এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃণমূল নেত্রী ঘনিষ্ঠ তিন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার! চরছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের পারদ? শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে !

তৃণমূল নেত্রী ঘনিষ্ঠ তিন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার! চরছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের পারদ? শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবার রাজনৈতিক পরিচয় কেড়ে নেওয়া হল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তিন হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার। বালুরঘাটের দেবাশিস মজুমদার, হরিরামপুরের শুভাশিস পাল ওরফে সোনা এবং কুশমন্ডির সুনির্মল জ্যোতি বিশ্বাসকে দল থেকে বহিষ্কার করল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। যার ফলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এক সময় এই তিন হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা প্রাক্তন জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। কিন্তু কিছুদিন আগেই অর্পিতা ঘোষকে জেলা সভানেত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর সেখানে দায়িত্ব দেওয়া হয় গঙ্গারামপুরের বিধায়ক গৌতম দাসকে। আর এর পরেই দল বিরোধী কাজ এবং দুর্নীতির অভিযোগে চার তৃণমূল নেতাকে দল থেকে শোকজ করে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। যার মধ্যে ছিলেন দেবাশিস মজুমদার, শুভাশিস পাল, সুনির্মল জ্যোতি বিশ্বাস এবং অভিষেক গুহ।

এদিকে শোখজ হওয়ার পরে চার নেতাই তাদের জবাব দিয়েছিলেন। কিন্তু এর মধ্যে শুধুমাত্র অভিষেক গুহর জবাবে সন্তুষ্ট হয়ে তার শোকজ তুলে নিয়েছিল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে বাকি তিন নেতার ভবিষ্যৎ কি হবে, তা নিয়ে এতদিন ব্যাপক গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছিল জেলা রাজনীতিতে। অনেকেই ভেবেছিলেন, অভিষেক গুহর মত ধীরে ধীরে বাকি নেতাদের শোকজ তুলে নেওয়া হবে। কিন্তু তা তো হলই না, উল্টে তিন তৃণমূল নেতা দেবাশিস মজুমদার, সোনা পাল এবং সুনির্মল জ্যোতি বিশ্বাসকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দাস।

এদিকে তিন তৃণমূল নেতা দল থেকে বহিষ্কার হওয়ার পরেই তারা ক্রমশ দলের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছেন। যার ফলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে উঠবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিন এই প্রসঙ্গে বহিস্কৃত তৃণমূল নেতা শুভাশিস পাল ওরফে সোনা বলেন, “আমাদের ছাড়া জেলায় তৃণমূল চলবে না। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে দল করি। এদের বহিষ্কার মানি না। বিষয়টা রাজ্য নেতৃত্বকে জানাব।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এই ব্যাপারে বালুরঘাটের দেবাশিস মজুমদার বলেন, “আমাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বহিষ্কার করা হল। এখন যারা দল চালাচ্ছেন, তারা খাতায়-কলমে তৃণমূল নয়। আমি শোকজের জবাব লিখেছি, এদের নেতৃত্বে আমি দল করব না।” এদিকে জেলা সভাপতি গৌতম দাসের নামে তিনি মানহানির মামলা করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন কুশমন্ডির বহিস্কৃত তৃণমূল নেতা সুনির্মল জ্যোতি বিশ্বাস। স্বভাবতই বহিষ্কার হওয়ার সাথে সাথেই যেভাবে তিন তৃণমূল নেতা দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে শুরু করলেন, তাতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরমহলে এখন আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দেবাশিস মজুমদার এবং শুভাশিস পাল অর্পিতা ঘোষ থাকার সময়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি ছিলেন। এই দুজন ব্যক্তিকে অর্পিতা ঘোষের দক্ষিণহস্ত এবং বামহস্ত বলা হত। স্বাভাবিকভাবেই এই দুই নেতাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কারণে অনেকেই অর্পিতাদেবীর ওপর ক্ষুব্ধ হতে শুরু করেছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় এই দুই তৃণমূল নেতা তাদের দাপট চালাতেন বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল। আর জেলা তৃণমূল সভাপতি পদে বদল হতেই সেই দুই নেতা সহ কুশমন্ডির সুনির্মল জ্যোতি বিশ্বাসকে শোকজ করা হয়। আর এবার এই তিন তৃণমূল নেতাকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা জানিয়ে দিল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

এদিকে বহিষ্কারের কথা শোনার সাথেই যেভাবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করতে শুরু করলেন, তাতে তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিন নেতাকে বহিষ্কার এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে এই তিন তৃণমূল নেতা বড় কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার রাজনৈতিক মহলে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!