তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা সবাই বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন? সামনে এল বিস্ফোরক দাবি মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য July 23, 2018 মালদায় দলীয় অনুষ্ঠানে গিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি ও অভিযোগ জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। গত শনিবার ধর্মতলায় দলের বার্ষিক সমাবেশ একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বিজেপিকে তীব্র আক্রমন করেন রাজ্যের বর্তমান শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সেই আক্রমনের প্রতিটির জবাব একইরকম আক্রমনাত্মক ভঙ্গিতে ফিরিয়ে দিলেন দিলীপবাবু। এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে তিনি বলেন, উনিশের আগে পিসি-ভাইপো ছাড়া সবাই বিজেপিতে আসবেন। উনিশে ৪২ তা আসন পাবে নাকি তৃণমূল? আমি বলছি যে আসনগুলি ওদের রয়েছে সেগুলোও ধরে রাখতে পারবে কিনা সন্দেহ! তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তাঁরা বলছেন তাঁরা বিজেপিতে আসতে চান। দিলীপবাবু এরপর তৃণমূল কংগ্রেসের ২১ শে জুলাই উদযাপন নিয়েও একাধিক প্রশ্ন তুলে দেন। তিনি বলেন, তৃণমূলের শহিদ দিবস এখন দিদিমনির বাৎসরিক তামাশায় পরিণত হয়ে গেছে। শহিদ দিবসে এখন আর তাঁরা শহিদদের কথা বলেন না, বিজেপিকে গালিগালাজ দেন। আগে ২১ শে জুলাইয়ে মানুষ স্বেচ্ছায় আসত, এবছর দেখা গেল ওঁদের নেতা-মন্ত্রীরা রাস্তাঘাটে এবং জেলায় জেলায় গিয়ে মিটিং-মিছিল করছেন। কেন এই মিটিং-মিছিল? মানুষ যদি না আসে সেই কারণেই ২১ শে জুলাইয়ের প্রস্তুতি হিসাবে এইসব করতে হয়েছে। এরপরেই তিনি পঞ্চায়েতে ‘সন্ত্রাস। নিয়েও তীব্র কটাক্ষ হানেন ঘাসফুল শিবিরকে। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওরা শুধুই লুটপাঠ করেছে, ২০১৯ এ হাড়ে হাড়ে টেরটি পাবে। ২০১৯ এ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হবে, ফলে যারা ভোট লুঠ করতে যাবে পিঠে লাঠির দাগ নিয়ে ফিরতে হবে। এটা যেন ওদের গুন্ডা-মাস্তানরা মনে রাখে! এরপরেই দিলীপবাবু তীব্র আক্রমন করেন পুলিশ প্রশাসনকে। তিনি বলেন, এখানকার এসপি বলেছিলেন আমাকে দেখে নেবেন। ওনাকে আমি বলব চাকরি করছেন – চাকরি করুন, রাজনীতি করতে আসবেন না। আমি যখন আপনাকে দেখব, ভগবানও বাঁচাতে পারবেন না। আর যদি রাজনীতি করতেই হয় তাহলে উর্দি খুলে আসুন, তখন দেখব কত ধানে কত চাল! এখন আপনারা দেখছেন, আমরা যখন দেখব তখন কোর্ট-কাছারি করতেই জীবন যাবে, কেউ বাঁচাতে পারবে না! আপনার মতামত জানান -