শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে থরহরিকম্প শাসক দলের নেতা-নেত্রীরা, কাটছে না আতঙ্ক কলকাতা রাজ্য October 17, 2019 লোকসভা নির্বাচনে এবার তৃণমূলের ফলাফল অত্যন্ত খারাপ হয়েছে। জনসংযোগে সব সময় ভরসা রাখা তৃণমূল দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেশবার পরামর্শ দিলেও ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে দম্ভ অধিক পরিমাণে কায়েম করেছিল বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। তবে ক্ষমতার স্বাদ বড়ই কঠিন। যে দল যখন ক্ষমতায় যায়, তখন তারা সাধারণ মানুষের সঙ্গে থাকবার আর কোনো প্রয়োজন মনে করে না বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। তৃণমূলের ক্ষেত্রেও এমনটাই হয়েছে। আর তাইতো লোকসভা নির্বাচনে মোটে 22 টি আসন দখল করেই থেমে থাকতে হয়েছে ঘাসফুল শিবিরকে। অন্যদিকে বিজেপির মত রাজনৈতিক দল বাংলার মাটিতে ঘাঁটি গেড়ে আঠারোটা আসন পেয়ে তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে দলের জনসংযোগ ফেরাতে ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরের পরিকল্পনামাফিক “দিদিকে বলো” কর্মসূচি করে গোটা তৃণমূলকে জনসংযোগে পাঠিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু যে তৃণমূল দল ক্ষমতায় আসার পর থেকে জনসংযোগের বিন্দুমাত্র নিয়ম পালন করেনি, সেই তৃণমূল দলের নেতাকর্মীদের একবারেই নাকে দড়ি দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেষ্টা যে একবারেই সফল হবে না, তা প্রথম থেকেই ভেবে নিয়েছিল একাংশ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর বাস্তবে অনেক ক্ষেত্রে তৃণমূলের জনসংযোগ কর্মসূচি হিসেবে পরিচিত “দিদিকে বলো” কর্মসূচি করতে গিয়ে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের একাংশ ঠিকমতো তাদের দায়িত্ব পালন করেনি বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করল। কিন্তু যাতে কেউ এই জনসংযোগ কর্মসূচিতে ফাঁকি না দিতে পারে তার জন্য এবার সকলকে কড়া বার্তা দিল তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার তৃণমূল ভবনে বৈঠক থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি থেকে শুরু করে প্রায় সকল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বরাই প্রতিটি জেলার জেলা নেতৃত্ব, ব্লক নেতৃত্ব এবং টাউন নেতৃত্বদেরকে এই ব্যাপারে কড়া ভাষায় সতর্কবার্তা দিয়ে দেন। দিদিকে বলোর প্রথম পর্যায়ে ঠিক কোন কোন ব্যক্তি ফাঁকি দিয়েছেন, তা দলের নজরে রয়েছে বলেও এদিনের বৈঠকে জানিয়ে দেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বরা। আর জনসংযোগ কর্মসূচিতে দলের শীর্ষ নেতৃত্বরা নিচুতলার কর্মীদের একাংশের ফাকির কথা দলীয় বৈঠকে উল্লেখ করায় তৃণমূলের অনেক নেতাই এখন তটস্থ হতে শুরু করেছেন। সকলের মনে একটাই আশঙ্কা, দ্বিতীয় দফায় দিদিকে বলোর কর্মসূচিতে তারা কোনোরূপ ফাঁকি দিলে তাদেরকে দলের রোষানলে পড়তে হবে। তাই প্রথম দফার কর্মসূচিতে যারা সত্যি সত্যিই ফাঁকি দিয়েছেন, তারা এখন মনোযোগ দিয়ে দলের কর্মসূচি পালনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত নেতৃত্বের মন জুগিয়ে এই কর্মসূচি পালনে ঠিক কতটা কার্যকরী ভূমিকা নেন তৃণমূলের নিচুতলার নেতাকর্মীরা, সেদিকেই তাকিয়ে গোটা রাজনৈতিক মহল। আপনার মতামত জানান -