দলে সম্মান নেই পুরনো নেতা-কর্মীদের? অভিমানে অনেকেই তৃণমূলে! মরিয়া জোট আদি বিজেপি কর্মীদের উত্তরবঙ্গ তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য October 28, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –বিজেপির মত শৃঙ্খলাপরায়ন দলেও এবার সামনে আসতে শুরু করেছে গোষ্ঠী কোন্দল। তৃণমূলে পুরনো বনাম নতুনের দ্বন্দ্বের কথা প্রায়শই শোনা যায়। কিন্তু এবার বিজেপিতেও সেই একই দ্বন্দ্বের কথা সামনে আসতে শুরু করল। যেখানে পুরনো নেতাকর্মীরা যোগ্য সম্মান পাচ্ছে না বলে জোট বাধতে শুরু করলেন একাংশ। যা আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির কাছে বড়সড় অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে। জানা গেছে, পূজোর মধ্যেই আলিপুরদুয়ার জেলার বিজেপির পুরনো বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা একটি বৈঠক করেছেন। যে বৈঠক থেকে আভাস পাওয়া গেছে যে, তারা এবার জোট বাধতে শুরু করেছেন। অর্থাৎ তাদের গুরুত্ব না দেওয়ার কারণেই যে তারা এবার আলোচনা করে জোট বেঁধে বড়সড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, সেই ব্যাপারে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের মোহন শর্মার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর দূর সম্পর্কের পিসতুতো ভাই বিজেপির দীপক শর্মা। পরবর্তীতে দীপকবাবু হেরে যান। কিন্তু এবার সেই দীপক শর্মার আহ্বানে এই বিজেপি বিক্ষুব্ধ কর্মীরা শহরে একটি বৈঠক করে। সেখানে যোগ্য সম্মান না পেয়ে পুরনোরা সকলেই তৃণমূল কংগ্রেসে চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা। স্বভাবতই এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে গোটা আলিপুরদুয়ার জেলা জুড়ে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তাহলে কি পুরনো নেতাকর্মীরা যোগ্য সম্মান না পাওয়ার অভিযোগ তুলে যেভাবে জোট বাধতে শুরু করলেন, তাতে কি আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে তারা বড় কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন? যদি এই সমস্ত পুরনো নেতাকর্মীদের মান ভাঙানোর জন্য চেষ্টা না করে ভারতীয় জনতা পার্টি, তাহলে তারা অন্য কোনো শিবিরে নাম রাখতে পারেন। যা বিধানসভা নির্বাচনের আগে যথেষ্ট অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে বিজেপির জন্য বলে দাবি একাংশের। এদিন এই প্রসঙ্গে সেই দীপক শর্মা বলেন, “দলকে দুর্বল করতে নয়, শক্তিশালী করতেই পুরনো কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। আসলে দলের অনেক পুরনো কর্মী আছেন, যাদের যোগ্যতা থাকার পরেও যোগ্য সম্মান মিলছে না। হতাশ হয়ে ওই কর্মীরা তৃণমূলে চলে যাচ্ছেন। বিধানসভা ভোটের আগে তাদের আটকাতে এবং দলীয় কাজে উজ্জীবিত করতে আমরা এই বৈঠক করি।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে আলিপুরদুয়ার মণ্ডল কমিটির বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দলের কমিটিতে জায়গা না হওয়ার জন্য কারও ক্ষোভ থাকতেই পারে। সেই ক্ষোভ থেকে যাতে কেউ তৃণমূলে না যান, তার জন্য দলের স্বার্থে ওই বৈঠক করা হয়েছে।” তবে এই বৈঠককে গুরুত্ব দিতে নারাজ আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপির সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। এদিন তিনি বলেন, “ওই বৈঠকের কথা শুনেছি বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে জানি না। কিন্তু আমরা এই বৈঠককে গুরুত্ব দিচ্ছি না। দলে আদি-নব্য বলে কিছু নেই। ক্ষোভ-বিক্ষোভ নেই।” সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, বিজেপির পুরনো নেতাকর্মীদের এই পৃথক বৈঠক আগামীদিনে কোন সংকেত বহন করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -