প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –তৃনমূলের গোষ্ঠী কোন্দল এমনিতেই চরম পর্যায়ে রয়েছে। দলের তরফে কড়া বার্তা দেওয়া হচ্ছে, সামনে নির্বাচন। কোনোভাবেই এখন দ্বন্দ্ব বরদাস্ত করা যাবে না। এদিকে তৃনমূলের শ্রমিক সংগঠনে এই দ্বন্দ্বকে কাজে লাগিয়ে এবার ময়দানে নেমে পড়েছে বামেদের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফ। যার ফলে ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়তে চলেছে তৃনমূল কংগ্রেস বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি সগড়ডাঙায় গ্রাফাইটের ইলেকট্রোড এবং কার্বনের নানা সামগ্রী উৎপাদনকারী কারখানায় দুটি গোষ্ঠীর তীব্র বিবাদ তৈরি হয়। একাংশের মতে, বর্তমান জেলা তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি বিশ্বনাথ পাড়িয়াল এবং প্রাক্তন জেলা সভাপতি প্রভাত চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্ব রয়েছে।

সম্প্রতি জেলায় এসে সেই দ্বন্দ্ব মেটাতে নির্দেশ দেন তৃনমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার পরেও পরিস্থিতির যে কোনো উন্নতি হয়নি, তা ফের প্রমানিত হয়ে গেল। আর তৃনমূলের দুই নেতার দ্বন্দ্বের ফলে কারখানায় অশান্তি তৈরি হওয়ায় রীতিমত বামেদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ হওয়ায় ব্যাপক চাপে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ডিওয়াইএফের অভিযোগ, কারখানাগুলিতে লোক নিয়োগকে কেন্দ্র করে চরম অন্তর্দ্বন্দ্ব চলছে। ফলে বেকারদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত।

এদিন এই প্রসঙ্গে সিটু নেতা পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, “গত কয়েক বছরে একটিও নতুন কারখানা হয়নি। বহু কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শ্রমিক আন্দোলনের নামে রাজ্যে যে নৈরাজ্য চলছে, তাতে বাকি কারখানাগুলোও বন্ধ হয়ে যাবে। দুর্গাপুরের বেকার যুবক যুবতীদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত।” আর বামেদের পক্ষ থেকে একথা বলে তৃণমূলকে চাপে ফেলা হলেও গোটা ব্যাপারটি এড়িয়ে যাচ্ছে ঘাসফুল শিবির।

তবে তৃনমূল যতই এই ঘটন অস্বীকার করুক না কেন, তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল যে তাদেরকে ব্যাপক ভাবে ডোবাচ্ছে এবং বিরোধীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে, তাতে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। এখন তৃনমূল সমালোচনার হাত থেকে বাঁচতে ও তাদের এই দ্বন্দ্ব মেটাতে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের ‌