এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূল কংগ্রেসে প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে অসন্তুষ্ট প্রথম সারির অনেক নেতা- নেত্রীই, ২০২১ এর নির্বাচনের আগে বুমেরাং হবে না তো?

তৃণমূল কংগ্রেসে প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে অসন্তুষ্ট প্রথম সারির অনেক নেতা- নেত্রীই, ২০২১ এর নির্বাচনের আগে বুমেরাং হবে না তো?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিগত বাম আমলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কারও পরিকল্পনা নিয়ে পথ চলে বামেদের ক্ষমতাচ্যুত করতে হয়নি‌। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে 34 বছরের বাম শাসনকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু যে কোনো কারনেই হোক, 2011 সালের আগে তৃণমূলের যে জনভিত্তি ছিল, 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে তা অনেকটাই কমতে শুরু করেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কেননা 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে 42 এ 42 স্লোগান তুলেও 22 টি আসনে আটকে যেতে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে।

ভারতীয় জনতা পার্টি পেয়েছে 18 টি আসন। আর তারপরেই সামনের দিন যাতে তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষেত্রে খুব একটা বিপদজনক না হয়, তার জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শে তৃণমূলের রণনীতিকার করা হয় প্রশান্ত কিশোরকে। আর তখন থেকেই অনেকে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন, যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিগত 34 বছরের বামেদের ক্ষমতাচ্যুত করে দেখালেন, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এখন বাইরে থেকে লোক এনে তার পরিকল্পনা অনুযায়ী পথ চলতে হবে? বিরোধীদের তরফ থেকে যেমন এই কটাক্ষ করা হয়, ঠিক তেমনই তৃণমূলের অনেকেও দলের এই নীতি ঠিকমত মেনে নিতে পারেননি।

তবে যেহেতু তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব প্রশান্ত কিশোরকে রননীতিকার হিসেবে নিয়োগ করেছে, তাই সেভাবে প্রকাশ্যে দলের কেউ এই ব্যাপারে মন্তব্য করতে সাহস দেখাননি। কিন্তু প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে এসে যে লাভের লাভ খুব একটা হচ্ছে না, তা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কেননা বর্তমানে প্রশান্ত কিশোর তার টিমের সমীক্ষার মধ্যে দিয়ে কোন জেলায় কোন নেতাকে দায়িত্ব দিলে ভালো হয়, তার রিপোর্ট তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের হাতে তুলে দিচ্ছে।

আর সেই রিপোর্টের মধ্যে দিয়েই তৃণমূল নেতৃত্ব বিভিন্ন জেলায় সংগঠনে পরিবর্তন আনতে শুরু করেছে। কিন্তু এর ফলেই যারা এতদিন দলের দায়িত্বে ছিলেন, তাদের সরিয়ে দেওয়ায় রীতিমত সেই সমস্ত নেতারা ক্ষীপ্ত হয়ে যাচ্ছেন। স্বভাবতই যার ফলে দলে গোষ্ঠী কোন্দল যেমন বাড়ছে, ঠিক তেমনই প্রশান্ত কিশোরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আর 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই রকম বিড়ম্বনা তৈরি হওয়ায় তৃণমূলের পক্ষে তা বড় চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলেই মনে করছে ঘাসফুল শিবিরের একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নতুন জেলা কমিটি গঠনের পরেই তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী থেকে শুরু করে প্রবীর ঘোষালের মত নেতারা দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতা আশিস দত্ত সহ সভাপতির পদ ছেড়ে দিয়ে প্রকাশ্যে দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই একের পর এক তৃণমূল নেতারা এই ভাবে দলের বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব‌। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শমত কমিটি তৈরি হয়েছে। সেক্ষেত্রে তার মত রণনীতি কারের পরামর্শমত কমিটি তৈরি হওয়ার পরেও, কেন তৃণমূলের নেতা এবং জনপ্রতিনিধিরা বিদ্রোহ ঘোষণা করছেন? এর ফলে তো দলের বিড়ম্বনা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে? এতে তো তৃণমূলের অসন্তোষ বাড়বে!

অনেকে বলছেন, প্রশান্ত কিশোরের কথা মতই বিভিন্ন জেলায় নতুন কমিটি তৈরি হয়েছে। আর তারপরেই শুরু হয়েছে বিদ্রোহ। স্বাভাবিক ভাবেই সেই প্রশান্ত কিশোরের ভূমিকা নিয়ে এখন দলের অন্দরে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। যারা পদ থেকে সরে গেছেন, তারা অনেকেই আড়ালে-আবডালে বলতে শুরু করেছেন, কি করলেন প্রশান্ত কিশোর? যদি তিনি সঠিক রাজনৈতিক রননীতিকার হতেন, তাহলে তো ক্ষোভকে অনেকটাই সামাল দেওয়া যেত। বর্তমানে একের পর এক নেতারা বিদ্রোহ ঘোষণা করতে শুরু করেছেন।

স্বাভাবিকভাবেই নতুন কমিটি গঠন করার পর সেই বিদ্রোহ আরও বাড়তে শুরু করেছে। তাই দলের অন্দরে বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই প্রশান্ত কিশোরের ভূমিকা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব যে অনেকটাই বেকায়দায় পড়তে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যদি এভাবেই চলতে থাকে, তাহলে আগামী দিন 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের পক্ষে সফলতা পাওয়া কতটা সম্ভব হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন দলের নিচুতলার কর্মী-সমর্থকরা। সব মিলিয়ে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব প্রশান্ত কিশোরকে রাজনৈতিক রনধীতিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও, তৃনমূলের কর্মী-সমর্থকরা কিন্তু অনেকেই তা মানতে রাজি হচ্ছে না। যার ফলে আগামীদিনে তৃণমূল অনেকটাই সমস্যার মুখে পড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!