারিশ করবেন।

কিন্তু বাস্তবে যদি সেই নেতা কাজের না হয়, তাহলে তৈরি হবে সমস্যা। তাই সমস্ত দিক বুঝেশুনে সংগঠনের স্বার্থে সেই সমীক্ষক সংস্থাকে প্রকৃত বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত বলে মনে করছেন অনেকে। তবে তৃণমূলের অবশ্য দাবি, কাছের লোককে দিয়ে আর সংগঠন পরিচালনা হবে না। এখন কাজের লোক প্রয়োজন‌। দল সেটাই করছে। প্রকৃত সাংগঠনিক এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তির লোকেরাই দায়িত্ব পাবে। সব মিলিয়ে সংগঠনের স্বার্থে তৃণমূলের এই বিশেষ সমীক্ষা কতটা কার্যকরী হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!