এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > হেভিওয়েট তৃনমূল নেতার দাবি, 2019 এর “ফাইনাল” লড়াই থেকে ছিটকে গেছে বিজেপি – লড়বে তৃতীয় বা চতুর্থ হওয়ার জন্য

হেভিওয়েট তৃনমূল নেতার দাবি, 2019 এর “ফাইনাল” লড়াই থেকে ছিটকে গেছে বিজেপি – লড়বে তৃতীয় বা চতুর্থ হওয়ার জন্য


এতদিন রাজ্যে যে কোনো নির্বাচন এলেই শাসকদলের নেতারা দাবি করতেন যে, বিরোধীরা প্রথম নয়, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় হওয়ার জন্য লড়বে। কিন্তু এবার রাজ্যের তৃণমূল নেতাদের সেই কথাই শোনা গেল জাতীয় রাজনীতির রাজনৈতিক পটভূমিকাকে কেন্দ্র করে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রের বর্তমান শাসক দল বিজেপি প্রথম নয়, তৃতীয় বা চতুর্থ হওয়ার জন্যই নির্বাচনে লড়বে বলে জানালেন রাজ্যের পূর্ত ক্রীড়া ও যুবকল্যান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।

সূত্রের খবর, আগামী 19 জানুয়ারি তৃনমূলের ব্রিগেড সমাবেশ উপলক্ষে এদিন কাটোয়া 2 ব্লকের অগ্রদ্বীপ গ্রাম পঞ্চায়েতের মাখালতোর উচ্চ বিদ্যালয়র মাঠে একটি দলীয় সমাবেশের আয়োজন করে তৃণমূল। যেখানে উপস্থিত হন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, স্বপন দেবনাথ, বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডল, বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, নার্গিস বেগম, জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি দেবু টুডু, কলকাতা পৌরসভার কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়, তারকেশ্বর চক্রবর্তী এবং অরূপ চক্রবর্তীরা।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এদিনের এই সভায় উপস্থিত হয়ে একদিকে কেন্দ্রের বর্তমান বিজেপি সরকারকে যেমন কটাক্ষ করেন রাজ্যের পূর্ত মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ঠিক তেমনি আগামী 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেশের প্রধানমন্ত্রী করার জন্য আহ্বানও জানান তিনি।

এদিনের এই সভায় সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে বিজেপির শোচনীয় পরাজয়ের কথা উল্লেখ করে অরূপ বিশ্বাস বলেন, “আমি ক্রীড়া দফতরের মন্ত্রী হিসেবে বলতে পারি, খেলার নিয়ম অনুযায়ী কোন টিম সেমিফাইনালে হেরে গেলে তারা ফাইনালে অংশ নিতে না। সম্প্রতি দেশের রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটকে বিজেপি সেমিফাইনাল ম্যাচ হিসেবেই ধরেছিল। কিন্তু ওখানে ওরা হেরে গেছে। তাই এখন আমাদের কাজ হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়ে যাওয়া।”

এদিকে এদিনের এই সভা থেকে কেন্দ্রের বর্তমান বিজেপি সরকারের উন্নয়নের সঙ্গে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের প্রসঙ্গ টেনে এনে গেরুয়া শিবিরের উদ্দেশ্যে প্রবল খোঁচা দেন রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বছরে দুই কোটি বেকারের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন মোদি সরকার। কিন্তু এখনও পর্যন্ত একটাও প্রতিশ্রুতি তার সরকার পালন করতে পারেনি। কিন্তু বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার গরীব মানুষকে দু টাকা কেজি দরে চাল, 18 বছর থেকে 60 বছরের মধ্যে কোনো চাষীর মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারকে দু লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ শিশুদের জন্মানোর সাথে সাথে সবুজশ্রী, কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী, রূপশ্রী প্রকল্প করে সকলকে চমকে দিয়েছেন। তাই আগামী দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই প্রধানমন্ত্রী করুন।”

রাজনৈতিক মহলের মতে, এবার এই বাংলা থেকেই সাড়া দেশে পরিবর্তনের আওয়াজ তুলতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাই এবারে সেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসানোর জন্য আওয়াজ তুলছেন রাজ্যের শাসকদলের নেতা মন্ত্রীরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!