এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আসন সংরক্ষণের জন্য মিলবে না টিকিট, বড়সড় পক্ষে নিতে চলেছেন তৃণমূল নেতারা

আসন সংরক্ষণের জন্য মিলবে না টিকিট, বড়সড় পক্ষে নিতে চলেছেন তৃণমূল নেতারা

কথায় আছে, একবার কেউ জনপ্রতিনিধি হলে তার পরবর্তী প্রজন্ম সেটা ভাঙ্গিয়েই সংসার জীবনে উত্তীর্ণ হতে পারে। বর্তমানে রাজ্য রাজনীতিতে শাসক-বিরোধী অনেক কাউন্সিলারের ঠিক এরকমই অবস্থা। ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে পৌরসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। নির্বাচনের দিনক্ষণ সরকারিভাবে ঘোষণা না হলেও, শুক্রবার অনেক পৌরসভার আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে।

যেখানে অনেক বর্তমান কাউন্সিলরের আসন সংরক্ষিত হয়ে যাওয়ায়, তারা আর সেখানে দাঁড়াতে পারছেন না। যার ফলে তৃণমূল, বাম এবং কংগ্রেস অনেক কাউন্সিলরের মনেই তৈরি হয়েছে সংশয়। আর এই পরিস্থিতিতে নিজেদের সংসারের গৃহিণীদের ময়দানে নামিয়ে, সেই ওয়ার্ড নিজেদের দখলে রাখতে চাইছেন সেই সমস্ত কাউন্সিলররা। জানা গেছে, শিলিগুড়ি শহরে শাসক থেকে বিরোধী অনেক কাউন্সিলর এখন নিজেদের ওয়ার্ডে দাঁড়াতে না পেরে, নিজেদের স্ত্রীকে সেই সমস্ত ওয়ার্ডের প্রার্থী করার জন্য উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যেমন, গতবার 13 নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়ে কাউন্সিলার হয়েছিলেন মানিক দে। কিন্তু এবার তার এই আসনটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। আর তাই তিনি দলের কাছে এখন তার স্ত্রী যাতে এই ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়, তার জন্য আকুতি জানাতে শুরু করেছেন। এই প্রসঙ্গে মানিক দে বলেন, “আমার রাজনৈতিক কাজকর্ম পরিচালনায় সব রকম ভাবে সহযোগিতা করে স্ত্রী বিউটি। ওয়ার্ডের কাজকর্মে ভালোই সহযোগিতা করে। স্ত্রীকে দল প্রার্থী করলে ভালোই হয়।

এক্ষেত্রে আমার কোনো আপত্তি নেই।” অন্যদিকে তৃণমূলের দীর্ঘদিনের কাউন্সিলার 38 নম্বর ওয়ার্ডের দুলাল দত্তের ওয়ার্ড এবার মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়ে গিয়েছে। যার ফলে তিনি এবার সেই ওয়ার্ডে দাঁড়াতে পারছেন না। কিন্তু তার স্ত্রী আলপনা দত্ত জেলা মহিলা তৃণমূলের কার্যনির্বাহী সভাপতি হওয়ায়, তাকে যাতে টিকিট পাইয়ে দেওয়া যায়, তার জন্য এখন প্রবল প্রার্থনা শুরু করেছেন দুলালবাবু। তবে প্রকাশ্যে এই ব্যাপারে কোনো মুখ খুলতে চাননি তিনি।

শুধু বলেন, “এই ব্যাপারে যা বলার দল বলবে।” বিশ্লেষকরা বলছেন, নিজেরা প্রার্থী হতে না পারলেও, নিজেদের ঘরের চার দেঝয়ালের মধ্যেই যাতে কাউন্সিলাররা থাকে, তার জন্য তৃণমূলের এই কাউন্সিলররা নিজেদের স্ত্রীকে ভোটের ময়দানে নামাতে চাইছেন। কিন্তু তৃণমূল দল এখন কাউন্সিলরদের সেই আর্জি কতটা মানে! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!