হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার পদত্যাগপত্র গৃহীত! জল্পনা সর্বস্তরে পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া ভোটের সমীক্ষা রাজ্য November 16, 2019 দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা চলছিল। অবশেষে শুক্রবার বোর্ড অফ কাউন্সিলের বৈঠকে পদত্যাগপত্র গৃহীত হল পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান ভবেশ চট্টোপাধ্যায়ের। বস্তুত, এই রঘুনাথপুর পৌরসভার তৃণমূলের অধিকাংশ কাউন্সিলার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে দলের শৃঙ্খলা নষ্ট যাতে না হয়, তার জন্য তড়িঘড়ি চেয়ারম্যান এবং কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে বসেন জেলা এবং রাজ্য নেতৃত্ব। তবে সেই বৈঠকে অনাস্থা আনা কাউন্সিলররা জানিয়ে দেন, যদি চেয়ারম্যানকে বদল করা না হয়, তাহলে তারা অনাস্থা আনবেন। পরে অবশ্য হঠাৎই গত 27 নভেম্বর চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে মহকুমা শাসকের দপ্তরে পদত্যাগপত্র জমা দেন ভবেশ চট্টোপাধ্যায়। তবে এতদিন তার পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়নি। কিন্তু অবশেষে শুক্রবার বোর্ড অফ কাউন্সিলের বৈঠকে তার পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ায় এখন শূন্য রয়েছে রঘুনাথপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান পদ। সূত্রের খবর, এদিনের বোর্ড অফ কাউন্সিলের বৈঠকে এই পৌরসভার 13 জন কাউন্সিলরের মধ্যে 6 জন কাউন্সিলর অনুপস্থিত ছিলেন। তবে সংখ্যাগরিষ্টের উপস্থিতিতে ভবেশ চট্টোপাধ্যায়ের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভবেশ চট্টোপাধ্যায় যদি পৌরসভায় সরাসরি পদত্যাগপত্র জমা দিতেন, তাহলে এই বোর্ড অফ কাউন্সিলের বৈঠকের কোনো প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু তিনি মহকুমা দপ্তরে তার পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ায় এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কাউন্সিলর মনোজিৎ কর্মকার বলেন, “7 জন কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়েছে। আগামী 19 তারিখ নতুন চেয়ারম্যান দায়িত্ব নেবেন।” আর ভবেশ চট্টোপাধ্যায়ের পর রঘুনাথপুর পৌরসভার পরবর্তী চেয়ারম্যান কে হবে, এখন তা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা। আর ভবেশ চট্টোপাধ্যায়ের পরবর্তী চেয়ারম্যান নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে ফের জটিলতা তৈরি হতে পারে বলেও মনে করছেন একাংশ। অন্যদিকে ভবেশবাবু চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেওয়ায় তিনি বড় কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলেও জল্পনা ছড়িয়েছে। যদিও বা এই প্রসঙ্গে ভবেশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শারীরিক অসুস্থতার কারণেই পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। চিকিৎসার জন্য আসানসোলে রয়েছি। তাই সভায় উপস্থিত হতে পারিনি।” তবে তিনি যে কথাই বলুন না কেন, দলীয় কোন্দলের জন্যই যে অবশেষে চাপের মুখে নতিস্বীকার করে তাঁকে সরে দাঁড়াতে হল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত সকলেই। তাই নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর এখন ভবেশ চট্টোপাধ্যায় পরবর্তী রাজনৈতিক কি সিদ্ধান্ত নেন! সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -