এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শীর্ষনেতার “রোষানল” থেকে “আপাতত” বাচতে হাজার হাজার লিডের কথা জানালেও, আতঙ্কে ঘাসফুল নেতারা

শীর্ষনেতার “রোষানল” থেকে “আপাতত” বাচতে হাজার হাজার লিডের কথা জানালেও, আতঙ্কে ঘাসফুল নেতারা

লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজার অনেক আগে থেকেই বীরভূমের প্রতিটি বুথে গিয়ে কর্মী সম্মেলন করে কোন বুথে কত পরিমাণে লিড হবে তা জেনে নিয়ে কর্মী সমর্থক ও পদাধিকারীদের কাছ থেকে খাতায়-কলমে তা লিখিয়ে নিয়েছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। নেতার সাময়িক বকুনির হাত থেকে রক্ষা পেতে ও কিছুটা প্রশংসা কুড়াতে অনেক পদাধিকারীরা বেশি পরিমাণে লিড দেওয়ার কথা লিখে দিলেও এবার ভোটের গণনার দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই আশঙ্কার প্রহর গুনছেন সেই সমস্ত নেতৃত্বরা।

প্রসঙ্গত, বীরভূম জেলা তৃণমূল আর আবেগের ভরসায় নির্বাচন করে না। রীতিমত সংগঠনের জোরে ভোটের আগে তারা পুঙ্খানুপুঙ্খ কোন এলাকা থেকে কত লিড পাবে সেই ব্যাপারে পর্যালোচনা করেছে। বোলপুরে দলীয় কার্যালয় ওয়াররুম খুলে বুথ ধরে ধরে ভোটের ফলাফল নিয়ে চর্চাও হয়েছে। জানা গেছে, নানুরে 40000, লাভপুরে 42000, সাঁইথিয়া ব্লকে কুড়ি হাজার, আহমেদপুর সাংগঠনিক ব্লকে কুড়ি হাজার, সাঁইথিয়া শহরে 15000, রামপুরহাট 1 ব্লকে 25000, রামপুরহাট শহরে 15000, দুবরাজপুরে 25000, রাজনগরে 12000, সিউড়ি 1 ব্লকে 12 হাজার, ময়ুরেশ্বর 1 ব্লকে 30 হাজার, ময়ূরেশ্বর 2 ব্লকে কুড়ি হাজার লিড দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সেখানকার নেতৃত্বরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বুথ সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে খাতা খাতায়-কলমে সেই নেতাদের কাছ থেকে তা লিখে নিয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ফলে ভোটের পরে এই সমস্ত মার্জিন যদি না থাকে তাহলে সেই সমস্ত এলাকার নেতাদের কপালে যে বড় খাড়া নামতে চলেছে সেই ব্যাপারে এখন থেকেই আশংকায় দিন গুনছেন অনেকেই। গা বাঁচাতে অনেকেই কখনও বিজেপির ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি, কখনও বিজেপির কাছে সিপিএমের আত্মসমর্পণ, আবার কখনও বা কেন্দ্রীয় বাহিনীর অতি সক্রিয়তার কথাকে তুলে ধরতে শুরু করছেন।

সিউড়ি মহকুমার অন্তর্গত এক ব্লকের তৃণমূল নেতা বলেন, “যা লিড দেব বলেছিলাম তাই দিতাম। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আমাদের বিরোধী গোষ্ঠি সেভাবে ভোট করল না। দাদা জানতে চাইলে প্রকৃত কারণ তুলে ধরব।” যদিওবা এই এই ব্যাপারে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “কোন ব্লক কত লিড দেবে তা সেখানকার ব্লক সভাপতিরা আমাকে লিখিত দিয়েছে। আমি আশা করি সবাই যা কথা দিয়েছে তার থেকে বেশি লিড দেবে। কিন্তু কোথাও লিড কমলে পর্যালোচনা করা হবে। উপযুক্ত কারণ ছাড়াই যদি লিড কমে যায়, তাহলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সব মিলিয়ে খাতায়-কলমে জেলা তৃণমূল সভাপতির কাছে মুচলেকা দিলেও শেষ পর্যন্ত নিজেদের কথা রাখতে পারবেন কি না বীরভূম জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের তৃণমূল নেতারা, এখন তা নিয়েই আশংকায় ভুগছেন অনেকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!