এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন তৃণমূল নেতার স্ত্রী! বিজেপির বিরুদ্ধে ‘অত্যাচারের’ বড়সড় অভিযোগ!

পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন তৃণমূল নেতার স্ত্রী! বিজেপির বিরুদ্ধে ‘অত্যাচারের’ বড়সড় অভিযোগ!


যখন গোটা রাজ্যে দুর্যোগ ও সঙ্কট চলছে, ঠিক তখনই দলকে শৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে কাজ করার পরামর্শ দিচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিভিন্ন জায়গায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বিরোধী দল বিজেপির সংঘর্ষ তৈরি হতে দেখা যাচ্ছে। যার ফলে অস্বস্তিতে পড়ছে কখনও শাসক দল, আবার কখনও বিরোধী দল। এবার পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপির তীব্র চাপানউতোরে রীতিমত উত্তপ্ত হয়ে উঠল কেশিয়াড়ি এলাকা।

জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতে বেলদা- কেশিয়াড়ি রাজ্য সড়কে একটি দুর্ঘটনা ঘটে। যেখানে মৃত্যু হয় মনিমালা দে নামে এক মহিলার। জানা যায়, মৃত মহিলার স্বামী এলাকায় তৃণমূল সমর্থক বলে পরিচিত। তাদের ছেলে কটকে পড়াশুনা করত। গত 3 মে সে বাড়িতে ফিরে আসে। আর এর পরেই পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে আলাদা ভাবে থাকার পরামর্শ দেওয়ার পর সে প্রশাসনের সেই নির্দেশ মানছিল।

কিন্তু বাইরের রাজ্য থেকে ফেরা সত্ত্বেও কেন তাদের ছেলেকে বাড়িতে রাখা হচ্ছে, তা নিয়ে সেই তৃণমূল নেতার পরিবারের বিরুদ্ধে সরব হয় স্থানীয় কিছু মানুষ। আর এরপরই তৃণমূল নেতা গৌরীশংকর তাতে মান্যতা না দেওয়ায় গত বুধবার সালিশি সভা ডেকে জরিমানা ধার্য করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর শুক্রবার রাতে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা যায়, এদিন স্বামীকে মারধরের কথা পুলিশকে জানানোর জন্যই গ্রামে এক বাসিন্দার বাইকে চেপে মনিমালা দেবী এবং তার ছেলে মানস থানায় যায়। আর সেই সময়ই গ্রামের কয়েকজন ব্যক্তি তাদের পিছু নেয়। আর সামনে বালুভর্তি একটি ডাম্পার সেই বাইকটিকে ধাক্কা দিতেই ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মনিমালা দেবী ওই মহিলার। আর এতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় রাজনৈতিক রং লাগতে শুরু করেছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে গৌরীশংকর বাবু বলেন, “শুক্রবার রাতে আমাকে তুলে নিয়ে গিয়ে সালিশি সভা বসানো হয়। লাথি, ঘুষি মারা হয়। সেখানে এলাকার কয়েকজন মাতব্বর বিজেপি কর্মীরা ছিল। তৃণমূল করি বলেই অত্যাচার করা হয়েছে। সঞ্জিত দে নামে এক বিজেপি কর্মী এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত।” যদিও বা সঞ্জিতবাবু অবশ্য এই ঘটনা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন। এদিন তিনি বলেন, “আমি বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ঠিকই। কিন্তু এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই। এটা সম্পূর্ণ গ্রাম্য বিবাদ।”

একই কথা বলতে শোনা গেছে ব্লক তৃণমূলের সভাপতি অশোক রাউতকেও। এদিন গোটা ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবি করেছেন তিনি। তবে সম্পূর্ণ ঘটনায় যেভাবে তৃণমূল নেত্রী প্রাণ হারালেন এবং বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল হিসেবে তুললেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা গৌরীশংকরবাবু, তাতে বিজেপির অস্বস্তি সাময়িকভাবে কিছুটা বৃদ্ধি পেল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এখন পুলিশী তদন্ত শেষ পর্যন্ত কি উঠে আসে! কোথায় গিয়ে পরিস্থিতি মোড় নেয়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!